'তোকে ভালোবাসতেই হবে' কেমন গল্পের ওপর দাঁড়িয়েছে?
মৌলিক গল্প। সচরাচর যেমন প্রেম বা অ্যাকশনধর্মী গল্পের বুনুন হয় তা কিন্তু নয়। দর্শক শাশ্বত প্রেমের সত্যিকারের স্বাদ পাচ্ছে। ছবির নামের সঙ্গে গল্পের সাদৃশ্য রয়েছে। গানও চমৎকার। সব কিছুই বাণী ও বিনোদন সমৃদ্ধ হয়েছে। এককথায় দর্শক ব্যতিক্রমী কিছু পেয়েছে এ চলচ্চিত্রে।
দর্শক সাড়া কেমন মিলছে?
এককথায় অপ্রত্যাশিত সাড়া মিলেছে। মুক্তির প্রথম দিন পাক-ভারত টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচ থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহ ছিল হাউস ফুল। বুকিং এজেন্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওপেনিং কালেকশন ছিল গড়ে ৯০ শতাংশ। পরবর্তী দিনগুলোতেও একই চিত্র অব্যাহত রয়েছে। মানে চলচ্চিত্রটি হিটের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
এতে জায়েদ খানের চরিত্র কতটা বর্ণিল?
গল্পের সঙ্গে মিশে যাওয়া সাদাকালো আর রংধনুর সাত রঙে অাঁকা চরিত্রে মিশে গেছি আমি। আমার চরিত্রের নাম রাজু। একজন কলেজছাত্র। যে কি-না বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে মজা করে বেড়ায়। এক দিন এক ডন পরিবারের মেয়ে কাজল (সাহারা) বিনাকারণে আমাকে থাপ্পড় মেরে বসে। এতে স্বাভাবিকভাবেই আমার মনে জেদ চেপে যায়। সিদ্ধান্ত নেই যে হাতে সে আমাকে আঘাত করেছে সে হাতেই আদর করতে বাধ্য করব। কাজলকে জানিয়ে দিই 'ভালোবাসতেই হবে তোকে'। দ্বন্দ্ব-সংঘাতে গড়িয়ে চলে আমার চরিত্র।
নিজের অন্য চলচ্চিত্রের চরিত্র থেকে এর ভিন্নতা কোথায়?
এটি আমার অভিনীত নয় নম্বর ছবি। নিজের কাছে মনে হয়েছে এ পর্যন্ত কাজ করা সেরা চরিত্রটি পেয়েছি এই চলচ্চিত্রে। বলতে পারি চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। আসলে এ ধরনের চরিত্র না হলে কোনো শিল্পী প্রতিষ্ঠা পেতে পারে না। এ চলচ্চিত্রে দর্শক আমার প্রেম আর সংঘাতময় দুর্দান্ত অভিনয় দেখতে পেয়েছে। তাই ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রটি ও আমার চরিত্র সাদরে গ্রহণ করেছে দর্শক।
ঢালিউড এখন নির্দিষ্ট কিছু মুখের মধ্যে সীমিত, জায়েদ খানের অবস্থান সেখানে কেমন?
জায়েদ খান শুরু থেকেই স্বকীয়তা বজায় রেখে এগুচ্ছে। আসলে শিল্পীর অবস্থান তৈরি করে দেন নির্মাতা। তাই ভালো শিল্পী গড়তে দক্ষ নির্মাতা প্রয়োজন। তবে অভিনয় গুণ অবশ্যই শিল্পীর মধ্যে থাকতে হবে। আমার বিশ্বাস সেই গুণ আছে বলেই ঢালিউডের ইঁদুর দৌড়ে টিকে গেছি।
দর্শক আগামীতে আপনার কাছ থেকে কি উপহার পাচ্ছে?
চলতি বছর দর্শক আমার অভিনীত 'প্রেম করবো তোমার সাথে', 'অদৃশ্য শত্রু', 'ভালোবাসা সীমাহীন', 'লাভ ইন মালয়েশিয়া'সহ অর্ধডজনেরও বেশি ছবি দেখতে পাবে। সুখের কথা হচ্ছে, প্রতিটি ছবিতেই আমার চরিত্র ভিন্নমাত্রা পেয়েছে।
* আলাউদ্দীন মাজিদ