পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারসোর প্রেস্টিজিয়াস ভ্যানু ক্যাসল প্যালেসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইউরোপের অন্যতম মর্যাদাকর ফিল্ম অব আর্ট অ্যান্ড ট্যুর ফেস্টিভ্যাল। বিদেশবিভূঁইয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সেরা তথ্যচিত্র নির্মাতাদের সামনে বাংলাদেশে নির্মিত বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত 'বিউটিফুল বাংলাদেশ- স্কুল অব লাইফ' অনুকরণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১২ সালে এই তথ্যচিত্র সেরা তথ্যচিত্রের পুরস্কার পাওয়ার পর এর আদলেই নির্মিত হয়েছে 'পোল্যান্ড ইজ বিউটিফুল, বিউটিফুল প্রাগ' নামের তথ্যচিত্র! নির্মাতা থেকে শুরু করে খোদ আয়োজক সবার মুখেই জয়জয়কার বাংলাদেশের তথ্যচিত্রটি। ফেস্টিভ্যালের বিচারক ২০০৮ সালে টম অ্যান্ড ওল্ফ ছবির জন্য অস্কার পাওয়া প্রযোজক ঝুমুতসকি বৃহস্পতিবার তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেছেন, 'এই তথ্যচিত্র দেখার আগে বাংলাদেশ আমার কাছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর পাগলের মতো কাজ করা মানুষের একটি দেশের ছবি ছিল। আমার সেই ধারণা পুরো বদলে দিয়েছে মইনুল হোসেন মুুকুল নির্মিত বিউটিফুল বাংলাদেশ- স্কুল অব লাইফ। আমি বাংলাদেশ যেতে চাই'। ফেস্টিভ্যালের আয়োজক কমিটির হেড অব ডিরেক্টর ইভা কুটুস বলেন, 'বিউটিফুল বাংলাদেশ- স্কুল অব লাইফ আমাদের সবার চোখ খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ সম্পর্কে। ২০১২ সালে এটি পুরস্কার পেয়েছে। এ বছর আমরা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড অর্থায়নে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের নির্মিত বিউটিফুল বাংলাদেশ- ল্যান্ড অব রিভারকে পুরস্কার দিচ্ছি। ২০১২ সালে পুরস্কার পাওয়া বিউটিফুল বাংলাদেশ- স্কুল অব লাইফের নির্মাতা মইনুল হোসেন মুকুলকে এবার পুরস্কার ও সার্টিফিকেট হস্তান্তর করা হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা আমার পরম সৌভাগ্য যে আমার নির্মিত এই তথ্যচিত্র আজ অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়।