আর হয়তো মেরেকেটে দেড় বছর, তার পরই রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চলেছেন উত্তরচব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অভিনেতা দীপক চক্রবর্তী (চিরঞ্জিত)। 'আনন্দলোক'-এর পুজো সংখ্যায় সাক্ষাতৎকার দিতে গিয়ে এই জল্পনা তৈরি করেছেন এই তৃণমূল বিধায়ক।
সাক্ষাৎকারে চিরঞ্জিত বলেন, 'সেসময় আমি জানিয়েছিলাম রাজনীতি আমি বুঝি না, কিন্তু নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিল বলেই আমি রাজনীতিতে এসেছি। তবে আর বছর দেড়েকের মতো আমার অঙ্গীকার আছে, তারপর আর আমার থাকার ইচ্ছে নেই'।
চিরঞ্জিত জানান, আমরা সৃষ্টিশীল মানুষ। কারও নির্দেশে চলার লোক নই। কিন্তু এখানে যে কাজটা আমরা করি... যেমন বারাসাত(সাংসদের নির্বাচন কেন্দ্র)-এ গিয়ে সেখানকার লোকেদের সামনে গিয়ে বলা আমার সরকার খুব ভাল কাজ করছে, দারুন কাজ করছে... এটা ঠিক আমার কাজ নয়। কারও নির্দেশে আমি এই কাজ করতে পারব না। আমার দ্বারা এই কাজটা হচ্ছে না...তাই আমি এখান থেকে সরে যেতে চাই।
সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিনেমার পর্দার এই প্রতিবাদী চরিত্র বলেন আমি ভিষণ পজিটিভ, সিনসিয়ার। আমি কাজের দায়িত্ব নেব কিন্তু আমাকে পুরো দায়িত্ব দিতে হবে। তার হতাশা 'মানুষ আমার কাছে যা প্রত্যাশা করেন, আমি তা কিছুই দিতে পারি না। এটা একটা মিথ্যাচার'। বিভিন্ন জনসভায় গিয়ে মানুষের অনুরোধে আমি নাচ, গান করি এটাও অনেকের পছন্দ নয়'।
চিরঞ্জিতের মতে আমাদের মতো সেলিবিট্রিদের জনপ্রিয়তার কারনে প্রচুর ভোট পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু সেটাই সব নয়। এখান থেকে আমি নাম কিনতে আসিনি, রুপিও আমার আছে। তা হলে এই জগতে আসার কি দরকার ছিল?খান থেকে আমি নাম কিনতে আসিনি, রুপিও আমার আছে। তা হলে এই জগতে আসার কি দরকার ছিল