ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে বাংলা সিনেমা। হিন্দি সিনেমার কারণে প্রেক্ষাগৃহ হারাচ্ছে বাংলা সিনেমা। ফলে আসন্ন দুর্গাপূজাতেও বাংলা সিনেমার জন্য প্রেক্ষাগৃহের সঙ্কট দেখা দেয়। কেননা, এবার চারটি বাংলা সিনেমার বিপরীতে মুক্তি পাচ্ছে দু’টি বড় বাজেটের হিন্দি সিনেমা। এর মধ্যে প্রেক্ষাগৃহ পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে হিন্দি সিনেমাই।
ফলে লোকসানের শঙ্কায় বাংলা সিনেমার প্রযোজকরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে মাল্টিপ্লেক্স চেন ও অন্যান্য প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা যাতে হিন্দি ও বাংলা সিনেমার মধ্যে প্রেক্ষাগৃহ ভাগের ক্ষেত্রে সমানুপাত বজায় রাখেন, সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা যায়, মুখ্যসচিব বিবেক কুমারের পাঠানো সেই নির্দেশনা আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
এবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে বাংলা সিনেমা-‘গুমনামী’, ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’, ‘মিতিন মাসি’ ও ‘পাসওয়ার্ড’। হিন্দি সিনেমা-‘ওয়ার’ ও ‘সেইরা নরসিংহ রেড্ডি’ এবং ইংরেজি সিনেমা ‘জোকার’।
‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমাটির প্রযোজক ও অভিনেতা দেব। মূলত তিনিই সমানুপাতিকভাবে বাংলা ও হিন্দি সিনেমার প্রেক্ষাগৃহ ভাগাভাগির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
পশ্চিমবঙ্গের একটি সংবাদমাধ্যমে দেব বলেন, ‘আমি দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) অবস্থাটা জানাই। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমি সব সময়ে প্রতিবাদ করি। বাংলা সিনেমা জায়গা পাচ্ছে না, সেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিই, লেখাটা দিদিকেও পাঠাই। দিদি সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেন।’’
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রেক্ষাগৃহের ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছেন ‘মিতিন মাসি’র পরিচালক অরিন্দম শীলও।
তবে এ ব্যাপারে প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, বুধবার রাত পর্যন্ত কোনো চিঠি তাদের কাছে পৌঁছায়নি। তবে এখনও প্রেক্ষাগৃহ ও শো’য়ের বিষয়গুলো চূড়ান্ত হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম