দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশের পর খুব বেশি সময় কিন্তু নেননি। দ্রুতই তৃতীয় অ্যালবাম করলেন।
হ্যাঁ। আমি তো জেগে কিংবা স্বপ্নে_ গানের সঙ্গেই থাকি। গান করছি নিয়মিত। তাই গান জমে যাচ্ছে। এ জন্যই শ্রোতাদের হাতে গান তুলে দিচ্ছি। ভালোই লাগছে। শ্রোতারাও সাড়া দিচ্ছেন।
অ্যালবামের শিরোনাম 'অনেক স্বপ্ন' কেন?
কারণটা খুব মজার। আমি প্রথম অ্যালবাম দুটি থেকে শ্রোতাদের কাছ থেকে প্রচুর রেসপন্স পেয়েছি। ভক্তের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে। আর তাই তৃতীয় অ্যালবাম নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক গুণ বেশি। এ কারণেই অ্যালবামের শিরোনাম রেখেছি 'অনেক স্বপ্ন'। আমার বিশ্বাস, শ্রোতা-ভক্তরা আমার প্রত্যাশা এবং স্বপ্ন পূরণ করবেন।
দ্বিতীয় অ্যালবামে করেছিলেন মুজীব পরদেশীর গান। এবারও ফোক গান রেখেছেন। আপনার উদ্দেশ্যটা কি?
দেখুন, আমি খুব করে চাই_ আমাদের মাটির গান বহুদূরে যাক। আমি করি রক গান। কিন্তু ফোক গানের প্রতি আমার মমতা চরম। তাই মাটির গানগুলো আমি আমার মতো করে করার চেষ্টা করছি। আর আমি চাই, আমাদের অগ্রজরা সংগীতের যে অবস্থান তৈরি করে রেখে গেছেন, তাকে আরও একটু কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। প্রত্যাশা আছে, ফোক গান আর রক গানের মধ্যে একটা মিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন কিছু করার। এ ধারাটা তৈরি হলে অনেক কাজে আসবে।
এবার কোন ফোক গান রেখেছেন?
এবার দুটো ফোক গান রেখেছি। প্রথমটি আমাদের পরম প্রিয় শিল্পী আবদুল আলীমের গান, দ্বিতীয়টি নেত্রকোনার বাউল জালাল খাঁর গান। আমি নেত্রকোনার ছেলে, তাই জালার খাঁর গান নিয়ে ফিউশন করেছি। আর বিশেষভাবে বলে রাখি, এ অ্যালবামে প্রয়াত শেখ ইশতিয়াকের একটি গান রয়েছে। সব মিলিয়ে ভিন্নস্বাদের কিছু করার চেষ্টা করেছি। অ্যালবামে আমার স্ত্রী টুম্পা দুটো গান গেয়েছে। বেশির ভাগ গান কম্পোজ করেছে আমজাদ। কিছু গান আমিও কম্পোজ করেছি। আর ফুয়াদ ভাই তো রয়েছেনই। আমার বিশ্বাস, অ্যালবামটি শ্রোতারা একবার শুনলে বারবার শুনবেন। যারা রক পছন্দ করেন তারাও শুনবেন, যারা ফোক বা অন্যান্য গান পছন্দ করেন তারাও শুনবেন। সার্বজনীন একটা অ্যালবাম করার চেষ্টা করেছি। এখন সবার ভালো লাগলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।
এ অ্যালবামের একটি গান তো নাটকের টাইটেল সং হয়েছে।
হ্যাঁ। গানটি আমারও খুব প্রিয়। শিরোনাম 'এই শহরের গল্প'। গানের কথাগুলো অসাধারণ। নাটকের টাইটেল সং হিসেবেও ভালো লাগবে গানটি। যে নাটকে গানটি টাইটেল হয়েছে সেই নাটকের শিরোনাম 'জীবন থেকে নেয়া'।
অ্যালবামের কাভাবে গানের গল্প দিয়েছেন। কেন?
ভিন্ন কিছু করলাম। সবাই তো কাভারে লিরিক তুলে দেয়, আমি গান তৈরির গল্প দিয়েছি। শ্রোতারা যে গানটি শুনছে তার গল্পটাও তাদের জানা প্রয়োজন। আমার জানা মতে, শ্রোতারাও বিষয়টি পছন্দ করেছেন।
ডি-রকস্টার থেকে বর্তমান। পার্থক্য কি?
আগে আমি ডি-রকস্টারের মাধ্যমে পরিচিত ছিলাম, এখন সবাই আমাকে আমার গান দিয়েই চেনে। তাই বলে অতীত অস্বীকার করছি না আমি।
* শোবিজ প্রতিবেদক