'পদ্মাবতী'র পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছে ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টিভি ডিরেক্টর'স অ্যাসোসিয়েশন (IFTDA)-সহ আরও ২০টি চলচ্চিত্র সংগঠন। রবিবার ১৫ মিনিটের জন্য 'ব্ল্যাকআউট' পালন করা হবে।
মুম্বাইয়ে হবে না কোনও শুটিংয়ের কাজ। বন্ধ করে দেওয়া হবে ফ্লোরের সমস্ত আলো। এভাবেই শিল্পীর স্বাধীনতার জন্য লড়াই করবে বলে ঠিক করা হয়েছে আইএফটিডিএ'র পক্ষ থেকে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে অশোক পণ্ডিত বলেন, কোনও কাহিনীকে নিজের মতো করে পরিবেশন করার অধিকার সৃষ্টিশীল মানুষের রয়েছে। সঞ্জয় লীলা বনশালি যথেষ্ট দায়িত্বশীল পরিচালক। তিনি জেনে বুঝেই একটি সিনেমা তৈরি করেন। তার এই সৃষ্টির প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা থাকা উচিত। কিন্তু কিছু মানুষ সম্পূর্ণ তথ্য না জেনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।
নায়িকা-পরিচালককে যেভাবে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করা হচ্ছে তার প্রতিবাদেই এই 'ব্ল্যাকআউট'-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সারা মুম্বাইয়ের বিনোদন জগতে তা পালন করার আরজি জানানো হয়েছে। আর এই পুরো উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে 'ম্যায় আজাদ হুঁ'।
যে কোনও কিছুতে না জেনেই প্রতিবাদ করতে থাকা কিছু মানুষের স্বভাব হয়ে গেছে। সব সময় কিছু সৃষ্টি করার জন্য পরিচালক-অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। সরকারের পক্ষ থেকেও তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন পণ্ডিত। গ্ল্যামার জগতকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে দেখাটা স্বভাবে দাঁড়িয়ে গেছে বলে জানান তিনি। এর বিরুদ্ধে এভাবেই অহিংস প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান আইএফটিডিএ'র সদস্য।
শুক্রবারই 'পদ্মাবতী' বিতর্ক নতুন মোড় নেয়। নাহারগড় দুর্গে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যার পাশে একটি পাথরে উপর লেখা ছিল, 'আমরা কেবল পুতুলই ঝোলাই না পদ্মাবতী'। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, বুধবারই তো কর্ণি সেনার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল মেওয়ারের রাজ পরিবারকে দেখাতে হবে এই ছবি। রাজ পরিবারের সদস্যদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে এ ছবি নিয়ে তারাও আর আপত্তি জানাবেন না। তাহলে শুক্রবার এমন প্রতিবাদ দেখানোর কী অর্থ?
এদিকে, সেনার তরফেও আবার জানিয়ে দেওয়া হয় ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনও যোগসূত্র নেই। এরপরই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি বিক্ষোভের আঁচ জিইয়ে রাখতেই ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনো হয়েছে? যাকে কিছুদিন আগেই সুপরিকল্পিত আখ্যা দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও। শুক্রবার ফের ছবির কলাকুশলীদের পাশে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুক্তমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, অন্য রাজ্য যদি ছবি মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সঞ্জয় ও তার টিম নিশ্চিন্তে বাংলায় চলে আসতে পারে। এখানে ছবি মুক্তির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/২৫ নভেম্বর ২০১৭/আরাফাত