দর্শক সাড়া পেল হিন্দি ছবি 'ওয়ানটেড'। বৃহস্পতিবার মুক্তি পাওয়া এ ছবিটি এখন দেশের ৪৬টি প্রেক্ষাগৃহে হাউসফুল ব্যবসা করছে। সপরিবারে দর্শক আসছে ছবিটি দেখতে। প্রদর্শক সমিতি জানায়, ছবির গড় ওপেনিং কালেকশন ছিল ৯০ শতাংশ। আনন্দ প্রেক্ষাগৃহে চলছে ছবিটি। এই প্রেক্ষাগৃহের ব্যবস্থাপক শামসুল আলম জানান, পুরনো ছবি হওয়া সত্ত্বেও প্রথম শো থেকে ছবিটির প্রতি প্রত্যাশিত দর্শক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি মানে অবরোধ এবং চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের আন্দোলনের মধ্যেও দর্শক সপরিবারে ছবিটি দেখতে আসছে। মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন জানান, ছবিটির ব্যবসা আমাদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম শো থেকে এখন পর্যন্ত দর্শক টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। দর্শকের সুবিধার্থে অগ্রিম টিকিটের ব্যবস্থা করেছি। স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহউদ্দীন জানান, শুক্রবার থেকে এই প্রেক্ষাগৃহে ওয়ানটেড প্রদর্শনের কথা ছিল। কিন্তু ছবিটি ৩৫ মিলিমিটার পদ্ধতির হওয়ায় আমরা ওইদিন থেকে প্রদর্শন করতে পারিনি। কারণ আমাদের এই পদ্ধতির হল আছে একটি। তাতে শনিবার পর্যন্ত অন্য একটি ছবি বুকড আছে। রবিবার [আজ] থেকে 'ওয়ানটেড' প্রদর্শন করব। বর্তমানে প্রচুর দর্শক ছবিটি দেখতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। শ্যামলী, বলাকা, শাহীনসহ রাজধানী এবং বাইরের প্রেক্ষাগৃহগুলোরও একই চিত্র। মফস্বলের কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, অবরোধ উপেক্ষা করে সপরিবারে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করছে। প্রচুর দর্শক টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। বলাকা কর্তৃপক্ষ বলছে, আরও বেশি পরিমাণে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে দর্শকদের ছবি না দেখে ফিরে যেতে হতো না। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সহসভাপতি সুদীপ্ত কুমার দাশ বলেন, আমরা শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আগের সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া একটি ছবি অনেক প্রেক্ষাগৃহে দুই সপ্তাহের জন্য বুকড থাকায় কম প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে হয়েছে।