ন্যান্সিকে বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিবিড় পর্যেবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অবস্থা অবনতি হওয়ায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ন্যান্সিকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, ন্যান্সি মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে শনিবার দুপুরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ন্যান্সিকে প্রথমে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে স্থানান্তর করা হয়।
ন্যান্সির সঙ্গে থাকা স্বজনরা জানান, গতকাল দুপুরে ন্যান্সি ব্রোমোজিপাম নামের ৭০টি ঘুমের ওষুধ একসঙ্গে খান। এরপরই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। নেত্রকোনায় আইসিইউ না থাকায় তাকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়েছে। আমাদের নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনা শহরের গারা এলাকায় ন্যান্সির নিজের দোতলা বাসা রয়েছে। ওই বাসায় নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আর কেউ না থাকলেও মাঝেমধ্যে ন্যান্সি সেখানে যান। শুক্রবার তিনি ঢাকা থেকে ওই বাসায় যান একা। এক দিন অবস্থানের পর গতকাল সন্ধ্যায় তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। তাকে ওই অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টায় নেত্রকোনা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পারিবারিক বিরোধের জেরে তার আত্মহত্যার চেষ্টা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নেত্রকোনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নার্সরা জানান, ন্যান্সির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র মতে, কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি নিজ অর্থে নেত্রকোনা শহরের গারা এলাকায় দোতলা বাড়িটি নির্মাণ করেন। কিন্তু সে বাড়িতে তার পরিবারের কোনো সদস্য বসবাস করেন না।
তার মায়ের মৃত্যুর পর বাবা আবারও বিয়ে করেন। এরপর পরিবার থেকে অনেকটা দূরে সরে যান ন্যান্সি। নিজের বাড়িটি দেখাশোনা করার জন্য তিনি নিরাপত্তাকর্মী রেখেছেন। ঢাকায় কর্মক্ষেত্র ও শ্বশুরবাড়ি ময়মনসিংহ থেকে মাঝেমধ্যে নেত্রকোনায় গিয়ে ওই বাড়িতে অবস্থান করতেন।