দেশের রপ্তানি আয় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে আগের বছরের তুলনায় কমেছে। অথচ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে দেশের রপ্তানি আয় ছিল আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ বেশি। গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটের অপপ্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। বলা হচ্ছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাব পড়ছে রপ্তানি আয়ে। সেপ্টেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ রপ্তানি কমেছিল। অক্টোবরে এসে কমেছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। বুধবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের অক্টোবরের তুলনায় ৩৭ কোটি মার্কিন ডলার কম। ওই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭২ কোটি মার্কিন ডলার। দেশে যখন ডলারের দাম বাড়ছে, কমে যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ- তখন রেমিট্যান্সের পর গত দুই মাসে পরপর রপ্তানি আয় কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য নিঃসন্দেহে এক অশনিসংকেত। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রধান গন্তব্য পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকায় চাহিদা কমায় রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৮ শতাংশ। পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, তাদের কারখানাগুলোতে জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। অনেক কারখানা যা উৎপাদন করছে তা দিয়ে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ঠিকমতো পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে না, সেখানে রপ্তানি বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। রপ্তানি আয় বাড়াতে হলে উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থবছরের প্রথম চার মাসের শেষ দুই মাসে রপ্তানি কমলেও টার্গেট পূরণে চার মাসের গড় রেকর্ড ভালো। বাদবাকি আট মাসে সাফল্য চাইলে জ্বালানি সংকট উত্তরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিরোনাম
- সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
- ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা
- বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি
- জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭০ বাংলাদেশি
- আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
- বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
- ১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
- পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
- সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
- রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি