বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ট্রলারে ১০ লাশ

উপকূলভাগে প্রহরা জোরদার করুন

বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলারের হিমঘর থেকে উদ্ধার করা ১০ লাশের পরিচয় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। লাশগুলো জেলে না ডাকাত দলের তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। লাশগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। গত ৭ এপ্রিল সাগরে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় তারা। বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় এক সময় ছিল ডাকাতদের অবাধ রাজত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সেই রাজত্বের রাশ টেনে ধরা হয়েছে। তারপরও ডাকাতির ঘটনা প্রায়শই ঘটে সাগরপ্রান্তে। উদ্ধারকৃত লাশগুলো নিয়ে বিতর্কের কারণ, তাদের যে ডাকাত সন্দেহে মারা হয়েছে এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছে ঐকমত্য। লাশ শনাক্ত করতে আসা এক মহিলার ভাষ্য, পরিবারের কাউকে না বলে তার ছেলে সাগরে মাছ শিকারে যায়। রবিবার উদ্ধার লাশগুলোর মধ্যে তার সন্তান আছে কি না দেখতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে গেলে শার্ট ও প্যান্ট দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ এপ্রিল মহেশখালী এলাকার ফিশিং বোট থেকে উদ্ধারকৃত জেলেদের ডাকাত সন্দেহে মেরে ফেলে অপর জেলেরা। পরে তাদের ওই বোটের হিমাগারে ঢুকিয়ে রেখে পাটাতনে পেরেক মেরে দিয়ে বোটটি পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। ১৫ দিন পর ফিশিং বোটটি সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে সাগরে ভাসতে দেখে অপর জেলেরা। কাছে গিয়ে পচা গন্ধ পেয়ে বোটটি টেনে নাজিরারটেক এলাকায় নিয়ে যায় তারা। পরে প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা হিমাগারের পাটাতন ভেঙে লাশগুলো উদ্ধার করে। আমরা আশা করব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধারকৃতদের সঠিক পরিচয় উদ্ঘাটনের চেষ্টা করবে। পাশাপাশি জেলেদের নিরাপত্তায় সাগর উপকূলে জোরদার করা হবে প্রহরা ব্যবস্থা। দেশের উপকূলীয় এলাকা জলদুস্য ও মাদক পাচারকারীদের থাবামুক্ত করা সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর