বলিউডে শিল্পী বনাম শিল্পীর যুদ্ধটা পুরনো। বেশিরভাগ সময়ই তা হয় বাকযুদ্ধ। সম্প্রতি এমন যুদ্ধে আবার শুরু হয়েছে। এবার ক্যাটরিনা কাইফ বনাম কঙ্গনা রানৌত। আর যুদ্ধের বিষয় 'মেধা বনাম রূপের লড়াই'। সম্প্রতি কঙ্গনা মন্তব্য করেছেন, ক্যাটরিনার নাকি কোনো মেধা নেই। শুধু রূপের কারণেই সে নায়িকা হয়েছে। 'এক থা টাইগার', 'যব তক হ্যায় জান', 'ধুম থ্রি', 'ব্যাং ব্যাং'র মতো ব্যবসাসফল ছবি ক্যাটের ঝুলিতে থাকার পরও তাকে এমন মন্তব্য শুনতে হয়েছে।
সম্প্রতি 'তানু ওয়েডস মানু রিটার্নস' ছবির সহ-অভিনেতা মাধবানের সঙ্গে জুম টিভিতে একটি সাক্ষাৎকার দেন কঙ্গনা। এখানে তিনি নানাবিধ বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তিনি ক্যাটরিনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অবশ্য সরাসরি ক্যাটের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেন, বলিউডে এমন অভিনেত্রীও আছেন যিনি ঠিকমতো হিন্দিতে কথা বলতে না পারলেও ভালো ছবিতে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। অন্য প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের সুযোগ না দিয়ে প্রযোজকেরা তাদের ছবিতে তাকে চুক্তিবদ্ধ করাচ্ছেন। এর একমাত্র কারণ হলো, তিনি রূপবতী ও আকর্ষণীয়। কিন্তু ভালো কাজের জন্য যে মেধা প্রয়োজন তা ক্যাটরিনার নেই।
কঙ্গনার এমন মন্তব্যের অনেকে ক্যাটরিনার সামনে মাইক্রোফোন ধরেছেন প্রতিউত্তরের জন্য। কিন্তু ক্যাটরিনা পুরোপুরিই চুপ আছেন।
এদিকে কঙ্গনা পক্ষের মানুষ তার মন্তব্যে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু নিশ্চুপ ক্যাটরিনা পক্ষ।
কঙ্গনার মন্তব্য আসলে নতুন করে পুরনো আলোচনা শুরু করেছেন। কারণ ক্যাটরিনার বিরুদ্ধে হিন্দি ভাষা না পারার অভিযোগ ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। শুরুর দিকে হিন্দি ভাষায় পারদর্শিতা না থাকায় তাকে ছবিতে নিতে রাজি হচ্ছিলেন না বলিউডের নির্মাতারা। তাদের ধারণা ছিল, ক্যাটের ভাঙা ভাঙা হিন্দি উচ্চারণে সংলাপ শুনে দর্শকেরা বিরক্ত হবেন। ওই সময় ক্যাটরিনার পাশে দাঁড়ান বলিউডের প্রভাবশালী তারকা সালমান খান। সল্লুই ক্যাটরিনাকে বলিউডে প্রতিষ্ঠা করেন। তদবির করে বিভিন্ন ছবিতে কাস্ট করিয়ে দেন।