বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্বকাপের ‘থিম সং’ মাতানো তারকারা

বিশ্বকাপের ‘থিম সং’ মাতানো তারকারা

১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ শুরু হলেও ১৯৬২ সালে চিলির আসর দিয়ে শুরু হয় থিম সংয়ের চল। থিম সংয়ের বিপ্লবের শুরু ১৯৯৮ সালে। সে সময় গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে থিম সংয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয় ল্যাটিন গায়ক রিকি মার্টিনকে। রিকির ‘কোপা দে লা ভিদা’ গানটি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন মিউজিক চার্টের শীর্ষে চলে আসে।  তারপর বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন শাকিরার মতো তারকারাও; এবার বলিউড তারকা নোরা ফাতেহিও আছেন থিম সংয়ের মিউজিক ভিডিওতে-

 

১৯৬২ : ‘এল রক দেল মুন্দিয়াল-হোর্হে রয়াস

‘এল রক দেল মুন্দিয়াল’ গানটি বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম অফিশিয়াল থিম সং। চিলির ওই বিশ্বকাপে পারফর্ম করেছিল চিলির ব্যান্ড দ্য র‌্যাম্বলার্স ও আর্জেন্টিনার গায়ক হোর্হে রয়াস। বিশ্বকাপের প্রথম থিম সং হওয়ায় ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। 

 

১৯৬৬ : ‘ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি-লনি ডোনেগান

লনি ডোনেগানের গাওয়া ‘হি ইজ ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি, উই অল লাভ হিম’ বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় থিম সং। শিল্পী লনি ডোনেগানের গাওয়া ‘হি ইজ ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি, উই অল লাভ হিম’ গানে লাল-সাদা-ধূসর বর্ণের উইলি এবং ফুটবল দুটোই নজর কাড়ে।

 

১৯৭০ : ‘ফুটবল মেক্সিকো ৭০-লস এরমানস সাভালা

‘ফুটবল মেক্সিকো ৭০’ শিরোনামের গানটি পারফর্ম করে লস এরমানস সাভালা (সাভালা ভ্রাতৃদ্বয়)। সেবার মেক্সিকোর মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল বিশ্বকাপ।

 

১৯৭৪ : ‘ফুটবল-মারিলা রডোভিচ

১৯৭৪ সালে জার্মানির মারিলা রডোভিচ গেয়েছিলেন ‘ফুটবল’ গানটি। ওই আসরের থিম সংয়ে প্রথম কোনো নারী সংগীতশিল্পী কণ্ঠ দেন। তিনি হলেন জার্মানির মারিলা রডোভিচ।

 

১৯৭৮ : ‘এল মুন্দিয়াল- এনিও মরিকোন

‘মুন্দিয়াল’ সাউন্ডট্র্যাকের রূপকার ইতালিয়ান কম্পোজার এনিও মরিকোন। থিম সংয়ে ফিফা বিরতি টানে ১৯৭৮ সালে। সেবার গানের বদলে একটি সাউন্ডট্র্যাক প্রকাশ করে ফিফা। ইতালিয়ান কম্পোজার এনিও মরিকোন  তৈরি করেন ওই সাউন্ডট্র্যাকটি। যার শিরোনাম ছিল ‘মুন্দিয়াল’।

 

১৯৮২ : ‘মুন্দিয়াল৮২-প্ল্যাসিদো দোমিংগো

প্ল্যাসিডো ডোমিংগোর গান ‘মুন্দিয়াল ’৮২’।  স্পেনিশ ভাষার ‘মুন্দিয়াল ’৮২’ গানটি বিশ্বকাপের জনপ্রিয় থিম সংগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেওয়া গানগুলোর একটি। গেয়েছিলেন জনপ্রিয় স্পেনিশ গায়ক প্ল্যাসিদো দোমিংগো।

 

 ১৯৮৬ : ‘এল মুন্দো উনিডো পর ইউএন ব্যালন-স্পেফানি লরেন্স

‘এল মুন্দো উনিডো পর ইউএন ব্যালন’ গানটি লিখেছিলেন মেক্সিকান কম্পোজার হুয়ান কার্লোস আবারা। আর কণ্ঠ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী এবং মঞ্চ অভিনেত্রী স্পেফানি লরেন্স।

 

১৯৯০ : ‘আনস্তেত ইতালিয়ানা-জিয়ানা নান্নিনি এদুয়ার্দো বেনেতো

১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের থিম সং ‘আনস্টেট ইতালিয়ানা’ গানটি গেয়েছিলেন দুই সংগীতলিল্পী জিয়ানা নান্নিনি ও এদুয়ার্দো বেনেতো।

 

১৯৯৪ : ‘গ্লোরিল্যান্ড-ড্যারিল হল সাউন্ডস অব ব্ল্যাকনেস

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের থিম সং হলো ‘গ্লোরিল্যান্ড’। গানটি পরিবেশন করেছিলেন ড্যারিল হল ও সাউন্ডস অব ব্ল্যাকনেস।

 

১৯৯৮ : ‘কোপা দে লা ভিদা-রিকি মার্টিন

রিকি মার্টিনের ‘কোপা দে লা ভিদা’ গানের পর থেকে ফুটবল বিশ্বকাপে গানের উন্মাদনা শুরু। বিশ্বকাপের অন্যতম স্মরণীয় ও জনপ্রিয় গানগুলোর একটি ‘কোপা দে লা ভিদা’।

 

২০০২ : ‘বুম-অ্যানাস্টাসিয়া

 ২০০২ সালের বিশ্বকাপে ফিফার আনুষ্ঠানিক এই থিম সংটি গেয়েছিলেন মার্কিন সংগীত শিল্পী অ্যানাস্টাসিয়া। গানটির মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন মার্কোসন সিয়েগা।

 

২০০৬ : ‘দ্য টাইম অব আওয়ার লাইভস- টনি ব্র্যাক্সটন এবং ইল ডিভো

মার্কিন গায়িকা টনি ব্র্যাক্সটন এবং ইতালিয়ান ইল ডিভোর (ভোকাল গ্রুপ) পরিবেশানায় ‘দ্য টাইম অব আওয়ার লাইভস’ পায় শ্রোতারা ২০০৬ সালের জার্মানি বিশ্বকাপে।

 

২০১০ : ‘ওয়াকা ওয়াকা, দিস টাইম ফর আফ্রিকা-শাকিরা

 কলম্বিয়ান পপতারকা শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’ অনেকের কাছেই বিশ্বকাপের সেরা স্মরণীয় গান। সোনালি রেশমি চুলের এই তারকা ছন্দময় নাচের সঙ্গে ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গেয়ে ঝড় তুলে রাতারাতি মাতিয়ে দেন বিশ্ব। গানের লেখকও ছিলেন শাকিরাই।

 

২০১৪ : ‘উই আর ওয়ান- পিটবুল, জেনিফার লোপেজ ক্লদিয়া নিরেট

বিশ্বকাপের ২০১৪ সালের আসরকে ব্রাজিল স্বাগত জানায় ‘উই আর ওয়ান’ থিম সং দিয়ে। গানটি গেয়েছিলেন মার্কিন গায়ক পিটবুল, জেনিফার লোপেজ ও ক্লদিয়া নিরেট।

 

২০১৮ : ‘লিভ ইট আপ-নিকি জ্যাম, উইল স্মিথ, ইরা ইসত্রেফি ডিপলোকে

গানের পরিবেশনায় দেখা গেছে মার্কিন শিল্পী নিকি জ্যাম, উইল স্মিথ, ইরা ইসত্রেফি ও ডিপলোকে।

 

২০২২ : হায়া হায়া (বেটার টুগেদার)

‘হায়া হায়া (বেটার টুগেদার)। এ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল সাউন্ড ট্র্যাকের মোট তিনটি গান প্রকাশ হয়েছে।     ষ শোবিজ ডেস্ক

সর্বশেষ খবর