শনিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ক্রিস্টাল মেথ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হতে হবে

বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের হিসাবে দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ এবং সবচেয়ে বেশি মাদক ব্যবহারকারী আছে ঢাকা বিভাগে। যদিও বেসরকারি হিসাবে মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ লাখের কাছাকাছি বলে দাবি করে বিভিন্ন সংস্থা। এ মুহূর্তে যে মাদকটি ব্যবহারের শীর্ষে আছে তা হলো ইয়াবা। এর বাইরে হেরোইন, গাঁজা ও ফেনসিডিল বহুকাল ধরেই অনেক মাদকসেবী ব্যবহার করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নতুন যে মাদকের নাম শোনা যাচ্ছে তা হলো ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। এটি ইয়াবার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ক্ষতিকর মাদক। ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে নতুন মাদক ক্রিস্টাল মেথ-আইসের আগ্রাসন। বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ছে দানাদার নতুন এ মাদকে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অন্ধকারে রেখে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ ২৮ রুট দিয়ে ছয় ধরনের ক্রিস্টাল মেথ দেশে ঢুকে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন প্রান্তে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আইস রীতিমতো একটি আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ইয়াবা মাফিয়ারাই নিয়ন্ত্রণ করছে ভয়ংকর মাদক আইসের অন্ধকার জগৎ। আইসের অন্যতম ডিপো হয়ে ওঠা কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্প থেকেই তা নানা কৌশলে পাচার হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্রদের। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেফতার হওয়াদের কাছ থেকে এরই মধ্যে কয়েকজন ক্রিস্টাল মেথ মাফিয়ার নাম জানতে পেরেছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, যারা ইয়াবা পাচার করে তাদের একটি অংশ এখন ক্রিস্টাল মেথ পাচার করছে। স্থলপথ ছাড়া সাগরপথেও অভিন্ন কায়দায় পাচার হচ্ছে এ মাদক। মাদক মাফিয়ারা আর্থিক লোভ দেখিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং টেকনাফ-উখিয়ার দরিদ্র লোকজনকে মাদক সরবরাহ ও পাচারের কাজে ব্যবহার করছে। তরুণদের মধ্যে এ মাদক যেন বিস্তার না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর