জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। পুরো নামের তিনটি শব্দের মতো ক্যারিয়ারও প্রতিফলিত হচ্ছে তিন জায়গায়। অর্থাৎ বড় পর্দা, ছোট পর্দা এবং র্যাম্প- এই তিন প্ল্যাটফর্মেই আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছেন এই লাস্যময়ী। আর এর সাথে বাড়তি বোনাস হিসেবে আইন পেশার চাদরও গায়ে জড়িয়েছেন। গত শনিবার ছিল পিয়ার জন্মদিন। কিন্তু সেই দিন খুব একটা আনন্দ উৎসব করা হয়নি তার। কারণ সেই দিন ছিল পিয়ার 'বার লাইসেন্সের' পরীক্ষা। তাই পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে জন্মদিনের আনন্দটা ভাগাভাগি করলেন এবার। আজ সোমবার রাজধানীর বনানীর একটি কনভেনশন হলে উদযাপিত হল তার জন্মদিন। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে কেক কেটে উৎসবের শুরু করেন পিয়া। অনুষ্ঠানে ছোট পর্দা, বড় পর্দা এবং র্যাম্প ওয়ার্ল্ডের বেশ কয়েকজন তারকা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সমাজের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে যে কয়জন মডেল আলোর দ্যুতি ছড়িয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম পিয়া। ছোট পর্দা, বড় পর্দা, উপস্থাপনা, র্যাম্প- হোক সেটা দেশে কিংবা বিদেশে সব ক্ষেত্রেই রেখেছেন সফলতার ছাপ। শুধু সাফল্যই নয়, ইতোমধ্যে নিজেকে অন্যতম আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
ঢাকা থেকে দিল্লি-মুম্বাই, ব্যাংকক থেকে রোম, এমনকি নিউইয়র্কের মঞ্চেও হেঁটেছেন তিনি। পিয়া যুক্ত আছেন বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মডেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গেও। হয়েছেন বিখ্যাত অনেক কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত। খুব অল্প সময়েই নিজের দৃঢ় একটি অবস্থান ইতোমধ্যেই তৈরি করেছেন।
২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ নির্বাচিত হন পিয়া। মূলত এরই মাধ্যমে মিডিয়ায় বিচরণ শুরু পিয়ার। ১৯ দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে ২০১৩ সালে 'মিস ইন্ডিয়ান প্রিন্সেস ইন্টারন্যাশনাল' নির্বাচিত হন খুলনার মেয়ে পিয়া। রেদওয়ান রনির হাত ধরে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া 'চোরাবালি', 'দ্যা স্টোরি অব সামারা', 'গ্যাংস্টার রির্টান'সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। প্রথম বাংলাদেশি মডেল হিসেবে জনপ্রিয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল সাময়িকী 'ভোগ'-এর প্রচ্ছদেও দেখা গেছে পিয়াকে।
পিয়া ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন আইনজীবী হওয়ার। এরইমধ্যে লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্ট্যাডিস (এলসিএলএস) থেকে গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন পিয়া। মডেলিং ও অভিনয়ের পাশাপাশি আইন পেশাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৬ অক্টোবর, ২০১৭/ ই জাহান