ভাষা দিবসের একটি নাটকে নাকি অভিনয় করছেন?
হ্যাঁ, আজ নাটকটির শুটিং শুরু হয়েছে। ইমাম তুহিন হোসেনের পরিচালনায় ও অনামিকা মণ্ডলের রচনায় মাতৃভাষা দিবসের বিশেষ নাটক 'আমার একুশ'।
নতুন আর কী কী কাজ করছেন?
আরও বেশ কয়েকটি নাটক শুরু হওয়ার কথা আছে এ মাসেই। তার মধ্যে রয়েছে আলভি আহমেদের একটি সিরিয়াল। এ ছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে আমার বেশ কিছু ধারাবাহিক। তার মধ্যে রয়েছে 'ক্ষণিকালয়', 'তুমি' ও 'কর্পোরেট' ইত্যাদি।
সম্প্রতি আপনি বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলোশিপ-২০১৩ পেলেন। এ বিষয়ে কিছু বলুন?
যে কোনো সম্মাননাই একজন মানুষের জন্য অনেক আনন্দের এবং গর্বের। তবে বাংলা একাডেমির ফেলোশিপ সম্মাননা অনেক অর্থবহ। এ দেশের শিল্প সংস্কৃতিতে যে দায়বদ্ধতা নিয়ে আমি কাজ করেছি বহু বছর পরে হলেও এ ফেলোশিপ সম্মাননা পেয়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছে।' এর আগে এ দেশে এ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন ফেরদৌসী রহমান, ফেরদৌসী মজুমদার, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
অভিনয়ের জন্য আপনি আরও বেশ কিছু পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে কিছু বলুন?
আমি ১৯৯৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হই। তারও আগে সুভাষ দত্ত পরিচালিত 'বসুন্ধরা' ছবিতে অভিনয়ের জন্য অর্জন করি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। 'লাল সবুজের পালা' ছবিটি নির্মাণের জন্য আমি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করি। ১৯৬৫ সালে 'অনেক দিনের চেনা' ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত একটি ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার লাভ করি।
মঞ্চে অভিনয় বন্ধ করছেন কবে থেকে?
আমি ১৯৭১-এর পর মঞ্চ নাটকে অভিনয় বন্ধ করে দেই। কিন্তু তার আগে আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আমরা অনেক পথ ও মঞ্চনাটকে কাজ করেছি।
প্রায় ৬৩ বছর অভিনয় জীবনের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি নিয়ে কিছু বলুন?
আমার কোনো প্রত্যাশা নেই। এ জীবনে আমি যা-যা পেয়েছি সবই আমার প্রাপ্তি। আমি আমার এক জীবনে অনেক কিছু হতে চেয়েছিলাম। আমি এক সময় ফুটবল প্লেয়ার হতে চেয়েছিলাম। আমি কিছুদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। কিছুদিন ব্যাংকে চাকরি করেছি। সব মিলিয়ে আমার চাওয়ার কিছু নেই। এখন পর্যন্ত মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।
* আলী আফতাব