অভিনেত্রী পল্লবী দে’র আত্মহত্যা নিয়ে এখনও চলছে তদন্ত। তার মাঝেই বুধবার পশ্চিমবঙ্গের দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তার বন্ধু মডেল বিদিশা দে মজুমদারের মরদেহ। এর দু’দিনের শুক্রবার পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তাদের বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর মরদেহ।
হতাশা নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েন? কি কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তারা? তা নিয়ে হাজারও জল্পনা। এরই মাঝে গণমাধ্যমের হাতে এসেছে বিদিশার সুইসাইড নোট।
বিদিশা তার সুইসাইড নোটে লিখেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কাজ কমে গিয়েছিল বলে চলে গেলাম। আমার প্রফেশনাল লাইফে কাজ কমে গিয়েছিল। তাই আমার ইএমআই, ব্যক্তিগত খরচ, বাড়িভাড়া চালাতে অসুবিধা হচ্ছিল। আমি নিজের বাড়িতেও ভালো ছিলাম না। আমার পাশের বাড়ির ফ্যামিলি খুব ডিস্টার্ব করত। প্রতিমাসে আমি তিন থেকে চারটা শুট করতাম। তা দিয়ে আমার কিছু হতো না। কাউকে না জানিয়ে আমি ইভেন্ট করতাম। তা থেকেও আমার কিছু হতো না। আমি আত্মহত্যা করছি আর আমি সুইসাইড করেই হ্যাপি...।”
বুধবার সন্ধ্যায় নাগেরবাজার থানায় ফোন করেন বিদিশার এক বান্ধবী। এরপর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে বিদিশার খাট থেকেই পাওয়া গিয়েছিল সুইসাইড নোট। কোনও আলাদা পাতায় নয়, একটি খাতার শেষ পাতায় সুইসাইড নোট লেখেন বিদিশা, তার হাতের লেখাও ছিল অবিন্যস্ত।
সেই সুইসাইড নোট সামনে আসতেই শুরু নতুন জল্পনা। পাশের বাড়ির কারা বিদিশার জীবনে সমস্যা তৈরি করেছিল? প্রতি মাসে কত টাকাই বা রোজগার করতেন বিদিশা? কত টাকা ইএমআই দিতে হতো তাকে? এখন এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/কালাম