শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

ভালো নেই ‘সুজন সখী’

আলাউদ্দীন মাজিদ

ভালো নেই ‘সুজন সখী’

‘সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা, তোমার বেলায় নেব সখী তোমার কানের সোনা, তোমার কাছে পয়সা নেব না...’ গ্রামের দামাল ছেলে সুজন [ফারুক] এভাবেই গানে গানে প্রেম নিবেদন করেছিলেন মনের মানুষ সখীকে [কবরী]। সুজনের এমন হৃদয়কাড়া আহ্‌বান সত্ত্বেও কঠিন মনের সখী গেয়ে উঠলেন- ‘প্রেমের কথা জানি না মনের বদল করি না, পারের কড়ি লইবা যদি লও’।

১৯৭৫ সালের ৬ অক্টোবর মুক্তি পায় খান আতাউর রহমান নির্মিত ফারুক-কবরী অভিনীত ‘সুজন সখী’ ছবিটি। এই দুই অভিনয় শিল্পীর অনবদ্য অভিনয়ে সব শ্রেণির মানুষের কাছে তারা হয়ে উঠেছিলেন প্রেমের প্রতীক সুজন সখী। আজ সবার প্রিয় এই পর্দা-জুটি ভালো নেই।

দুজনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। দুজনই আছেন আইসিইউতে। তাদের এমন অসুস্থতায় দর্শক-ভক্তদের চোখে ঝরছে বেদনার অশ্রু। সবার প্রার্থনা ‘হে ঈশ্বর, তুমি তাদের দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দাও’। ছবিটি নির্মাণের সময় খুব অর্থকষ্টে ছিলেন খান আতা। নিজের দামি রিভলবারও বিক্রি করে দিয়েছিলেন। প্রচারে খুব একটা খরচ করতে পারেননি। তারপরও ফারুক-কবরীর দারুণ অভিনয়ে তুমুল ব্যবসা করে ‘সুজন সখী’। ফারুকের প্রথম ছবি ‘জলছবি’র নায়িকাও ছিলেন কবরী। সুপারহিট রাজ্জাক-কবরী জুটির পর ‘সুজন সখী’তে গড়ে উঠল নতুন সফল জুটি ফারুক-কবরী। জানা গেছে, শুধু ফরুক-কবরীর জীবনঘনিষ্ঠ অভিনয়ের কারণে ‘সুজন সখী’ বাম্পারহিট ব্যবসা করে আয় করেছিল কোটি টাকারও বেশি।

অথচ এর নির্মাণব্যয় ছিল ছয় লাখ টাকারও কম। গত বছর থেকেই নানা অসুখের সঙ্গে লড়াই করে চলছিলেন অভিনেতা ফারুক। সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। গত মার্চে সিঙ্গাপুর যান মেডিকেল চেকআপের জন্য। সেখানে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর ২০ দিন ধরে অচেতন অবস্থায় আছেন আইসিইউতে। গত পরশু থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান স্ত্রী ফরজানা ফারুক। অন্যদিকে চার দিন আগে করোনা ধরা পড়ে অভিনেত্রী কবরীর শরীরে। গত পরশু তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সবার এখন অপেক্ষা, সুস্থ হয়ে প্রিয় সহকর্মী কবরীকে নিয়ে অভিনেতা ফারুক আবার কখন গেয়ে উঠবেন-

‘ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া, বন্দী হইয়া মনোয়া পাখি আমার কান্দে রইয়া রইয়া...।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর