১৯৭৩-এ জয়া ভাদুড়ীকে জীবনসঙ্গিনী না করলে যদি আর কোনও নারীর মন জয় করার সুযোগ পেতেন অমিতাভ বচ্চন, তবে সেই নারী হতেন ওয়াহিদা রহমান! কবিতায় ওয়াহিদাকে প্রেম নিবেদনও করতেন তিনি। মনের মধ্যে লুকিয়া রাখা এই কথাটি এবার প্রকাশ করে দিলেন বিগ বি।
গতকাল শনিবার একটি মিডিয়া গোষ্ঠী আয়োজিত কনক্লেভে খোলামেলা মেজাজে অনেক কথার ফাঁকে এই কথাটিও জানালেন অমিতাভ।
অনুষ্ঠানে তাকে উদ্দেশ করে সঞ্চালকের ছোঁড়া প্রশ্নটি ছিল- এমন এক অভিনেত্রীর নাম করুন যাকে ভালোবেসে জড়িয়ে রাখার ইচ্ছে ছিল।বিগ বি-র মুখ থেকে বেরিয়ে এল তার চেয়ে বয়সে ছ'বছরের বড় ওয়াহিদার নাম।
প্রবীণা অভিনেত্রীকে অমিতাভ প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করেন তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, রূপের জন্য, একথা জানিয়ে অমিতাভের সরস মন্তব্য, 'এখন তো সম্ভব নয়, অনেক দেরি হয়ে গেছে!'
বিগ বি বলেছেন, 'দিলীপ কুমার সাহেবের পাশাপাশি তিনি (ওয়াহিদা) আমার সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একজন। ভারতীয় সৌন্দর্য্য, সারল্যের মূর্ত প্রতীক তিনি। এতো আন্তরিক-স্বাভাবিক, কোমল, সুন্দর। তার নজর কাড়ার সুযোগ পেলে কবিতায়ই জানাতাম মনের কথা।'
একথা বলেই অমিতাভ সিলসিলা ছবির সেই বিখ্যাত গানের কলিটি আবৃত্তি করেন, 'ম্যায় অউর মেরি তনহাই, আকসর ইয়ে বাঁতে কিয়া করতে হ্যায়।'
গোটা হল তখন মন্ত্রমুগ্ধ, সম্মোহিত অমিতাভের ব্যারিটোন কণ্ঠস্বরের জাদুতে!
নিজের দাম্পত্য, স্ত্রীর সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়েও অনেক কথাই অকপটে বললেন অমিতাভ।
সেই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া ভাদুড়ীকে বিয়ে করা, নিজে মহানায়ক হয়ে ওঠা, জয়ার সংসারের জন্য রুপালী পর্দার দুনিয়াকে ছেড়ে দেওয়া, এর মধ্যে কোথাও কি চ্যালেঞ্জ ছিল? এমন প্রশ্নের বিগ বির জবাব, 'সব বিয়েই তো চ্যালেঞ্জ, আমারটাও আলাদা ছিল না। তবে জয়ার যে সিদ্ধান্তের জন্য ওকে শ্রদ্ধা করি সেটা হলো, পরিবার-সংসারটাকে সাজাতে ও সিনেমা ছাড়ল। অভিনয়ের আগে রাখল পরিবারকে। আমার দিক থেকে কোনও বাধা ছিল না, সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি ওর।'