আনোয়ারা
আনোয়ারা অভিনয় শুরু করেন নায়িকা হিসেবেই। 'নবাব সিরাজউদ্দৌলা' ছবিতে তাকে ভিন্নরূপে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু দর্শকের কাছে তিনি বেশি পরিচিত মমতাময়ী মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে। বাংলাদেশে সর্বাধিক ছবিতে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। আর এ কারণেই তাকে দেখলে দর্শকের মনেও 'মায়ের ছবি' ভেসে ওঠে। নতুন-পুরনো মিলিয়ে দেশের প্রায় সব নায়ক-নায়িকারই মা হয়েছেন তিনি। বাস্তব জীবনেও তিনি মা। তার মেয়ে মুক্তি একজন অভিনয়শিল্পী।
মায়ের চরিত্রে আনোয়ারার অভিনীত আলোচিত ছবিগুলো হচ্ছে- সুন্দরী, গোলাপী এখন ট্রেনে, শুভদা, মরণের পরে, রাধা কৃষ্ণ, ভাত দে, অন্তরে অন্তরে, শ্রাবণ মেঘের দিন প্রভৃতি।
দিলারা জামান
দিলারা জামানের অভিনয়জীবন শুরুই হয়েছে মায়ের চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। সেই ১৯৫৮ সালে দিলারা জামান ছিলেন উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। অতটুকু বয়সেই তিনি অভিনয় করেছিলেন মায়ের চরিত্রে। তবে সেটি ছিল মঞ্চে। এরপর দীর্ঘদিন অভিনয় করেন। কিন্তু টিভিতে প্রথম মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন গত শতকের আশির দশকের শুরুতে। দর্শক বেশকিছু কালজয়ী নাটকে দিলারা জামানকে মায়ের রূপে দেখছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'এইসব দিনরাত্রি', 'অয়োময়' প্রভৃতি। দিলারা জামান এখনো মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। অভিনয়শিল্পীরাও তাকে 'মা' বলেই ডাকে। আর ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই মেয়ের জননী।
ডলি জহুর
পর্দায় ডলি জহুরের মুখ ভেসে উঠলেই বোঝা যায়, তিনি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। তিনি ক্যারিয়ারের শুরতেই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি প্রথম মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন 'এইসব দিন রাত্রি' নাটকে। আর চলচ্চিত্রে মা হিসেবে নাম লেখান 'আগুনের পরশমণি' ছবিতে। দুটোর সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন হুমায়ূন আহমেদ।
ডলি জহুর বাস্তব জীবনে এক সন্তানে জননী।
শর্মিলী আহমেদ
এই অভিনেত্রী ছিলেন নায়িকা। কিন্তু এখন মায়ের রূপে ব্যাপক পরিচিত। তিনি প্রথম মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন ১৯৭৬ সালে 'আগুন' ছবিতে। তারপর মমতাময়ী মায়ের রূপে নিয়মিত। তবে বড়পর্দার তুলনায় ছোটপর্দায় তাকে বেশি দেখা যায়। আর সব অভিনয়শিল্পীই তাকে পর্দায় এবং পর্দার বাইরে 'মা' বলেই ডাকে। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে তিনি এক সন্তানের জননী।