অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে 'রানা প্লাজা' ছবিটি সেন্সরবোর্ড অতিক্রম করেছে এটি পুরনো খবর। নতুন খবর হলো আগস্টে বড় পর্দায় উঠবে নজরুল ইসলাম খান পরিচালিত এ ছবিটি। অর্থাৎ আরও একবার ধসে পড়বে সেই রানা প্লাজা। তবে বাস্তবে নয়, প্রেক্ষাগৃহের বড় পর্দায়।
প্রায় একটা বছর সেন্সরের বেড়াজালে আটকে ছিল রানা প্লাজা। অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে গত বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র পায় এটি। ‘রানা প্লাজা’ ছবিতে পোশাক শ্রমিক ‘রেশমা’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সাইমন। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমার কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নজরুল ইসলাম খান।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রূপদানকারী পরীমণি বলেন, " এটা আমার জন্য বিশাল এক পাওয়া। প্রত্যেকটি শিল্পীরই একটি স্বপ্ন থাকে। আর এই চরিত্রকে ঘিরেই আমার স্বপ্নটি লালিত হয়েছে। বলতে পারেন আমার অভিনয়ের ড্রিম প্রজেক্ট এটি।"
তিনি আরও বলেন, "ভালোবাসা সীমাহীন ছিল আমার প্রথম ছবি। কিন্তু মনের ভেতর আঁকড়ে রয়েছে রানা প্লাজার রেশমা চরিত্রটি। ব্যক্তিগতভাবে রেশমাকে অনুধাবনের চেষ্টা করেছি। এমনকি রানা প্লাজা ধসের সেই দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে আহত হয়েছিলাম। এফডিসির ফ্লোরে সেই শ্যুটিংয়ের কথা এখনো গেঁথে আছে মনে।"
২০১৩ সালে সাভারের বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়ার ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা নামের এক মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুল ইসলাম খান নির্মাণ করেছেন 'রানা প্লাজা' ছবিটি। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসের কাহিনী নিয়ে 'রানা প্লাজা' ছবি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ছবির কাজ শেষ হলে এটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। এসময় কাহিনী ও বেশ কিছু দৃশ্য, পোশাক শিল্প খাতকে অশান্ত করে তুলতে পারে বলে অভিযোগ করেন সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা।