শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ : তৃণমূলের শেষ ‘সৌভাগ্যবান’

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ : তৃণমূলের শেষ ‘সৌভাগ্যবান’

“আমি অনেকটা নির্ভার হয়ে আবার ঢাকায় এসে এক বিকেলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। বত্রিশ নম্বর বাসভবনের নিচতলায় বঙ্গবন্ধু নেতা-কর্মীদের দ্বারা পরিবৃত্ত হয়ে রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে আলাপে মত্ত। আমি বাসায় ঢুকতেই লিডার আমাকে দেখে শিশুর মতো অট্টহাসিতে চারদিক চমকিত করে তুললেন। আমি অনেকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে এদিক-ওদিক তাকাতে থাকলাম।  এক পর্যায়ে খোঁজ নিতে থাকলাম। শার্ট-প্যান্টের বোতাম ঠিকমতো লাগিয়েছি কি না অথবা অন্য কোনো বৈসাদৃশ্য আছে কি না। আমাকে হতভম্ব অবস্থা থেকে তিনিই উদ্ধার করলেন আরও রহস্যঢাকা কথা বলে। বললেন, ‘তোর জজ মারা গেছে! তোর কথা তো না রেখে পারি না। তুই তো আমার দাদা হোস।’ উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর পিতামহের নাম শেখ আবদুল হামিদ। আমি আরও হতবুদ্ধিতে ডুবে গেলাম। শেষ পর্যন্ত পুরো বিষয়টি জানতে পারলাম। আমার সিটে বঙ্গবন্ধু যাকে এমএনএ পদে মনোনয়ন দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই অবসরপ্রাপ্ত জজ সাহেব আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। সুতরাং এমএনএ পদে আমার মনোনয়ন নিশ্চিত হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম দিন আমার উপস্থাপিত আকাক্সক্ষার বিষয়টি উপেক্ষা করার সময় দুঃখভরা মুখাবয়ব মনে রেখেছিলেন এবং আমার সৌভাগ্যের চাকা এভাবে খুলে যাওয়ার বিষয়টি ভেবে সেদিন এমনভাবে অট্টহাসিতে পরিবেশটাকে স্মৃতিসিক্ত করে দিলেন। আমার জীবনে এ ধরনের সৌভাগ্যজনক ঘটনার উদাহরণ বহু আছে।” (আমার জীবননীতি, আমার রাজনীতি- মো. আবদুল হামিদ, পৃষ্ঠা ১৫২)।

বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর আংশিক জীবনীগ্রন্থ এবার বইমেলায় প্রকাশ করেছেন। প্রকাশিত গ্রন্থে তিনি তাঁর জীবনের ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সময়কাল তুলে ধরেছেন পাঠকদের জন্য। যদিও তাঁর রাজনীতির বিকাশকাল এরপর ব্যাপক বিস্তৃত। কিন্তু এ সময়টুকুর ঘটনাবলি প্রকাশে তিনি থেকেছেন সৎ এবং অকপট। জীবনের প্রাপ্তিগুলোকে ‘সৌভাগ্য’, ‘খোদাই রহমত’ কিংবা ‘অলৌকিক’ বলেই বারবার উল্লেখ করেছেন। নিজের আদর্শ, ত্যাগ, নিষ্ঠাকে সারল্য দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা আছে তাঁর এ জীবনী গ্রন্থে। কিন্তু তারপরও সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে পশ্চাৎপদ তৃণমূলের তরুণদের উদ্দীপনা জোগাতে এ গ্রন্থটি অসাধারণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। তবে আমি খুশি হয়েছি গ্রন্থটি প্রকাশের সময় নির্বাচনে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে আবদুল হামিদের বিদায়ের আয়োজন শুরু হয়েছে। এখন তিনি বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রপতি থেকেছেন ‘ভাটি শার্দূল’। একদিকে তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষ। হাস্যরসে তিনি তাঁর রুটিন বক্তৃতাগুলোকেও উপভোগ্য করে তুলতেন। একেবারে খোলামেলা ভাষায়, কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক টানে কথা বলে তিনি মুগ্ধতা ছড়াতেন। জনগণ তাঁকে নিজের মানুষ, আপনজন ভাবতেন। রাষ্ট্রপতির ভাবগাম্ভীর্যের দেয়াল তিনি উপড়ে ফেলেছিলেন। আবার আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল, অনড়। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এ মানুষটি তাঁর জীবনীগ্রন্থেও এর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এভাবে- ‘আসলে জীবনে কোনো বিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত একবার গৃহীত হয়ে গেলে এর থেকে ফিরে এসেছি এমন উদাহরণ আমার মনে পড়ে না। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জীবন বাজি রেখে নেমে পড়তাম।’ (পৃষ্ঠা ১২৮, আমার জীবননীতি, আমার রাজনীতি)। ৬০-এর দশকে গুরুদয়াল কলেজে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এখান থেকেই রাজনীতিতে প্রবেশ। দীর্ঘ ৬০ বছরের বেশি সময়ে রাজনীতির মাঠে আবদুল হামিদের বিচরণ। এ দীর্ঘ সময়ে তাঁর রাজনীতিতে আদর্শিক বিচ্যুতি নেই। পদস্খলন নেই। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে, এলাকায় রাজনীতি করার জন্য যেমন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মায়া ত্যাগ করেছিলেন, তেমনি তাঁর নির্দেশেই ’৭১-এর মার্চে উত্তাল সময়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ট্রেনযাত্রা করেছিলেন ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ। ’৭৫-এর পর যেমন আবদুল হামিদ বিভ্রান্ত হননি, খুনি মোশতাকের প্রলোভনে নিজেকে বিকিয়ে দেননি, তেমনি এক-এগারোর সময় তাঁর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেতারা তাঁর অবস্থান নড়চড় করতে পারেননি। শেখ হাসিনার পক্ষে অটল অবস্থানে থেকে তিনি প্রমাণ করেছেন আদর্শে তিনি কতটা অনড়। কত দৃঢ়। ‘সৌভাগ্য’ অথবা ‘খোদাই রহমত’ তো তাঁর ছিলই। কিন্তু প্রতিটি সৌভাগ্যকে তিনি যথাযথ প্রমাণ করেছেন নিজ যোগ্যতায়। এ কারণেই গত ৭ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং সংসদীয় দলের নেতা রাষ্ট্রপতির অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রপতির আদর্শের প্রতি অবিচল থাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন। সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় দলের ভিতর থেকেও নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তখন ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন।’ ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির পদ অনেকটাই অলংকারিক। কিন্তু নির্বাচনের সময় সংবিধানের অন্তর্নিহিত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দাতাসংস্থা, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের নানা প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় বঙ্গভবন। এ সময় রাষ্ট্রপতির দৃঢ়তা, গ্রহণযোগ্যতার চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়। তার চেয়েও বড় কথা, নির্বাচনকালীন অশুভ গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির অবৈধ ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যবস্তু হন রাষ্ট্রপতি। ব্যক্তিত্বহীন, লোভী, আদর্শহীনরা এ সময়ে ভয়ে বা প্রলোভনে গণতন্ত্রকে বিকিয়ে দেন। যেমন দিয়েছিলেন ড. ইয়াজউদ্দিন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে আবদুল হামিদ এ পরীক্ষায় দুবার উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর রাষ্ট্রপতি মেয়াদকালে দেশে দুটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুটি নির্বাচনের সময়েই সংবিধানের বাইরে গিয়ে গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করার শঙ্কা ছিল। চেষ্টাও ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন অসাধারণ দক্ষতায়। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও রাষ্ট্রপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং সম্মান দেখান। টানা ১০ বছর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকেও আবদুল হামিদ বিদায় নিচ্ছেন তুমুল জনপ্রিয় অবস্থায়। রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর চেয়ে বেশি দিন যেমন কেউ থাকেননি, তেমনি তাঁর মতো অভাবনীয় জনপ্রিয়তা নিয়েও কেউ দায়িত্ব পালন করেননি। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কতটুকু, তিনি দেশের জন্য কী করলেন, সে প্রশ্ন ছাপিয়ে রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিলেন। কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে জিএস হিসেবে জয়ী হওয়া, ভিপি পদে বিপুল ভোটে বিজয় কিংবা ’৭০-এর নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর জামানত হারানো, আবদুল হামিদের তুমুল জনপ্রিয়তার প্রমাণ। এ জনপ্রিয়তা তিনি ধরে রেখেছেন বিদায় বেলাতেও। কীভাবে? এর একটি কারণ আমরা শুরুতেই আলোচনা করেছি। আদর্শে অবিচল থাকা। এর চেয়েও বড় কারণ হলো- তাঁর বাঙালিত্ব। তিনি এ দেশের কাদা-জলে বেড়ে ওঠা সন্তান। শেকড় থেকে তিনি বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছেন। এর এক ঝলক পাওয়া যায় রাষ্ট্রপতির লেখা গ্রন্থটিতে। তিনি কিশোর বয়সে ছিলেন ডানপিঠে। খেত থেকে শসা চুরি করেছেন। ডাব চুরি করে হোস্টেলের ছাত্রদের বিলি করেছেন। এমনকি তামাকপ্রীতির কথা অকপটে বলেছেন- ‘আমার তামাকপ্রীতির হাতেখড়ি হাওরে দাওয়াইল্লা কামলাদের সঙ্গে। শৈশবের এই প্রথম প্রেমটা আজও ছাড়তে পারিনি। সহস্রবার চেষ্টা করেছি, পারিনি।’ (পৃষ্ঠা-৪২)। অকপটে লিখেছেন- ‘এই সময়টাতে ছাত্রদের মধ্যে পৌরুষ প্রদর্শনের জন্য উত্তম কুমারের মতো সিগারেট খাওয়ার বাতিক ধরলো আমাকে।’ (পৃষ্ঠা ৭৭)। এটাই আবদুল হামিদ। এখনো তাঁর নিজের কথাগুলো বলেন অকপটে, ভনিতাহীনভাবে। এ কারণেই মানুষ তাঁকে ভালোবাসে। বিশ্বাস করে। আপন ভাবে। কৈশোর-উত্তীর্ণ বয়সে প্রথম প্রেম, নারীর প্রতি ভালোলাগা, সুন্দরীদের প্রতি মুগ্ধতা তাঁকে তাড়িত করত। মেহের নিগারের প্রতি দুর্বলতার কথা এ বয়সেও মনে রেখেছেন। কৈশোর-উত্তীর্ণ রোমান্টিকতা নিয়ে তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি যে কোনো পাঠককেই বিস্মিত করবে। এ প্রসঙ্গে বইটির একটি অংশ উদ্ধৃতি না করে পারছি না।

“আমার নিকলী জিসি হাইস্কুলের দেড় বছরের ছাত্রজীবনের বহু মজার ঘটনা স্মৃতির আকাশে উজ্জ্বল হয়ে আছে। এগুলো থেকে আরও একটি মজার কথা বলি। আমার দুই শ্রেণি নিচে একটি সুদর্শনা মেয়ে পড়ত। নিকলীতেই তার বাড়ি। মেয়েটি চালচলনে ছিল খুবই চটপটে। অনেকেই তার সঙ্গে ভাব জমানোর জন্য ঘুরঘুর করত। মনে মনে নিজেকে রাজা-উজির ভাবলেও তখনকার দিনে অনেকের দৌড়ই থেমে যেত কল্পনাতেই। কানাঘুষায় শুনতে পেলাম আমার এক সহপাঠী তাকে পাওয়ার জন্য প্রাণান্তকর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। খবর পেলাম সে নাকি সাফল্যের কাছাকাছিও এসে গেছে। মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চাপল। তাকে বিষাদের বড়ি খাওয়াতে হবে। একদিন একটা ভাবগম্ভীর পরিবেশ তৈয়ার করে তাকে বললাম, আমি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাই। লোকমুখে শুনলাম তুমি নাকি ওর দিকে চোখ দিয়েছ। চাঁদনি রাতে সাপ দেখার মতো চমকে উঠল সে। আশা ভঙ্গের আতঙ্কে আমার সহপাঠী দুমড়েমুচড়ে গেল। সে জানে আমি হাত বাড়ালে তার স্বপ্ন সুদূরে পালিয়ে যাবে। এতটুকু জানিয়েই চলে এলাম। পরদিন তাকে স্কুলে দেখা গেল না। মেয়েটাও নেই। কিছুকাল পর শুনলাম তার বিয়ে হয়ে গেছে। তবে সেই সহপাঠীর সঙ্গে হয়নি। কয়েক বছর পর নিকলীর পথে লঞ্চে সেই সুদর্শনার সঙ্গে দেখা। সে এখন মেয়ে থেকে পুরোপুরি মহিলায় পরিণত হয়েছে। আমি তাকে অকপটেই বললাম, আমি তো তোমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম মনে মনে। বিবাহিতা মহিলা দেখি লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে। একটু চমকের সুরে সে বলে, ‘হামিদ ভাই যে কী কয়, লজ্জা শরম নাই।’ আমি বললাম, ‘বিয়ে করাতে লজ্জা কীসের?’ থেমে গেল সে, মুখ দেখে বুঝলাম গভীর ভাবনায় ডুবে গেছে। মনে মনে হয়তো বলছে ‘আগে কইলেন না কেন?’ কথাবার্তা শেষ না হতেই লঞ্চ চুনতি ঘাটে এসে ভিড়ল। সবকিছু অসমাপ্ত রেখেই নেমে গেল সেই মহিলা। তারপর মেঘনায় অনেক জল বয়ে গেছে। দেশ স্বাধীন হলো। বহুদিন পর আমি তখন স্পিকার। হঠাৎ এক বিকেলে টেলিফোন। অপর প্রান্ত থেকে জানাল একজন মহিলা কথা বলতে চায়। আমি জানতে চাইলাম কোন মহিলা। নিকলীর সেই চটপটে মেয়ে। স্মৃতিতে খুঁজে পেলাম না। তবু ফোন লাগাতে বললাম, পরিচয় দিল। সর্বশেষ দেখা হয়েছিল চুনতি ঘাটে নামার আগে, লঞ্চে। হঠাৎ করে রঙিন স্মৃতি জেগে উঠল মনের আকাশে। আলাপে আবারও হারিয়ে গেলাম। সে আবদার করল তার ছেলেটার যেন একটা ব্যবস্থা করে দেই। আমি আবারও হাস্য-রসিকতা করে বললাম, অবশ্যই করব। তোমাকে বিয়ে করলে এই ছেলে তো আমারই হতো। আবারও সেই লঞ্চে বিয়ের মতো কথা থেমে গেল তার। হয়তো অনেক কিছু ভেবে থাকবে। জীবন কত বিচিত্র।” (পৃষ্ঠা ৯৭)।

বাল্য প্রেমের স্মৃতি স্পিকার হয়েও আঁকড়ে রেখেছেন। এটা প্রকাশে কোনো কপটতার আশ্রয় নেননি। এভাবেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। তাদের মনের ভিতর জায়গা করে নিয়েছেন। এ ভন্ডামিহীন স্বভাবই তাঁকে রাজনীতিতে দিয়েছে অতুলনীয় জনপ্রিয়তা। জনগণের ভালোবাসা।

আমাদের চারপাশে এখন যারা রাজনীতি করেন তারা কজন এরকম অনায়াসে নিজের কথাগুলো অবলীলায় বলতে পারবেন? কজন বলতে পারবেন তারা আবদুল হামিদের মতো। তিল তিল করে বেড়ে উঠেছেন, কিন্তু নিজেকে পাল্টাননি। একই রকম আছেন। চারপাশে তাকালেই দেখা যায় বদলে যাওয়ার হিড়িক। যখন বিরোধী দলে ছিলেন দেখা হলেই জড়িয়ে ধরতেন। তারপর এমপি হলেন। দামি পাজেরো হাঁকিয়ে যান। দেখা হলে মেকি এক উৎকট হাসি দিতেন। এরপর যখন মন্ত্রী হলেন, তখন দুঃসময়ের সাথীদেরও চেনেন না। কথাবার্তা আচরণে মনে হয় জমিদার। এরকম উদাহরণ বহু। চারপাশে অগণিত এরকম মুখোশ পরে অতীত ঢেকে রাখা মানুষ। অহংকারে এদের যেন মাটিতে পা পড়ে না। এরা মানুষকে মানুষ মনে করে না। সেদিন সরকারি দলের একজন হুইপকে জিজ্ঞেস করলাম ‘সারা দেশে এত উন্নয়ন, তারপরও কেন আওয়ামী লীগের ভোটে জয় নিয়ে সংশয়। কেন অনেক এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা তলানিতে।’ তিনি উত্তর দিলেন- ‘ব্যবহার। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে আওয়ামী লীগের অনেকের মধ্যে দাম্ভিকতা এবং অহংকার প্রকট আকার ধারণ করেছে। এটা সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। ঘৃণা করে। কিছু কিছু এমপির জনপ্রিয়তা ধসের এটি একটি বড় কারণ।’ এরা তো রাষ্ট্রপতির জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতি হয়েও তিনি অতি সাধারণ হাস্যরসে ভরপুর স্বভাবের মানুষ। মাটিতে পা রেখেছেন।

কদিন আগে সরকারের একজন মেধাবী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি আমাকে তার অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। লিবিয়ার দায়িত্ব শেষ করে ওই কর্মকর্তা সপরিবারে ঢাকায় ফিরছেন। বিমানবন্দরে বসে আছেন। এ সময় দেখলেন, একজন বাঙালি যাত্রী অসুস্থ। তিনি তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- বাংলাদেশে যাবেন নাকি। ভদ্রলোক হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলেন। সরকারি কর্মকর্তা দেখলেন লোকটি বেশ অসুস্থ। তিনি অসুস্থ ব্যক্তিকে সহায়তা করার জন্য আরেক বাংলাদেশিকে খুঁজে বের করলেন। তাকে অনুরোধ করলেন, দুবাইতে যেন অসুস্থ ব্যক্তিকে সহযোগিতা করে এবং কানেকটিং ফ্লাইটে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ওই সহৃদয় ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হলেন। কিন্তু প্লেনে যাত্রীদের ওঠানোর সময় ওই যাত্রীর অসুস্থতার মাত্রা বেশি হওয়ায় তাকে ‘অফলোড’ করা হলো। সরকারি কর্মকর্তা এয়ারলাইনসের লোকজনকে অনুরোধ করলেন বটে। কিন্তু তাতে কাজ হলো না। তিনি দূতাবাসের গাড়ির ড্রাইভারকে ফোন করে বললেন, একজন অসুস্থ ব্যক্তি যাচ্ছেন, তাকে দ্রুত যেন হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অসুস্থ ব্যক্তিকেও তিনি বললেন, বাইরে তার জন্য গাড়ি অপেক্ষা করছে। ওই গাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাবে। যথারীতি ত্রিপোলি থেকে প্লেন ছাড়ল। দুবাইতে ট্রানজিটের সময় সরকারি কর্মকর্তাকে খুুঁজে বের করলেন সেই তরুণ। যার সহায়তা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য তিনি চেয়েছিলেন। তরুণটি বলল, ‘অসুস্থ ব্যক্তিকে খুঁজে পাচ্ছি না।’ সরকারি কর্মকর্তা তাকে বিনয়ের সঙ্গে বললেন, ‘তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন। প্লেনে তাকে নেয়নি। আমি দূতাবাসকে বলেছি। দূতাবাসের গাড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবে।’ তরুণ এবার হতাশ। বললেন, ‘আহারে, মানুষটার যা-ও বাঁচার সম্ভাবনা ছিল দূতাবাসের পাল্লায় পড়ে এখন তার আর বাঁচার আশা নেই।’ ওই সরকারি কর্মকর্তা আমাকে বলছিলেন, ‘এটাই হলো বাস্তবতা। সাধারণ মানুষ সরকারি কথা বিশ্বাস করে না।’ আবদুল হামিদের বইটি পড়তে পড়তে আমার ওই মেধাবী কর্মকর্তার গল্পটা মনে পড়ল। জনগণ এবং সরকারের মধ্যে অবিশ্বাসের দেয়াল ক্রমশ যেন বড় হচ্ছে। একটি সরকার মন্ত্রী, এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়েই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কজন মন্ত্রীর কথা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে? মন্ত্রী যখন বলেন জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না, তখন মানুষ মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়। সরকারি কর্মকর্তা যখন বলেন ‘দেশের অর্থনীতিতে কোনো সংকট নেই’, তখন মানুষ আসন্ন অর্থনৈতিক সংকটের কথায় শঙ্কিত হয়। এমপি সাহেব যখন বলেন ‘আমি জনগণের পাশে আছি’, তখন সাধারণ জনগণ ভয় পায়, আমার কি সমস্যা হবে। কেন এ অনাস্থার সংকট? এর কারণ দুটি। প্রথমত, সরকারের লোকজন অকপটে সত্যি কথা বলেন না। দ্বিতীয়ত, তারা জনগণের ভাষায় কথা বলে না। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এক্ষেত্রে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত না হওয়া এ মানুষটি অকপটে সত্যটা বলতেন। এমনটি তাঁর জীবনীগ্রন্থেও তিনি চাইলে অনেক ঘটনাই এড়িয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু সত্যের মুখোমুখি হওয়ার যে সাহস তিনি দেখিয়েছেন সেটাই তাঁকে মহিমান্বিত করেছে। তাঁর অকপট সত্য ভাষণই তাঁকে বিশ্বাসযোগ্য করেছে। দ্বিতীয়ত, আবদুল হামিদ সারা জীবন জনগণের ভাষায় কথা বলেছেন। এমনকি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও তাঁর হাস্যরস এবং হিউমার কোনো ভাড়িক্কির আড়ালে ঢেকে যায়নি। যে কোনো রাজনীতিবিদের জন্য এটি বড় শিক্ষা।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর গ্রন্থে একাধিকবার নিজেকে সৌভাগ্যবান বলেছেন। তিনি লিখেছেন ‘... জীবনে আমি মনে মনে যুক্তিসম্মত যা কিছু চেয়েছি, অনেকটাই অলৌকিকভাবেই তা পেয়ে গেছি। যদিও অলৌকিকতায় আমার একেবারেই আস্থা নেই। তবে বাস্তবে এমন কিছু পেয়েছি যা অলৌকিকত্বের পর্যায়েই পড়ে।’ (পৃষ্ঠা ১৯)। সত্যিই তো। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া এক ডানপিঠে, দুরন্ত বালকের ধীরে ধীরে রাষ্ট্রপতি হওয়ার ঘটনা তো রূপকথার মতোই। তিনি সুযোগ পেয়েছেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন নিজ যোগ্যতায়। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার হওয়ার আগে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে ছিলেন না। স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর মতো কেতাদুরস্ত স্পিকারের পাশে তিনি নিজেকে উজ্জ্বল করে মেলে ধরেছেন। হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাঁকে স্পিকার করতে একমুহূর্তও ভাবতে হয়নি কারও। স্পিকার হিসেবে তিনি ছিলেন উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিরোধী দলের উপনেতা হন। তাঁর এ নিযুক্তি যে সঠিক ছিল তা আবদুল হামিদ প্রমাণ করেছেন ২০০৭ সালে অনির্বাচিত সরকারের সময়, সাহসী অবস্থান নিয়ে। জিল্লুর রহমানের রাষ্ট্রপতি হওয়াটা ২০০৯ সালে ছিল অবধারিত। তাঁর মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি পদকে মহিমান্বিত করেছেন আবদুল হামিদ আপন যোগ্যতায়, মেধায়। তিনি প্রমাণ করেছেন এ পদের জন্য রাজনীতিবিদরাই সবচেয়ে যোগ্য। সম্মান এবং মর্যাদা নিয়েই তিনি বিদায় নিচ্ছেন। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এখন এক অদ্ভুত ধাঁ ধাঁ।  মিঠামইনে বেড়ে ওঠে, অজপাড়াগাঁয়ের নিকলী জিসি হাইস্কুলে পড়ে, গুরুদয়ালে ছাত্ররাজনীতি করা কাদামাটির গন্ধমাখা কেউ আর কি রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন? রাষ্ট্রপতি তো দূরের কথা এলিট স্কুল-কলেজ না পড়ে বিপুল বিত্তের মালিক না হয়ে কি কেউ এমপি হতে পারবেন? নেতা হতে পারবেন?

পাদটীকা : রাষ্ট্রপতির আত্মজীবনীটা ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। আমি আশা করব তিনি অবসরে গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনী লিখবেন। বাংলাদেশের জন্য, রাজনীতির জন্য এরকম একটি গ্রন্থ খুবই জরুরি।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
কৃত্রিম সারসংকট
কৃত্রিম সারসংকট
খানাখন্দে ভরা সড়ক
খানাখন্দে ভরা সড়ক
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার
ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা
মরণযাত্রা
মরণযাত্রা
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
সর্বশেষ খবর
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত

৩৮ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি
রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল
গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর
বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি
বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি
চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই
প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ
আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ
নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা
লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান
রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল
এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা
দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস
১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রধান শিক্ষকের সংসার, মাঠ যেন গো-চারণভূমি
বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রধান শিক্ষকের সংসার, মাঠ যেন গো-চারণভূমি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পেকুয়ায় নৌবাহিনীর তিন দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন শুরু
পেকুয়ায় নৌবাহিনীর তিন দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন শুরু

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প
গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে
কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি
আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত
দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প
ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ
অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ
ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর
‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা

২৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প
হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু
প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলনে থাকছেন না হামাস-ইসরায়েল
ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলনে থাকছেন না হামাস-ইসরায়েল

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিশরে শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের সাথে থাকছেন যারা
মিশরে শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের সাথে থাকছেন যারা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা
জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা

১৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা
ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’
‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন
ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান
পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
কিছুই থাকে না বিএনপির
কিছুই থাকে না বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার
রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত
জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত

পেছনের পৃষ্ঠা

ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ
ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের
সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে

নগর জীবন

বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা
বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ
এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ

নগর জীবন

মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে

নগর জীবন

সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম
সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে
আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে

প্রথম পৃষ্ঠা

দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

মধ্যরাতে র‌্যাগিং, ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
মধ্যরাতে র‌্যাগিং, ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

নগর জীবন

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর
উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর

নগর জীবন

বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা
বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা

নগর জীবন

সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর
সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

টিকা মানেই টাকা
টিকা মানেই টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে
পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই আগস্টে মানবতাবিরোধী ব্যাপক অপরাধ
জুলাই আগস্টে মানবতাবিরোধী ব্যাপক অপরাধ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই
আমার কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই

নগর জীবন

পাক-আফগান সংঘাতও বন্ধ করতে চান ট্রাম্প
পাক-আফগান সংঘাতও বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু

নগর জীবন

জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে
জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে

নগর জীবন

পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সামগ্রী বিতরণ
পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সামগ্রী বিতরণ

নগর জীবন