হৃত্বিক-সুজানের সুখের সংসারে আগুন লাগার সময় আলোচনায় উঠে এসেছিল অর্জুন রামপালের নাম। যদিও নিজেদের সবসময়ই শুধুমাত্র ভালো বন্ধু বলেই আখ্যা দিয়েছেন সুজান ও অর্জুন। কিন্তু শেষতক টেকেনি হৃত্বিক-সুজানের সংসার। এবার বোধ হয় সুজানকে নিয়ে অর্জুনের ঘরে দাবানল জ্বলতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এক ঘটনায় দুই জনের সম্পর্ক নিয়ে বি টাউনে জল্পনা-কল্পনা আরও বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগেই পরিচালক অভিষেক কাপুরের জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন সস্ত্রীক অর্জুন রামপাল এবং সুজান। রাত সোয়া ১২টা নাগাদ অর্জুন ও তার স্ত্রী মেহরকে একসঙ্গে ঢুকতে দেখা গেলেও পার্টি থেকে আচমকা একাই বেরিয়ে আসেন মেহর।
রাত আড়াইটা নাগাদ ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরায় ধরা দেন মেহর। আড়াল করার চেষ্টা করলেও তার চোখের পানি ক্যামেরার লেন্সকে ফাঁকি দিতে পারেনি। এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পার্টি থেকে বেরিয়ে যান সুজান। তার কিছু সময় পর হন্তদন্ত হয়ে বের হন অর্জুন রামপাল।
এরপরই বি টাউনে ফের আলোচনার ঝড়। সবাই বলছেন, বন্ধুত্বের নামে অর্জুন-সুজানের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতার প্রভাব পড়েছিল হৃত্বিক-সুজানের সংসারে। তাসের ঘরের মতো উড়ে গেছে ভালবাসার বাঁধন। এবার বোধহয় সেই ঝড়ের ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে অর্জুন-মেহরের সংসারে।
এদিকে গত ৩০ এপ্রিল আদালতে হৃত্বিক-সুজানের তালাক ফাইলবন্দি হবার একদিন পরই অর্জুনের বাড়িতে রাতভর পার্টিতে তালাক উদযাপন করেন সুজান, অর্জুন রামপাল, মেহর জেসিয়া, ডিনো মরিয়ারা। শুক্রবার রাতের পার্টিটি রাখা হয়েছিল অর্জুনের বাড়িতেই। শোনা গেছে, পার্টির পুরো ব্যবস্থাটাই করেছিলেন অর্জুন রামপাল নিজেই। পার্টিটি ছিল একেবারেই ডির্ভোস সেলিব্রেট করতে। অর্জুন-সুজান সম্পর্ক নিয়ে এক সময় বহু গুজব ছড়িয়েছিল। নিন্দুকেরা মনে করেছিলেন অর্জুনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই নাকি ঘর ভাঙল হৃত্বিকের। এমনকি, হৃত্বিকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পর সুজানকে নিজের ফ্ল্যাটে জায়গা দিয়েছিলেন অর্জুন। শুধু বাড়িতে আশ্রয়ই নয়। সুজানের ইন্টেরিয়ার ব্যবসাতেও সাহায্য করেছিলেন অর্জুন। তবে লোকে দুজনকে নিয়ে নানা কথা বললেও, কখনই অর্জুনকে নিয়ে মুখ খোলেননি সুজানে। এবার সুজান হাওয়ায় অর্জুনের সংসার কতটা দুলে ওঠে সেটাই দেখার প্রতীক্ষা।