অভিনেত্রী জয়া আহসান টিভি অভিনেত্রী হিসেবে যতটা উজ্জ্বল, ঠিক ততই অনুজ্জ্বল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে। অথচ জয়ার মনে-প্রাণে স্বপ্ন, বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন শুরুতেই হোঁচট খায়। 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি' ছবিতে তার ম্লান অভিনয়, নৃত্যের 'ন' ছুঁতে না পারা এবং অপরিপক্ব অভিব্যক্তিতে দর্শক বিরক্ত হয়েছে। ছবিটি যেটুকু সুনাম কুড়িয়েছে তা কেবল নায়ক শাকিব খান ও নির্মাতা সাফিউদ্দীন সাফির কারণে। তাই ছবিটি মুক্তির পর নির্মাতা সাফি প্রচুর ছবি নির্মাণের সুযোগ পান। অথচ কোনো ছবিতে জয়াকে কাস্ট করেননি। অনেকের ধারণা ছিল, জয়াকে নিয়ে বাণিজ্যিক ধারার নির্মাতারা নিয়মিত ছবি নির্মাণ করবেন। কিন্তু সেটাও হয়নি। 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি'র পর কোনো ছবিতেই অভিনয়ের প্রস্তাব পাননি তিনি। তাই অনেকেই বলছেন, চল্লিশোর্ধ্বে বয়সের জয়া আহসান বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করতে এসে নিজের ক্যারিয়ার নদীর পাড় ভাঙার মতো বিলীন করেছেন। নিজের এই বিলীন অবস্থান টের পেয়ে তিনি ফাঁকা বুলি ছাড়ছেন নাকি সব জায়গায়। বলছেন, ভারত থেকে নিয়মিত অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা ফিরিয়ে দিচ্ছেন 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি-২'র কারণে। জয়ার এ ফাঁকা বুলি নিয়ে চলচ্চিত্র পাড়ায় বেশ হাসাহাসি হয়েছে।
জয়া বর্তমানে 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি-২' ছবির শুটিং করছেন। তাকে নিয়ে নির্মাতা-প্রযোজক এবার সতর্ক। তাই আগে থেকেই নাচের প্র্যাকটিস করিয়েছেন। অভিনয়ের তালিম দিয়েছেন। তাই চলচ্চিত্রপাড়ায় আলোচনা হচ্ছে, এরপরও যদি জয়া এবার উৎরে যেতে না পারেন, তবে এবারই তার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে দাঁড়ি টেনে টেলিভিশনের পর্দায় ফিরে যেতে হবে। জয়াও তা ভালো করে বুঝতে পারছেন। তাই তো বেশ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য শেষ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।