পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ (মরণোত্তর) সম্মানে ভূষিত করা বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী প্রয়াত ফিরোজা বেগমকে। গতকাল বিকালে দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিল্পীর পরিবারের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরস্কার বাবদ দুই লাখ নগদ অর্থ, উত্তরীয় ও একটি স্মারক শিল্পীর পরিবারের হাতে তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও বঙ্গবিভূষণে ভূষিত হয়েছেন তৃণমূলের সাবেক বিদ্রোহী সাংসদ কবীর সুমন, সংগীতশিল্পী গিরীজা দেবী, সৈয়দ রশিদ খান, রামকৃষ্ণ মিশন (প্রতিষ্ঠান হিসাবে), ভারত সেবাশ্রম (প্রতিষ্ঠান হিসাবে), সরোদ শিল্পী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, লন-টেনিস খেলোয়ার লিয়েন্ডার পেজ, ব্যায়ামবীর বিশ্বশ্রী মনোহর আইচ। অন্যদিকে বঙ্গভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হলো অতীতে বাম বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত বর্তমানে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকারকে। বঙ্গভূষণ সম্মান প্রাপকদের মধ্যে অন্যান্য উল্লেখযোগ্যরা হলেন- অভিনেতা দীপক অধিকারী (দেব), চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র, পরিচালক সুজিত সরকার, বাউল শিল্পী কার্তিক দাস বাউল, দাবাড়ু সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়, ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং মনোজ তিওয়ারি।
পুরস্কার বাবদ এক লাখ নগদ অর্থ, উত্তরীয় ও একটি স্মারক শিল্পীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ৩৫ জনকে এই সম্মান জানানো হয়। পুরস্কার প্রদান শেষে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া পদ্ম সম্মানের ঘুরিয়ে সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন 'আজকে চার বছর পূর্ণ হলো। প্রতি বছরই আমরা ২০-৩০ জনকে এই সম্মান দিই। যাতে আগামী দিনে সবাইকে আমরা সম্মানিত করতে পারি। কেন্দ্রে একটা পদ্ম প্রোগ্রাম আছে। পদ্মবিভূষণ ও পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয়। আমরা দেখলাম বাংলায় অনেক কৃতী মানুষ আছে, সবাই তো পায় না। আবার অনেক ব্যাপারও আছে- সবাই পৌঁছতে পারে না, নানা ব্যাপার। তবে বাংলার মাটিটাই কম কোথায়! আসুন না আমরাই বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ দিয়ে বিশ্বভূষণে পরিণত করি'।