মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

লকডাউনই কি করোনার একমাত্র সমাধান?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

লকডাউনই কি করোনার একমাত্র সমাধান?

দীর্ঘদিন করোনার প্রাদুর্ভাবে সারা পৃথিবী এলোমেলো, তছনছ। কোনো কিছুর নিশ্চয়তা নেই, স্বস্তি নেই। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হতে চলেছে। গতকাল ছোট্ট এক বাচ্চা হঠাৎই বলেছিল, দাদু জানো, রাস্তার কুকুরগুলোও খেতে পারছে না। কেমন নেতিয়ে পড়ছে। কথাটা শুনে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল। সত্যিই রাস্তাঘাটে মানুষজন না থাকায় শুধু কুকুর কেন অন্য পশু-পাখিও নিদারুণ খাবার কষ্টে পড়েছে। করোনার অবসান কবে হবে, কীভাবে হবে সে শুধু আল্লাহ রব্বুল আমিনই জানেন, আমরা কেউ জানি না। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষকে দয়ালু আল্লাহ জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেক-বিবেচনা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এ সময় জ্ঞান-বুদ্ধি খাটিয়ে আমাদের যতটা যা করা সম্ভব সঠিকভাবে তা করতে পারলে সেটাই হবে উত্তম। ভেবেছিলাম আর কিছু না হোক করোনায় মানুষ অনেক বেশি মানবিক হবে, যখন তখন মৃত্যু দেখে অন্যের প্রতি আরও দরদি হবে। না, তা হয়নি। করোনার মধ্যেও মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই, মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রমের গ্যারান্টি নেই। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে সন্তান বাবা-মার কবর থেকে দূরে থাকে। এ অবস্থায়ও কিছু দুষ্টলোক মেয়েদের সম্মানহানিতে মোটেও পিছপা নেই। এ পশুবৃত্তি কবে শেষ হবে জানি না। অনেকেই ভাবে, আমরা সব সময় সরকারের সমালোচনা বা বিরোধিতা করি। কথাটা মোটেই সত্য নয়। বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার হওয়ায় বরং অনেক কম করি। কারণ চিৎ হয়ে থুথু ছুড়লে শেষ পর্যন্ত তা বুকে পড়ে। ব্যাপারটা কখনো ভুলতে পারি না, ভুলিও না। যখন যে সমালোচনা করি রাষ্ট্রের কর্মকান্ডের সমালোচনা করি, সত্য বলার চেষ্টা করি। ব্যক্তিগতভাবে কখনো কাউকে শত্রু মনে করি না। সরকার লাগামহীন, সরকার অনেকটাই দায়িত্বহীন। যেখানে যে দায়িত্বে যার থাকা উচিত অনেক ক্ষেত্রেই তেমন দক্ষ যোগ্য মানুষ যথাস্থানে নেই। এর সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ কথা কেউ গলায় গামছা নিয়ে বললেও আমি মানতে পারি না। প্রতিক্রিয়াশীল ষড়যন্ত্রকারীরা ধীরে ধীরে এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করেছে ভালো হলে সবার, কোনো ভুল বা ক্ষতি হলে শেখ হাসিনার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করুন আর না করুন তিনি মারাত্মক মাইনকার চিপায় পড়েছেন। নির্বোধ-মূর্খ-বর্বর বন্ধুর চাইতে জ্ঞানী-বিবেকবান-বুদ্ধিমান শত্রু উত্তম, অনেক ভালো। কিন্তু প্রবাদের সেই বাণী বাংলাদেশে এখন নীরবে নিভৃতে কাঁদে। সেদিন সংসদে ’৬৯-এর গণআন্দোলনের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদের বক্তব্য হৃদয় স্পর্শ করেছে। কাজী ফিরোজ রশীদের উপমা, ‘জেলার ডিসিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, এমপিরা হাঁ করে পাশে বসে থাকেন। এটা কতটা বিব্রতকর কতটা অবমাননার যাদের মর্যাদাবোধ আছে শুধু তারাই বুঝতে পারেন। এটা আমলাতন্ত্রের নিদারুণ বহিঃপ্রকাশ।’ ফসল বুনে নিড়ানি না দিলে খেতে যেমন আগাছা হয়, আগাছা বাড়ে বেশি। আগাছা গাছ ধ্বংস করে। তেমনি রাজনীতিতেও প্রকৃত বিরোধী দল না থাকলে বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার যে বিপদে পড়েছে এমন বিপদে সবাইকে পড়তে হয় বা হবে। এটা পরিস্থিতির অবশ্যম্ভাবী প্রতিফলন। তার অর্থ এই নয় যে বিএনপি প্রকৃত বিরোধী দল। বিএনপি নিশ্চয়ই একটি বিরোধী শক্তি। কিন্তু সুসংগঠিত বিরোধী দল নয়, গণতান্ত্রিক তো নয়ই। বিএনপি মানুষের হৃদয় থেকে অনেকটাই মুছে গেছে হাওয়া ভবনের কারণে। এখন তো বিএনপি চলে ওহির বাণীতে। যা কখনো গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। এ ব্যাপারে বিএনপির প্রতি যথার্থ সহানুভূতিশীল বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যথার্থ বলেছেন। আবার তাঁর বক্তব্যের মাঝে একশ্রেণির ছাত্রদল নেতার প্রতিবাদ সত্যিই হতাশাব্যঞ্জক। রসুনের খোসার মতো চামড়া নিয়ে আর যা হোক রাজনীতি করা যায় না। বিএনপির অনেকেই এটা দেখাতে পেরেছেন যে রসুনের খোসার চেয়েও তাদের চামড়া পাতলা। রাজনীতিতে সমালোচনা সইবার বা হজম করার শক্তি বা ক্ষমতা না থাকলে তার রাজনীতির মাঠে পা দেবারই কোনো মানে হয় না। রাজনীতিতে ফুলের মালা আর জুতার মালার পার্থক্য খুঁজতে নেই। যাদের স্বার্থ সিদ্ধি হবে তারা চিরকাল ফুল নিয়ে দাঁড়াবে। যাদের স্বার্থহানির সম্ভাবনা তাদের কাছে জুতার মালা ছাড়া আর কিছু প্রত্যাশা করা বোকামি। আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে অনেকেই সেই বোকামি করেন। যিনি বা যারা বোকামি করছেন তিনি বা তারা বুঝতেও পারেন না কী করছেন।

যুক্তরাজ্য, যেখানে উন্মুক্ত সমাজ সেখানে একজন সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়তো কৃতকর্মে উৎফুল্ল হয়ে তার এক সহকর্র্মীকে চুমু খেয়েছেন। যে কারণে তার মন্ত্রিত্ব গেছে। আর আমাদের দেশে কত কেলেঙ্কারি, একের পর এক দুর্র্নীতি- পর্দার মূল্য ৩৭ লাখ, বালিশের দাম ১০ হাজার তা আবার ঘরে তুলতে গিয়ে আরও ৫-৬ হাজার। আমাদের দেশে নতুন বউ ঘরে তুলতেও অমন খরচ হয় না। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একের পর এক লঙ্কাকান্ড লেগেই আছে। জানি না জনাব জাহিদ মালেকের খুঁটির জোর কোথায় এবং কতটা। ভদ্রলোক হয় একেবারে নিরেট নির্বোধ না হয় দুনিয়ার ধুরন্ধর। যাকে এত কিছু টলাতে পারেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো সঠিক ব্যবস্থাপনা নেই, দিকনির্দেশনা নেই। দেশের যে অবস্থা তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় না থাকলে খুব একটা ক্ষতি হবে না। বরং ভালোই হবে। বিশ্বাস না হলে একবার পরখ করে দেখতে পারেন। ডিজির ড্রাইভারের শত কোটি, পিয়নদের কোটি কোটি! তাহলে কর্তাদের না জানি কত হাজার কোটি! এ মন্ত্রণালয়কে গতিশীল, আস্থাভাজন করতে হলে যোগ্য দক্ষ মানুষের সমন্বয় দরকার। স্বাস্থ্য সচিব, যিনি হয়তো কদিন আগে ছিলেন প্রাণিসম্পদে, তারপর পাট মন্ত্রণালয়ে, সেখান থেকে শিক্ষা, তারপর এসেছেন স্বাস্থ্যে। এ রকম সব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হলে চলবে না। স্বাস্থ্য সচিবকে যথার্থই স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রগাঢ় জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে, মন্ত্রীকে হতে হবে তার চেয়ে অনেক বেশি। আমাদের দেশে অর্থমন্ত্রী কোনো রাজনৈতিক নেতা হন না। এ এক চরম দুর্ভাগ্য। অর্থমন্ত্রী হন কোনো আমলা, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অথবা ব্যবসায়ী। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও গোড়ার দিকে তিনি ছাত্র রাজনীতি করেছেন। তারপর ব্যবসা করে রাজনীতিতে এসেছেন। প্রথমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, এখন অর্থ মন্ত্রণালয়। যদিও তার অনেকটাই ধারাবাহিকতা আছে। কিন্তু এর আগে সাইফুর রহমান, আবুল মাল আবদুল মুহিত এঁরা কেউ রাজনীতিক ছিলেন না। ছিলেন আমলা। এস এ এম এস কিবরিয়াও তাই। একেবারে পূত-পবিত্র পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ অর্থমন্ত্রী ছিলেন শুধু একজন। তিনি বাংলাদেশ বিপ্লবী সরকারের সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন। তারপর বাংলাদেশে খুব একটা বিশুদ্ধ রাজনীতিক অর্থমন্ত্রী হতে পারেননি বা হননি।

শুনছি, লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ এসেছে। এক সপ্তাহ কেন, দুই সপ্তাহ হলেও কি করোনার প্রাদুর্ভাব কমবে? সাধারণ মানুষের, শ্রমজীবী মানুষের না খেয়ে মারার এ পদক্ষেপ যতবারই নেওয়া হোক, যত ভাবেই নেওয়া হোক কাজের কাজ তেমন কিছুই হবে না। লকডাউন করোনা প্রতিরোধে উপযুক্ত মাধ্যম হতে পারে না। করোনা প্রতিরোধে টিকার আবিষ্কার হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে আমাদের পদ্মায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সব থেকে বেশি প্রয়োজন রাতদিন করোনার টিকা দেওয়া, সে টিকার ব্যবস্থা করা। আমরা তো কারও কাছে টিকা খয়রাত চাচ্ছি না, উপযুক্ত মূল্য দিয়ে কিনতে চাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে জোর গলায় বলেছেন, ‘টিকার জন্য যত টাকা লাগে দেব।’ সত্যিকার অর্থে এটাই তো নেতার মতো কথা, নেতার কথা। টাকা দিয়ে টিকা কিনব কেন তা পাব না? আর এত দিনে আমাদের দেশে তো টিকা তৈরি করা যেতে পারত। পৃথিবীতে যে জিনিস আবিষ্কার হয়ে গেছে সে জিনিস আমাদের তৈরি করা এমন কি কঠিন কাজ। খারাপভাবে নেবেন না। আমাদের জিনজিরাকে অর্ডার করলে তারাও হয়তো এত দিনে কয়েক কোটি টিকা বানিয়ে দিতে পারত। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলে দেখা যেত ভারত-চীন-রাশিয়া-জার্মানি-আমেরিকার চেয়ে জিনজিরার টিকা অনেক বেশি কার্যকর, উন্নতমানের। টিকা সংগ্রহ এবং টিকা কর্মসূচিতে মনোনিবেশ না করে শুধু লকডাউন লকডাউন আর লকডাউনে করোনা মোকাবিলা হবে এ আমাদের মতো কম বুদ্ধির মানুষ বিশ্বাস করতে পারে না, করেও না। এজন্য সরকারকে, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টা ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের দেহে যদি করোনাভাইরাস প্রতিরোধক্ষমতা না থাকত তাহলে এত দিনে বাংলাদেশ মহাশ্মশানে পরিণত হতো। তার প্রমাণ বস্তিতে সংক্রমণ নেই, গার্মেন্টে সংক্রমণ নেই। তাহলে সংক্রমণ কোথায়? সংক্রমণটা প্রধানত অন্য জায়গায়।

লকডাউনে আবার নতুন উপসর্গ শুরু হয়েছে। মানুষ রাস্তায় বেরোলেই জেল-জরিমানা। রাস্তায় বেরোনো মানুষকে ঘরে রাখার জেল-জরিমানাই কি প্রধান অস্ত্র? কেউ যদি না মানে, সবাই যদি বেরিয়ে পড়ে জেল-জরিমানা করে কি মানুষের বন্যা ঠেকানো যাবে? রাস্তায় যাদের এক-দুই শ টাকা জরিমানা হয়, যারা দরিদ্র, যারা জরিমানা দিতে পারেন না, তাদের গারোদে রেখে কোর্টে চালান করা হচ্ছে। কোর্ট-কাচারি বন্ধ। ফটকাবাজ, দালাল, ছোট ছোট উকিলরা দু-এক শ টাকা জরিমানা দিয়ে আসামিদের মুক্ত করে চেম্বারে বসে হাজার-৫ হাজার বা তারও বেশি আদায় করছে। আশির দশকে আমার ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ আহমেদ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পোস্টার লাগাতে গিয়ে টহল পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। তাকে কোর্টে চালান করলে এক নবীন উকিল ১০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ধল্যাইখালে শিবুর দোকান থেকে ২০০ টাকা নিয়ে তাকে মুক্ত করেছিল। অথচ লকডাউনের নিয়ম ভাঙায় জামিনে এনে অনেক উকিল চেম্বারে বসিয়ে এ রকম হাজার-৫ হাজার বা তারও বেশি আদায় করা কতটা নৈতিক? শারীরিক অসুবিধা হলে মানুষ ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার বা উকিল-ব্যারিস্টারের পার্থক্য কী? আইন-আদালতের কোনো ব্যাপার হলে মানুষ উকিলের কাছে যায়। সেখানে এমন জালিয়াতি আইন পেশার মানুষের জন্যই চরম কলঙ্ক। একজন আইনজীবীর ছেলে হিসেবে নিজেও খুব লজ্জাবোধ করি। আইন পেশার সম্মান, আইন পেশার মহিমা যাতে ধূলিসাৎ না হয় সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

কঠিন লকডাউনের সময় গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির মালিকদের বক্তব্য শুনেছিলাম। তারা বলেছেন, গার্মেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৪০ লাখ নারী-পুরুষ কর্মচারী। গার্মেন্ট বন্ধ হলে যেমন তাদের শিপমেন্টে অসুবিধা হবে তেমনি একসঙ্গে ৪০ লাখ মানুষ রাস্তায় নামলে রাস্তাঘাটেও সমস্যা হবে। কথাটা সত্যিই যুক্তিযুক্ত। যে কারণে গার্মেন্ট বন্ধ দেওয়া হয়নি। মেনে নিলাম গার্মেন্ট মালিকদের কথা। কিন্তু মহালকডাউনের প্রথম দিনেই যে শ্রমিক দুর্ভোগ তা কি কারখানার মালিকরা একবিন্দু ভেবেছেন? এটা কি সরকারের চোখে পড়েছে? যে শ্রমিকদের নিয়ে মালিকদের পোদ্দারি, তাদের থাকা-খাওয়া, আসা-যাওয়ার কথা ভদ্রলোকেরা একবারও ভাবলেন না। মানুষের সঙ্গে এমন পশুর ব্যবহার আর কেউ করেছে কি না বলতে পারব না। গার্মেন্ট শ্রমিকদের আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা মালিকরা খুব সহজেই করতে পারতেন। গণপরিবহন বন্ধ তাই চুক্তিতে গাড়ি পেতে কারখানা মালিকদের কোনো বেগ পেতে হতো না। এটা তেমন বড় কিছু নয়, শুধু চিন্তার অভাব, মানসিকতার অভাব, মানবিক মূল্যবোধের অভাব, সর্বোপরি দরদিমনের অভাব।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

সর্বশেষ খবর