প্রশংসিত নারীর তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফ জাই, হিলারি ক্লিনটন, ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, মানবাধিকার নেত্রী অং সান সু চি, ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটন, আমেরিকার ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এবং ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে পিছনে ফেলেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৫ হাজার ভোটারের অনলাইন ভোটের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ প্রশংসিত নারী হলেন ৩৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী, পরিচালক, সমাজসেবক। অনলাইনভিত্তিক রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ইউগভ প্রতিবছর এ জরিপ চালায়। এ বছরের জরিপে দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী জোলির জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে গেছে সম্ভাব্য সব প্রতিযোগীকে। অভিনেত্রী কিংবা পরিচালক হিসেবে নয়, বরং সমাজসেবায় অনবদ্য ভূমিকার সুবাদে বিশ্ববাসী তাকে সম্মানিত করেছেন বলে মনে করেন রিসার্চ প্রতিষ্ঠানটি। ২০০১ সাল থেকে সমাজসেবায় আত্দনিয়োগ করছেন জোলি। ২০১২ সালে ইউনাইটেড ন্যাশনস হাইকমিশনার ফর রিফিউজি তাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত করেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা এবং শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্য, খাদ্য, জীবনযাত্রা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের জন্য দান এবং ফান্ড তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শুধু তাই নয়, ছয় সন্তানের মা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার চারটি সন্তান দত্তক নিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে।