ভালোবাসা কন্যা, অগ্নি কন্যা, সাংবাদিক এবং অবশেষে জুলিয়েট- সব চরিত্রেই সফল হলেন মাহিয়া মাহী। গত সপ্তাহে মুক্তি পেল মাহী অভিনীত 'রোমিও বনাম জুলিয়েট' ছবিটি। এটি দর্শক নজর কেড়েছে। সুপারহিট ছবির তকমা পেয়ে গেছে 'রোমিও বনাম জুলিয়েট'। স্থানীয় জাজ মাল্টিমিডিয়া এবং কলকাতার এস কে মুভিজ প্রযোজিত দুই বাংলার যৌথ আয়োজনে মো. আজিজ ও অশোকপতি নির্মিত এই ছবিটি মূলত গল্প, নির্মাণ,গান আর মাহীর অভিনয়ের কারণে সাড়া জাগিয়েছে বলে মন্তব্য প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের।
গত সপ্তাহে এ দেশের ৯১টি ও কলকাতার ১৭৬টি প্রেক্ষাগৃহে একসঙ্গে মুক্তি পেয়ে অসাধারণ ব্যবসা করে ছবিটি। চলতি সপ্তাহেও প্রায় সমসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে ভালো দর্শক সাড়া পাচ্ছে 'রোমিও বনাম জুলিয়েট'। কলকাতায় অবশ্য ছবিটির নাম রাখা হয়েছে 'রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট'। ২০১৩ সালে ভারতে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যবসাসফল পাঞ্জাবি ছবি 'সিং ভার্সেস কৌর' এর কপিরাইট নিয়ে নির্মিত হয়েছে 'রোমিও বনাম জুলিয়েট'। এই ছবিতে জুলিয়েট চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন মাহী। এতে রোমিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার অংকুশ।
চলচ্চিত্রকাররা বলছেন, চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকট উত্তরণে মাহীর মতো একজন দক্ষ অভিনেত্রী উপহার দিয়ে জাজ মাল্টিমিডিয়া বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। জাজ এবং মাহীর ভূয়সী প্রশংসা করেন চলচ্চিত্রকার এবং প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা। 'ভালোবাসার রঙ' ছবিটি দিয়ে যাত্রা শুরু হয় জাজ মাল্টিমিডিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাণ। এ পর্যন্ত অসংখ্য মানসম্মত ছবি উপহার দিয়ে দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। জাজের কর্ণধার মো. আজিজ ইতিমধ্যে একজন নিবেদিতপ্রাণ চলচ্চিত্রকার হিসেবে চলচ্চিত্র জগৎ ও সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন। নায়িকা মাহীও তার আবিষ্কার। দেশীয় চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকট যখন চরমে মো. আজিজ তখন চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন মাহীকে। পাশাপাশি নায়ক হিসেবে বাপ্পীকেও উপহার দেন। দুজনেই ইতিমধ্যে ঢালিউডে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। সবার কথা এই কৃতিত্ব মো. আজিজের।