শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু ও কভিড-১৯

চাই জনসচেতনতা

বর্ষা মৌসুমকে ডেঙ্গুর সময় হিসেবে ভাবা হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষার আগেই হানা দিয়েছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার বর্ষার আগেই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা অন্য বছরের চেয়ে বাড়তে পারে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকেও স্বীকার করা হয়েছে, এ বছর প্রথম পাঁচ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তারা এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ৫৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছর মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। তবে ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ আক্রান্তদের সবাই হাসপাতালে ভর্তি হন না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, হাসপাতালে এ বছর জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসের ২০ দিনে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৬১ জন। জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন এবং মে মাসে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোয় ৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তবে গত বছর ওই সময় পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। গত বুধবার কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন। মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন, সোমবার আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। চলতি বছর অসময়ে ডেঙ্গুর আগ্রাসন এবং ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের বিষয়ে জারিকৃত রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার করলেও বাংলাদেশে এখনো প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হচ্ছে। অনেকেই থেকে যাচ্ছেন চিহ্নিতের তালিকার বাইরে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি হলে ডেঙ্গু ও করোনার হাত থেকে দেশের নাগরিকদের নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর