মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্কুলের জমি দখল

দখলদারদের নিরস্ত করুন

শেষ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি দখলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রভাবশালী নামের সাক্ষাৎ দানবরা। এদের অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির কর্তাব্যক্তি। কারও পরিচিতি এলাকার সরকারি দলের নেতা হিসেবে। কারও পরিচিতি রক্ত হিম করা সন্ত্রাসী বা মাস্তান হিসেবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ছোনকা দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের জমি দখলে নিয়ে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, যিনি আবার এলাকার একজন প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা। স্কুলের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। শুধু বগুড়ার ছোনকা বিদ্যালয়ই নয়, সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে রাজত্ব করছেন প্রভাবশালীরা। ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিক থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডির সদস্যদেরও কুনজরে পড়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের জমি অপদখলের শিকার হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন দফতরে এ নিয়ে অভিযোগের পাহাড় থাকলেও কর্তৃপক্ষকে এসবের সমস্যা সমাধানে তেমন উদ্যোগী হতে দেখা যায় না। দখলদারদের কাছে সরকার এমনকি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পর্যন্ত এতটাই অসহায় যে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে বিকল্প ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। ১০ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশের বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ায় এ পরামর্শ যে দেওয়া হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। আসলে বাংলাদেশের জমিজমার মালিকানার ক্ষেত্রে জোর যার মুলুক তার নীতিই কার্যত অনুসৃত হয়। সাধারণ মানুষের জমি অপদখল শুধু নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমনকি সরকারি জমিও গ্রাস করা যায় অনায়াসে। এ মাৎসন্যায় ব্যবস্থার অবসান অবশ্যই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর