আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এখন সমাজসেবামূলক কাজে পুরোপুরি মনোনিবেশ করবেন। মানসম্মত চলচ্চিত্রের অভাবে গত বছরই অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ববিতা জানান, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সমাজসেবামূলক সংগঠন ডিসিআইআই এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ২০১১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দুস্থ ও অসহায় শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি যশোরের মামাবাড়িতে একটি হাসপাতাল স্থাপনেরও প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে ববিতার একমাত্র পুত্র অনিক ইসলামও বিদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি রিসার্চ এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজ করছেন। ববিতা জানান, ডিসিআইআই এর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শীঘ্রই আমেরিকা, লন্ডন এবং কানাডা সফর করবেন তিনি। ববিতা বলেন, আমার একমাত্র পুত্র অনিক ইসলাম এখন টরেন্টোর বিখ্যাত ওয়াটার লু ইউনিভার্সিটিতে ইলিকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে গত বছর গ্রাজুয়েশন করায় 'ব্যাচেলর অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স অনার্স ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোঅপারেটিভ প্রোগ্রাম উইথ ডিসটেন্স ডিনস অনার্স লিস্ট উইথ অল অ্যাসোসিয়েটেড রাইটস, প্রিভিলেজেস অ্যান্ড অবলিগেশন' অ্যাওয়ার্ড' দেওয়া হয় তাকে। ভালো রেজাল্ট করায় তার প্রফেসর তাকে ওয়াটার লু ইউনিভার্সিটির কো-অপারেটিভ ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ফুলটাইম রিসার্চে অংশগ্রহণ করিয়েছেন। তার রিসার্চের মূল বিষয় হলো-'এনালগ প্রেসিডেন্টস ইন রেডিও প্রোগ্রাম'। ববিতা বলেন, তার এই সাফল্যে স্থানীয় পত্রিকা 'টরেন্টো স্টার' দুজনকে নিয়ে গুরুত্ব সহকারে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। পুত্রের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ববিতা বলেন, ও চমৎকার রান্না করে। যা আমি নিজেও পারি না। স্টুডেন্টদের খাতা দেখে ও ভলান্টিয়ার কাজের অংশ হিসেবে নেপাল আর ভারতের জন্য যৌতুকবিরোধী এবং রক্তদান কর্মসূচি কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। অনিকের ইচ্ছা সে পিএইচডি করবে।