শিরোনাম
রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

এক মাসে তারকাবহুল ৫ ছবি

আলাউদ্দীন মাজিদ

এক মাসে তারকাবহুল ৫ ছবি

ঢাকাই চলচ্চিত্র জগতে ছবির খরা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। ছবির স্বল্পতা, নিয়মিত ছবি মুক্তি নেই। যা মুক্তি পায় তার বেশির ভাগই মানহীন। এভাবেই ২০০৮ সালের পর থেকেই চলছে ঢাকাই ছবির চালচ্চিত্র। এর মধ্যেও কখনো কখনো সুবাতাস বয় সিনেমা হলে। চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে পাঁচটি ছবি মুক্তির জন্য সমিতিতে এন্ট্রি হয়েছে। ছবিগুলো হলো- আমার জন্মভূমি, মায়াবতী, অবতার, গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ ও পাগলামি। এরই মধ্যে সেন্সর ছাড়পত্রও পেয়েছে ছবিগুলো।

৬ সেপ্টেম্বর ‘আমার জন্মভূমি’, ১৩ সেপ্টেম্বর ‘মায়াবতী’ ও ‘অবতার’, ২০ সেপ্টেম্বর ‘গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ’ এবং ‘পাগলামি’ মুক্তি পাবে ২৭ সেপ্টেম্বর। মাহিয়া মাহী ও জে এইচ রুশো অভিনীত অবতার ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাহমুদুল হাসান শিকদার। ইয়াশ রোহান ও নুসরাত ইমরোজ তিশা অভিনীত মায়াবতী পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। মারুফ ও লাক্স তারকা অরিন অভিনীত গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ পরিচালনা করেছেন

মুস্তাফিজুর রহমান বাবু। পাগলামী নির্মাণ করেছেন কমল সরকার। এতে অভিনয় করেছেন বাপ্পী  চৌধুরী ও কলকাতার শ্রাবণী রায়। পরিচালক মাহমুদুল হাসান শিকদার বলেন, ‘গত ঈদুল ফিতরে অবতার মুক্তির পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু সেই সময় গুছিয়ে উঠতে পারিনি। ভালো সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। ১৩ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি দিতে যাচ্ছি।’ নুসরাত ইমরোজ তিশা ও স্বপ্নজালখ্যাত ইয়াশ রোহান অভিনীত মায়াবতী ছবির নির্মাতা অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘সেন্সরে ছবিটি প্রশংসিত হয়েছে। মায়াবতীর সফলতা নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী।’

গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ ছবির নির্মাতা বাবু বলেন, অনেক দিন পর খেটে খাওয়া মানুষের গল্প নিয়ে বিনোদন আর সামাজিক মেসেজের গল্পের ছবিটি নিয়ে আসছি। আমার বিশ্বাস এটি সব শ্রেণির দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা পাবে। পাগলামী ছবির পরিচালক কমল সরকার বলেন পিওর রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্পের এই ছবিটি এ দেশের দর্শকের পছন্দের একটি ছবি। এটি নিঃসন্দেহে সফল হবে। সেপ্টম্বরে

পাঁচটি ছবির মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে উচ্ছ্বসিত প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি  খোরশেদ আলম খসরু। তিনি বলেন, ‘সিনেমার সুদিন আসছে’, দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর সমিতির কমিটি গঠিত হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করেছি। সিনেমা মুক্তির সময় প্রযোজকের বাড়তি খরচের চাপ অনেকটাই কমিয়ে এনেছি ইতিমধ্যে। প্রযোজকদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা তৈরি হবে। এক মাসে পাঁচটি তারকাবহুল ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এটি সিনেমার জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আমি মনে করি এখন আমাদের সিনেমার ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’ প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার নওশাদও মাসজুড়ে ছবি মুক্তি পাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, এভাবে প্রতি মাসে যদি প্রত্যেক সপ্তাহে ছবি মুক্তির ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে সিনেমা হলের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব কিছু নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর