তুলসী পাতা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহƒত হয়ে আসছে। তুলসী প্রচুর অক্সিজেন উৎপন্ন করে এবং গাছের চারপাশে স^াস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করে। তুলসী তিন প্রকার (১) কালো (২) সাদা ও (৩) বনতুলসী। তুলসী বাঙালির হিন্দু সমাজ পবিত্র মনে করে এবং বিভিন্ন পূজা-পার্বণেও এর বহুল ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। বদহজম বা অজীর্ণ রোগে তুলসী পাতা অপরিহার্য। কয়েকটি তুলসী পাতা বেটে ৩-৪টি গোলমরিচ গুঁড়া করে খেলে বদহজম দূর হয়। তুলসী পাতা বেটে ১০ গ্রামের বড়ি বানিয়ে দৈনিক ১-২ বার খেলে দুর্বল ব্যক্তি শরীরে শক্তি ফিরে পাবেন। তুলসী পাতার রস, কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে সামান্য দুধ মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার লাগালে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শরীরের সাদা দাগ দূর হয়।
খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে বা বিষাক্ত ফল খেলে কিংবা বিষ খেয়ে ফেললে রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তুলসীর রস খাওয়ালে মৃত্যুর হাত থেকে রোগীকে রক্ষা করা যায়। তুলসী পাতার রস ছোট চামচ দিয়ে ৫ চামচের সঙ্গে অথবা চাক মিছরি মিলিয়ে রোজ ৩-৪ বার খেলে ব্যথা কমে যায়। চোখ উঠলে তুলসী পাতার রস দিনে ৩-৪ বার ব্যবহার করলে চোখের যন্ত্রণা কমে যায়। শরীরে বিশেষ করে মুখে কালো দাগ থাকলে কালো তুলসীর রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে কালো দাগে ৭-৮ দিন ২-৩ বার করে লাগালে কালো দাগ ওঠে যায়। ২৫ গ্রাম তুলসী পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মিছরির গুঁড়া মিশিয়ে কয়েক দিন ৩ বার করে খেলে ফল পাওয়া যায়। ঘন ঘন বমি হলে তুলসীর রস এবং মধু সমপরিমাণে মিশিয়ে খেলে দ্রুত বমি বন্ধ হয়ে যায়। যকৃৎ বৃদ্ধি বা যকৃতে কোনো রোগ হলে তুলসীর পাতা সিদ্ধ করে সমপরিমাণ পানি ঠান্ডা করে খেলে উপকার হয়। এ রোগে আদার রসের সঙ্গে সমপরিমাণে মধু এবং কালো তুলসীর রস সকাল-বিকাল ২-৩ চামচ করে খেলে কিছুদিনের মধ্যে এ রোগ ভালো হয়। কান পাকলে তুলসী পাতার রস সামান্য গরম করে কানে দিলে কান পাকা ভালো হয়।