কলকাতার ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন, কেমন লাগছে?
হুম, খুব ভালো লাগছে। ওপার বাংলার ছবিতে কাজ করার ইচ্ছেটা মনের ঘরে পুষে রেখেছিলাম। এখানকার নির্মাতা কিবরিয়া লিপু আর কলকাতার রাজা চন্দ্র যৌথভাবে ছবিটি নির্মাণ করবেন। ছবির শিরোনাম 'রকেট'। ছবিতে আমার বিপরীতে কাজ করবেন টালিগঞ্জের সোহম। পারিবারিক, অ্যাকশন ও প্রেমের গল্পের ছবি। ছবির মহরত হয়ে গেল। সোহম এসেছিল। গল্প খুব মজার। এ নিয়ে এখন কিছু বলব না। দর্শকের মজাটা নষ্ট হয়ে যাবে। কলকাতার ছবিতে কাজের আরও কথা চলছে। ফাইন্যাল হলে জানাব।
ঈদে মুক্তি পাচ্ছে 'পদ্ম পাতার জল', সফলতার ব্যাপারে প্রত্যাশা কেমন?
প্রত্যাশা অসাধারণ। কারণ, ছবির গল্প, গান, লোকেশন, চিত্রগ্রহণ এবং ডিরেকশন সবই এক কথায় বাংলা ছবির ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করবে। শুটিং হয়েছে মনকাড়া এমন সব লোকেশনে যেগুলো একদিকে দর্শনীয় অন্যদিকে প্রত্নতাত্তি্বক। যেমন- কাপ্তাই, রাঙামাটি, বান্দরবান, টেকনাফ, ইনানী, সোনার গাঁ পানাম সিটি, আহসান মঞ্জিল, মানিকগঞ্জের বালিয়াটি রাজবাড়ী, টাঙ্গাইলের মহেড়া, নাগরপুর, ধনবাড়ী জমিদারবাড়ী ও মধুপুর রাবার বাগান।
ছবিতে আপনার রূপায়িত চরিত্রটি সম্পর্কে বলুন-
এতে আমিই পদ্ম। আমাকে ঘিরেই গল্পের লতাপাতা গজিয়েছে। পদ্ম পাতার জল অনেক দূর গড়িয়েছে। আমি বাঈজী। শহরের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ বাঈজী বাড়ি ঝুমরী মহল আমার ঠিকানা। প্রতাপশালী জমিদার নন্দন শিশির আসে এই রং মহলে। একসময় আমার প্রেমে পড়ে সে। কিন্তু স্বপ্নের নারীদের বাস্তবিক কোনো পরিচয় নেই। থাকতে পারে না স্বাভাবিক জীবনের আকাঙ্ক্ষা। আমাদের ভালোবাসার টানাপড়েন নিয়েই এগিয়ে যায় গল্প।
বিশেষ কী থাকছে ছবিতে?
এ ছবির ব্যতিক্রমী দিক হচ্ছে প্রথমবার ঢাকার ছবিতে কবিতার ব্যবহার হয়েছে। তা ছাড়া সংলাপগুলোও মজার। যেমন- শিশিরকে উদ্দেশ করে পদ্ম বলে- 'তুমি হলে সেই শিকারি, যে শিকারের আগে ঢিল মেরে উড়িয়ে দাও পাখি, তারপর গুলি ছুড়ো...'। কিংবা 'নারীর ছলনা বোঝার মতো বয়সে কখনো পৌঁছায় না পুরুষ...' ইত্যাদি।
এসবের আয়োজক ছবির গল্পকার লতিফুল ইসলাম শিবলী। দর্শকের জন্য ছবির ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে চমৎকার সব মজা আর আনন্দ। সবকিছুই জীবন্ত করেছেন নির্মাতা তন্ময় তানসেন। একটি ফ্যামিলি ও ড্রামা বেইস মুভি। সপরিবারে দেখতে না গেলে মারাত্দক মিস করবে দর্শক।
যেহেতু ছবিতে বাঈজী চরিত্র আছে, তাই ভালো নাচ-গানের আয়োজন থাকছে নিশ্চয়ই?
বিশাল আয়োজন, ৩৫ লাখ টাকার কস্টিউম ও জুয়েলারি ব্যবহার করা হয়েছে। সবই অর্ডার দিয়ে বানানো। অরিজিনাল তেরাকোটা ব্যবহার হয়েছে ৬টি। এতে খরচ হয় তিন লাখ টাকা। ছবিতে নৃত্য পরিচালনা করেছে বলিউডের 'দেবদাস' ও 'সাওয়ারিয়া' ছবির কোরিওগ্রাফার হারেস ভাট, প্রতাপ শেঠী আর আমাদের মাসুম বাবুল এবং জাকির হোসেন। চিত্রগ্রহণ করেছেন ঢালিউডের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী মাহাফুজুর রহমান খান। আর গান হচ্ছে এই ছবির প্রাণ।
পছন্দের মাধ্যম ছোট, নাকি বড় পর্দা?
আসলে ছোট পর্দার কাজ করতে গেলে অল্প সময়ে বেশি কাজ করা যায়। এতে অভিনয় শেখার সুযোগ হয়। বড় পর্দা ও অন্য মাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যায়। তারপরও বলব, একজন শিল্পীর জন্য প্রতিটি মাধ্যমই সমান পছন্দের।
আলাউদ্দীন মাজিদ