বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাস যেমন গৌরবময় অতীতের, তেমনি বেদনাদায়কও। ব্রিটিশদের হাত থেকে সাতচল্লিশে মুক্তি, একাত্তরে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা, অতঃপর চব্বিশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তি। মাঝে প্রায় আট দশক পার হলেও দেশ এখনো রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি, নেতৃত্বসংকট, আস্থার ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের দুষ্টচক্রে বন্দি। সাম্প্রতিক সময়ের ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানের জনবিস্ফোরণ এবং নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার জন-আকাক্সক্ষা আবারও আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে একটি দেশের টেকসই উন্নয়ন কেবল অবকাঠামো বা প্রবৃদ্ধির ওপর দাঁড়ায় না, দাঁড়ায় নৈতিক ও দায়বদ্ধ নেতৃত্বের ভিত্তির ওপর। কারণ নেতৃত্বই মূলত জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের কারিগর। এই প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়ান রিফরমিস্ট প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের রাষ্ট্র মেরামত প্রকল্পের একটি প্রধান পলিসি হলো মালয়েশিয়ান মাদানি। যা মূলত গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মালয়েশিয়া গড়ার রূপকল্প। বাংলাদেশের অন্যতম একটি সমস্যা হলো নেতৃত্ব কিংবা রাষ্ট্র নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মডেল না থাকা। এ প্রেক্ষাপটে বাংলদেশি MADANI নেতৃত্ব কাঠামো আমাদের জন্য এক সম্ভাবনাময় দিকনির্দেশনা হতে পারে।
নৈতিক নেতৃত্ব : বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার লোভ, অসততা, পরিবারতন্ত্র ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক নেতৃত্বে আক্রান্ত। এখানে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে খেদমতের রাজনীতি তথা ‘সেবামূলক নেতৃত্ব’ বা ‘নৈতিক নেতৃত্ব’-এর ধারণা প্রায় হারিয়ে গেছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন চলাকালে যাঁরা বঙ্গ মুলুকে রাজনীতি করতেন তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখতে পাওয়া যেত। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, নওয়াব সলিমুল্লাহ, আবুল মনসুর আহমদ ও শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দীর কথা তো সবারই জানা। তাঁদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূলে ছিল জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন। এ ছাড়া হাজী শরীয়তুল্লাহর ফরায়েজি আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশেরকেল্লা ও নূরুল দিনের কৃষক বিদ্রোহ ছিল বঞ্চিত ও শোষিত কৃষক শ্রেণিকে নিয়ে উচ্চবর্ণীয় হিন্দু জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে আপনার পায়ে দাঁড়ানোর অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা। তাই দেশ ও দেশের মানুষকে এগিয়ে নিতে হলে নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য হতে হবে ‘সেবা’, ‘ক্ষমতা ভোগ’ কিংবা ‘ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি’ নয়, যেমনটা দেখেছি আমরা গত ৫৪ বছরে। আর গত ১৫ বছরে তো এক শেখ পরিবারের কাছে পাচার হয়ে জমা হয়েছে লক্ষ কোটি টাকা। মাদানি কাঠামো আমাদের শেখায় নেতৃত্ব হলো জনগণের পক্ষ থেকে আমানত। তাই নেতৃত্বের মূল লক্ষ্যই হওয়া উচিত জনসেবা। একই সঙ্গে একজন নেতাকে হতে হবে স্বচ্ছ, নীতিমান, মানবিক। বাংলাদেশে আমরা প্রায়ই দেখি, নেতা জনগণের কণ্ঠস্বর না হয়ে শুধু নিজ দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থেই কাজ করে, গত ১৫ বছরে যা সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশ ২.০-তে যদি নৈতিক ও সেবামূলক নেতৃত্ব জোরদার করা যায়, তবে জুলাইয়ে জনগণ যেমন করে রাজনৈতিক হয়ে উঠেছিল তেমন করে আবারও সামগ্রিক রাজনীতিতে আস্থা ফিরিয়ে আনবে।
আমানতদারিতা : বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরও একটি বড় সংকট হলো স্বচ্ছতা, বিশ্বস্ততা ও দায়বদ্ধতার, সর্বোপরি আমানতদারিতার অভাব। সরকারি সিদ্ধান্ত হোক কিংবা অর্থনৈতিক প্রকল্প, অনেক সময়ই এতে জবাবদিহি দেখা যায় না। অথচ দেশের সিংহভাগ মানুষের বিশ্বাসের ইসলামি দর্শনে আমানত বা অর্পিত দায়িত্বকে বিশ্বস্তভাবে পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আল্লাহ বলেন ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন আমানতসমূূহ তার হকদারদের কাছে পৌঁছে দিতে।’ (সুরা নিসা ৪:৫৮)
একই সঙ্গে আধুনিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নির্ণয়ের অন্যতম উপকরণ হলো ‘Accountability’। এর মানে শুধু সংসদীয় জবাবদিহি নয়; এটি দ্বারা সামগ্রিক নৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে বোঝানো হয়। একজন মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি বা আমলা যখন জনগণের টাকায় কাজ করেন, তখন প্রতিটি সিদ্ধান্তের জন্য জনগণের কাছে উত্তর দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। সব ধরনের দুর্নীতি, গোষ্ঠীতন্ত্র ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে আইন, নিয়মতান্ত্রিকতা এবং মেধাতন্ত্রের ওপর নির্ভরতা হলো প্রকৃত অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি বা আমানত রক্ষা।
বৈচিত্র্য এবং গণতন্ত্র : বাংলাদেশর সিংহভাগ মানুষ মুসলমান ও বাঙালি হলেও একটি বহুবর্ণের সমাজ। ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস ও অঞ্চলভিত্তিক বৈচিত্র্য এখানে বাস্তবতা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বৈচিত্র্যকে শক্তি হিসেবে কাজে লাগানোর বদলে প্রায়ই রাজনৈতিক বিভাজনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ও ’৭১-পরবর্তী সময়ে একে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এ ছাড়া ভোটারবিহীন নির্বাচনসহ সব ধরনের গণতান্ত্রিক আচরণকে জাদুঘরে পাঠানোর মধ্য দিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল হাসিনা সরকার।
MADANI কাঠামোতে গণতন্ত্র ও বৈচিত্র্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় গণতন্ত্র মানে যেমন সুষ্ঠু নির্বাচন একইভাবে অন্তর্ভুক্তি। এখানে সংখ্যালঘু, পাহাড়ি, বিহারি নারী, তরুণ, শ্রমজীবী, কৃষক সব মানুষ সবাই সমান মর্যাদায় অংশগ্রহণ করবে, যেমন করে তারা নেমে এসেছিল জুলাইয়ের রাজপথে। সর্বোপরি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি যতই অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে, রাষ্ট্র ততই দৃঢ হবে। নেলসন ম্যান্ডেলা গণতন্ত্র ও বৈচিত্র্য নিয়ে বলেছিলেন : অন্তর্ভুক্তি ও সহনশীলতা শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, এগুলো নৈতিক কর্তব্য। বাংলাদেশের সমাজে সংখ্যায় স্বল্প মনে হলেও আদতে বিশাল জাতিগত ও ধর্মীয় বৈচিত্র্য রয়েছে। এই বৈচিত্র্যকে ঐক্য ও শক্তিতে রূপান্তর করতে না পারলে গণতন্ত্র অতীতের মতোই সর্বদা দুর্বল থাকবে।
ন্যায়বিচার : যে কোনো সভ্যতা, রাষ্ট্র ও সমাজের উন্নতি-অবনতি আর উত্থানপতন নির্ভর করে ন্যায়বিচারের ওপর। বাংলাদেশের সাম্প্রতিককালে খুন, গুম, অজস্র রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতির বিচারহীনতাই তৈরি করেছিল ফ্যাসিবাদী বিচারকাঠামো। আর এই সংস্কৃতি সমাজকে এতটা অবিশ্বাসে ভরিয়ে তুলেছে যে জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। অথচ এ ক্ষেত্রে অনুসরণীয় হতে পারত সবার বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ইসলামি দর্শন। যার মূল ভিত্তিই হলো আদল বা ন্যায়বিচার। আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায়বিচারে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকো, যদিও তা তোমাদের নিজেদের, পিতা-মাতা বা আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়।’ (সুরা নিসা ৪:১৩৫)। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা মানে শুধু আদালতে সুবিচার নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রে সুযোগসুবিধার সমবণ্টন। সেখানে শাহবাগ গঠন করে সাজানো ক্যাঙারু কোর্ট বসানো হবে না বরং একজন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগার বা তাদের সহযোগী জাতীয় পার্টি কিংবা ১৪ দলের নেতা-কর্মীদের সুবিচার নিশ্চিত হবে ঠিক তেমনি একজন সাধারণ মানুষ কিংবা বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সমর্থক যে কোনো কোনো তরুণ চাকরি পাবে কেবলই তার যোগ্যতার ভিত্তিতে। যে কোনো গরিব কৃষক পাবে সিন্ডিকেটবিহীন ন্যায্যমূল্যে ফসল বিক্রির সুযোগ, কোনো নারী পাবে তার ওপর সহিংসতার দ্রুত বিচার। মূলত তখনই রাষ্ট্রে প্রকৃত ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে।
সামষ্টিক অর্থনীতি : বাংলাদেশের অর্থনীতি মোটাদাগে বৈদেশিক ঋণ, রেমিট্যান্স ও তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। গত ১৫ বছরসহ অধিকাংশ সময় নানাভাবে এই আয়ের মোটা অংশই সরকার ও সরকার-সমর্থক একটি ব্যবসায়ী অংশের কাছে জমা হয়েছে। তার এই বিশাল পরিমাণ অর্থের অধিকাংশই পাচার হয়েছে বিভিন্ন দেশে। তাই এই প্রবৃদ্ধি সব সময়ই জনগণের জীবনে কোনো প্রভাব পড়েনি। ধনীগরিবের আয় বৈষম্য ক্রমেই আরও বেড়েছে। ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের অসংখ্য উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে পুঁজির সংকটে। যেখানে শুধু দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ব্যাংক দখল থেকে শুরু করে সরকারি অর্থনীতি ভর্তুকির হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে ফ্যাসিবাদী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। এ ক্ষেত্রে MADANI কাঠামোর সামষ্টিক অর্থনীতি ধারণা আমাদের শেখায় অর্থনীতি মানে কেবল রাষ্ট্রীয় প্রবৃদ্ধি নয়, এর মানে হলো নাগরিকের ব্যক্তি পর্যায়ের প্রবৃদ্ধি। শুধু গোপালগঞ্জ বা বগুড়া নয় বরং ক্ষুদ্র কৃষক, শ্রমিক, তরুণ উদ্যোক্তা, নারী উদ্যোক্তা তাদের সবার জন্য বাজারে বড় বড় ব্যবসায়ীর সামনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই এই নয়া অর্থনীতির আসল লক্ষ্য। এটি নিশ্চিত করতে পারলে রাষ্ট্র ও পুঁজি কেবল গুটিকয়েক ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক এলিটের হাতে ঘুরবে না, বরং আপামর জনতা তথা নাগরিকদের মাঝে পুঁজি ও রাষ্ট্রের বিকাশ ঘটবে।
উদ্ভাবন এবং জাগতিক উৎকর্ষ সাধন : একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বিশ্বে আইটি, স্টার্টআপ ও উদ্ভাবনী উদ্যোগে বিশাল সম্ভাবনার প্রতীক। বিশ্বের বড় বড় সব টেক কোম্পানিতে বাংলাদেশি তরুণরা সরাসরি কাজ করছে। এ ছাড়া দেশ থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ফ্রি ল্যান্সিং আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। যা দেশে নতুন ইন্ডাস্ট্রি তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ ক্ষেত্রেই নতুন নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন Innovation। এই ‘Innovation’ মানে কেবল প্রযুক্তিগত আবিষ্কার নয়; এর মধ্যে রয়েছে নতুন সামাজিক চিন্তা, রাজনৈতিক সংস্কৃতির নবায়ন, অর্থনৈতিক মডেলের পরিবর্তন এবং শিক্ষায় নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ। যখন একটি জাতি সাহস করে পুরোনো ব্যর্থতায় ঘেরা শাসন, সংস্কৃতি ও শিক্ষা পদ্ধতি ছেড়ে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করে, তখনই প্রকৃত উদ্ভাবন ঘটে। অন্যদিকে Ihsan মানে উৎকর্ষ ও মানবিকতার সঙ্গে সেই উদ্ভাবনকে বাস্তবায়ন। কেবল প্রযুক্তিগত অগ্রগতি যথেষ্ট নয়, যদি তা ন্যায়বিচার ও মানবিক কল্যাণে না লাগে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবটিক্স ব্যবহার করা যেতে পারে কৃষকের উৎপাদন বাড়াতে, কিন্তু যদি তা কেবল বড় বড় ব্যবসায়ীর স্বার্থে সীমাবদ্ধ থাকে তবে সেটি সমাজে বৈষম্য বাড়াবে, যেমনটা বাড়িয়েছে গত ৫৪ বছর। রসুল (সা.) বলেন ‘আল্লাহ এটাই ভালোবাসেন, যখন তোমাদের কেউ কোনো কাজ করে, সে যেন তা উৎকর্ষ ও ইহসানসহ (সুন্দরভাবে) সম্পন্ন করে।’ (সহিহ বুখারি)। একই সঙ্গে একটি রাষ্ট্রের নেতৃত্ব যদি শিক্ষা ও গবেষণায় ইহসানের সঙ্গে বিনিয়োগ করে এবং যথাযথভাবে পদ্ধতিগতভাবে বৈশ্বিক ও সাংস্কৃতিক মানদণ্ড ঠিক রাখতে পারে তবে তরুণরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাবে। আর প্রযুক্তি ও নিজস্ব সংস্কৃতির এই মিলনই বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে।
লেখক : যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সিভিলাইজেশনাল স্টাডিজ (সিজিসিএস)