চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজীজের সঙ্গে মাহীর বিরোধ এখন প্রকাশ্য। মাহী জাজ থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। জাজও তাকে বহিষ্কার করে মনের ইচ্ছা পূরণ করেছে। তাই মাহী এখন মুক্ত, জাজ নামক খাঁচায় বন্দী পোষা পাখি নয়। আর এ ঘটনায় আসলে মাহীরই বিজয় হয়েছে বলে মনে করেন চলচ্চিত্রকর্মীরা। একজন অভিনেত্রীর শুধু একজন প্রযোজকের হাতে বন্দী থাকাটা সবাই নীতিহীন বলেই মনে করেন। অতীতে অনেক প্রযোজকের হাতে বন্দী থেকে অনেক নায়িকা হারিয়ে গেছেন। বিরোধের কারণেই হোক আর যে কারণেই হোক মাহী আর বন্দী নেই, তিনি মুক্ত। আর তার বিজয়টা এখানেই। এখন থেকে তিনি যে কোনো প্রযোজকের ছবিতে অভিনয় করতে পারবেন। আগে জাজের বাইরে ভালো কোনো গল্পের ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও তিনি অভিনয় করতে পারতেন না। কিন্তু এখন থেকে আর সেই বাধা নেই। মাহী নিজেও এখন ভালো ছবিতে অভিনয়ের জন্য চেষ্টা করছেন। বেশকিছু প্রস্তাবও পেয়েছেন। এখন সেগুলো বাছবিচার করছেন। মাহী বলেন, 'এখন আমি নিজ ইচ্ছাই পথ চলব। বাকিটা দর্শকের ওপর ছেড়ে দিলাম।'
আবদুল আজীজের সঙ্গে মাহীর প্রেম ছিল বলেই চারদিকে চাউর আছে। আর তাই জাজের সব ছবিতেই তিনি নায়িকা হিসেবে ছিলেন। বিভিন্ন ছবিতে নায়ক পরিবর্তন হলেও নায়িকা কখনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু সেই প্রেমে ভাটা পড়েছে। মধ্যে ঢুকে গেছে নতুন নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। আজীজ এখন নুসরাত ফারিয়াতেই মুগ্ধ। তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এখানে-সেখানে। ঘটা করে জমকালো আয়োজনে ফারিয়ার অভিষেকটাও মসৃণ করে দিয়েছেন। আর এসবেই মাহীর সঙ্গে তার দূরত্ব বিচ্ছেদে রূপ নেয়। যুগে যুগে নায়িকা-প্রযোজকের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া এবং বিচ্ছেদের যে গল্প প্রচলিত আছে আজীজ-মাহীর ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। ফারিয়ার ভাগ্যেও একই পরিণতি আছে বলে মনে করেন চলচ্চিত্রপাড়ার মানুষ। তবে সবাই মাহীকে ভাগ্যবতী মনে করছেন। কারণ তিনি দ্রুত সম্পর্কের পাট চুকিয়ে মুক্ত হয়ে অভিনয় করতে পারছেন। তিনি বিজয়ী।