শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রপ্তানিতে মন্দা

পণ্য উৎপাদন নির্বিঘ্ন করুন

দেশের রপ্তানি আয় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে আগের বছরের তুলনায় কমেছে। অথচ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে দেশের রপ্তানি আয় ছিল আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ বেশি। গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটের অপপ্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। বলা হচ্ছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাব পড়ছে রপ্তানি আয়ে। সেপ্টেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ রপ্তানি কমেছিল। অক্টোবরে এসে কমেছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। বুধবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের অক্টোবরের তুলনায় ৩৭ কোটি মার্কিন ডলার কম। ওই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭২ কোটি মার্কিন ডলার। দেশে যখন ডলারের দাম বাড়ছে, কমে যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ- তখন রেমিট্যান্সের পর গত দুই মাসে পরপর রপ্তানি আয় কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য নিঃসন্দেহে এক অশনিসংকেত। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রধান গন্তব্য পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকায় চাহিদা কমায় রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৮ শতাংশ। পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, তাদের কারখানাগুলোতে জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। অনেক কারখানা যা উৎপাদন করছে তা দিয়ে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ঠিকমতো পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে না, সেখানে রপ্তানি বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। রপ্তানি আয় বাড়াতে হলে উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থবছরের প্রথম চার মাসের শেষ দুই মাসে রপ্তানি কমলেও টার্গেট পূরণে চার মাসের গড় রেকর্ড ভালো। বাদবাকি আট মাসে সাফল্য চাইলে জ্বালানি সংকট উত্তরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর