'অচেনা হৃদয়' আপনার প্রথম চলচ্চিত্র। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আমি প্রথমে মনে করেছিলাম নতুন পরিচালক আর আমিও চলচ্চিত্রে প্রথম। সব মিলিয়ে কেউ মনে হয় ছবিটি দেখতে যাবে না। কিন্তু বেলা শেষে অনেক মানুষের কাছ থেকে অনেক প্রশংসা পেয়েছি। আর চলচ্চিত্রের জন্য প্রশংসা আমার জন্য অবশ্যই আনন্দের। কারণ শিল্পী হিসেবে বড়পর্দাই তো আসল ঠিকানা।
এ ছবির কোন বিষয়টি একটু ব্যতিক্রম আছে বলে আপনি মনে করেন?
আমাদের এখানের বেশির ভাগ ছবি নায়ককে প্রাধান্য দিয়েই নির্মাণ করা হয়। সেদিক থেকে অচেনা হৃদয় একেবারেই ব্যতিক্রম। এখানে সব চরিত্রকেই সমান গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। বিষয়টিকে আমি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছি। তা ছাড়া এ ধরনের প্রেমের গল্পের ছবি আমাদের দর্শক হয়তো অনেক দিন দেখেননি। তাই ছবিটি দেখতে বসে তারা নতুন কিছু পাবেন।
এখন থেকে কি নিয়মিত চলচ্চিত্রে আপনাকে দেখতে পাব?
আমি অভিনয় ছাড়া আর কিছু করতে জানি না। যে কোনো ভালো চরিত্রে আমি অভিনয় করতে চাই। অচেনা হৃদয় ছবির মতো তরুণ নির্মাতাদের সঙ্গে আমি আরও কাজ করতে চাই। আর চলচ্চিত্রই তো আসল ঠিকানা। তাই বড়পর্দায় নিয়মিত অভিনয় করে যেতে চাই। ইচ্ছা আছে, বাকিটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে।
নতুন নির্মাতাদের সঙ্গে অনেকে কাজ করতে চায় না।
আমি অনেকের কথা বলতে পারব না। আমি নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করি। কারণ বর্তমানে মিডিয়ায় অনেক ভালো কিছু নতুন পরিচালক এসেছেন। তারা ভালো ভালো কাজও করছেন। নতুনদের মধ্যে এঙ্পেরিমেন্টাল কাজ করার প্রবণতা অনেক। সব মিলিয়ে আমি নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। আর আমি এতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধও করি খুব।
নতুন কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন কি?
এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কয়েকটি ছবির অফার আছে। আমার মতের সঙ্গে সবকিছু ঠিকঠাক মিললে কাজ শুরু করব।
নাটকে কাজ করছেন না?
প্রায় দুই বছর পর গৌতম কৈরির একটি টেলিফিল্মে কাজ করছি। এটির নাম 'কেন মেঘ আসে'। ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন লোকেশনে এটির শুটিং হবে। এ ছাড়া ঈদে আরও কিছু নাটকে কাজ করার কথা আছে।
নাটক কমিয়ে দিলেন?
না, বিষয়টি এমন নয়। আমি দুটো মাধ্যমেই অভিনয় করে যেতে চাই। আর এর জন্য দরকার ভালো গল্প এবং চরিত্র।
আলী আফতাব