মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পিঁয়াজ বিসংবাদ

মুনাফাখোরদের দমন করুন

পিঁয়াজের দাম রাতারাতি দ্বিগুণ হওয়ার পেছনে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিই জড়িত। ভারত বিদেশে পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর রাতারাতি দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। অথচ দেশে পিঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের যে পিঁয়াজ কেনা আছে তার সরবরাহ বন্ধ হয়নি। প্রতিদিনই পিঁয়াজ এসেছে দেশে। ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে কড়া অবস্থান নিয়েছে সরকার। ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা ৫২ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ছাড়া সারা দেশে অভিযান চালাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে সাড়ে ৬ লাখ টনের বেশি পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি এ মুহূর্তে দেশি মুড়িকাটা পিঁয়াজও বাজারে আসতে শুরু করেছে। গত শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৭৪৩ টন পিঁয়াজ দেশে এসেছে। বেনাপোল বন্দরে টিসিবির আমদানি করা ৬০ টন পিঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। আর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার টন পিঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়। এগুলো দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে। গত শনিবার পিঁয়াজের দাম সর্বকালের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পিঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। এ দাম এক সপ্তাহ আগের চেয়ে দ্বিগুণ। ভারত ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পিঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশে পিঁয়াজের বাজারে নজিরবিহীন অস্থিরতা দেখা দেয়। ভারত চার মাসের জন্য বিদেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে অভ্যন্তরীণ বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে। পরিণতিতে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশি ভোক্তারা। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে পরনির্ভরতা কাটিয়ে দেশে পিঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি রাতারাতি নিত্যপণ্যের দাম যথেচ্ছভাবে বাড়ানোর যে প্রবণতা মুনাফাখোরদের মধ্যে গড়ে উঠেছে তা কঠোরভাবে দমন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর