এ আমরা কোথায় বাস করছি! কোন পথে হাঁটছে স্বদেশ? কিছু মানুষ নামধারী অমানুষের বাধাহীন প্রকাশ্য বর্বরতা দেখে শিহরিত হতে হচ্ছে। এই সমাজে বিচরণ করছে আমাদের সন্তান, স্বজন, জনগণ! গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় তিনটি খবর ছাপা হয় পাশাপাশি। রাজধানীর মিটফোর্ডে পিটিয়ে, শরীর থেঁতলে নৃশংস হত্যা, খুলনায় প্রকাশ্যে গুলি করে ও রগ কেটে খুন এবং চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার। খুনের জনপদ হয়ে উঠল নাকি আমাদের প্রিয় স্বদেশ? হত্যার মচ্ছব চলছে? গত বুধবার পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে রাস্তার ওপর একজনকে আদিম যুগের পশুসুলভ হিংস্রতায় পিটিয়ে, ইট-পাথরের ভারী খণ্ড দিয়ে মুহুর্মুহু আঘাত করে খুন করা হয়। ঘটনার একটা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশে ও প্রবাসে মানুষ চরম আতঙ্কিত হয়। ২০০৬ সালে একবার লগি-বৈঠার আন্দোলন সমাবেশে রাজধানীতে এমন বর্বরতার দৃশ্য দেখেছিল জাতি। এসব ঘটনার র্ভিডিও করার লোকের অভাব হয় না। কিন্তু ১০ জন এগিয়ে এসে প্রতিরোধ গড়ে তুলে অন্তত লোকটির প্রাণ রক্ষার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায় না। এমনই ঘটেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিশ্বজিৎ, বুয়েটে আবরার কিংবা ঢাবির হলে তোফাজ্জলের ক্ষেত্রে। সামাজিক প্রতিরোধের সংস্কৃতি উঠে গেছে বলেই আমরা দিনকে দিন আরও অরক্ষিত হয়ে পড়ছি। বাস্তবতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কেউ কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার ঝুঁকি নেয় না কেউ। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পর, বছর পুরতে চললেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করে যথাযথ পেশাদারী দৃঢ়তায় দাঁড়াতে পারেনি। বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে এখনো মাঠে রাখতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। তার মধ্যেই এমন সব নৃশংস হত্যাকাণ্ড, বিশৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ হামলা, নির্যাতন চলছে। ঘটনার পর তদন্ত, গ্রেপ্তার, বহিষ্কার ইত্যাদি নানা প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার অধিকাংশ থেকেই কোনো ফল লাভ হয় না। অবিলম্বে এ অরাজকতার অবসান হওয়া জরুরি। যিনি নিহত হলেন, তার ধর্ম-বর্ণ-দলীয় পরিচয় কিংবা তিনি ভালো না মন্দ ছিলেন, তা যেমন সাধারণের বিচার্য নয়, ঠিক তেমনি যে বা যারা ঘাতক, তাদেরও পরিচয় বিবেচনা নিষ্প্রয়োজন। তারা খুনি, অপরাধী, তাদের অন্য কোনো পরিচয় বিবেচ্য নয়। কাউকে খুন করার অধিকার দেশের আইন কোনো দলীয় পান্ডা বা মবকে দেয়নি। ঘাতকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইন আছে। সবচেয়ে কম সময়ে সে আইন সর্বোচ্চ কঠিন মাত্রায় প্রয়োগ ও কার্যকর করুন। দ্রুত কঠোর দণ্ড কার্যকরের দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। প্রশাসন, আইন, বিচার সব ক্ষেত্রের শিথিলতা বা সহনশীলতাকে জনগণ ‘সরকারের দুর্বলতা’ বলে বিবেচনা করতে শুরু করেছে। এ মূল্যায়ন অত্যন্ত নেতিবাচক। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারের দৃঢ়তা, শক্ত পদক্ষেপ ও সর্বব্যাপী সক্ষমতা দেখতে চায় জাতি।
শিরোনাম
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১০
- ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
- যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
- সিনেমার প্রভাবে কেরালার স্কুলে আর নেই ব্যাকবেঞ্চার
- 'আর্থিক সংকটে' বন্ধ আল জাজিরা বলকানসের সম্প্রচার
- যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- পেন বাংলাদেশের নেতৃত্বে সামসাদ মোর্তুজা ও জাহানারা পারভীন
- দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস
- হবিগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
- খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে
- দেড় মাস পর বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল ভারত
- সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার
- ঢাকায় ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ
- আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল
- ২০৩০ বিশ্বকাপ ভেন্যুর তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার মালাগার
- কুমিল্লায় চার মামলার আসামি গ্রেফতার
- ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইনামুল হাসান গ্রেফতার
- কলাপাড়ায় দুর্ভোগ কমেনি সাধারণ মানুষের, কৃষকরা পড়েছেন সংকটে
- জনগণই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে : আমীর খসরু
থেঁতলে পিটিয়ে গুলিতে হত্যা
জানমাল রক্ষায় চাই দৃঢ়তা, শক্ত পদক্ষেপ
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর