১১ জুলাই, ২০২০ ১৮:৫৪

নজর কেড়েছে খাইরুল-দিলরুবা দম্পতির ছাদকৃষি

ড্রাগনের ফলন ভালো, ফুল-ফল-ঔষধী ও শাক-সবজিতে ভরপুর

রাহাত খান, বরিশাল:

নজর কেড়েছে খাইরুল-দিলরুবা দম্পতির ছাদকৃষি
ছোট বেলা থেকেই তার গাছ লাগানোর প্রতি ঝোঁক। বৃক্ষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। ভালো লাগা থেকেই সাতক্ষীরা সদরের নিজ বাড়ির ছাদে ফুল, ফল ও সবজির সমন্বয়ে গড়ে তোলেন ছাদ কৃষি। স্বামীর সংসারে গিয়েও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন। পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর বদলীজনিত চাকরি হওয়ায় টবে করেই ছাদ কৃষিতে বিপ্লব করেছেন সাতক্ষীরার মেয়ে দিলরুবা আলম। 
 
যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই টবের উপর ছাদ কৃষি করে সবার নজর কাড়ছেন তিনি। তার স্বামী মো. খাইরুল আলম বরিশাল মেটোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর)। সেই সূত্রে বরিশালের ভাড়া বাসার ছাদে ড্রাগন, আম গাছ, জাম গাছ, পেয়ারা গাছ, আনারস, আঙ্গুর, আঁখ, লেবু, বেগুন, চাল কুমরা, লাল শাক, পুদিনা পাতা, ধনেপাতা, বনসাই, বাঁশ, ওষুধী গাছ এলবেরা ও তুলসী পাতা সহ নানা ফল, সবজী ও ঔষধী বাগান গড়ে তুলেছেন দিলরুবা আলম। তার বাগানে রয়েছে বাহারী নাইট কুইন, ক্যাকটাসসহ প্রায় ৬২ প্রজাতির ফুল গাছের সমারোহ। পুলিশ কর্তা স্বামী যখন ডিউটিতে থাকেন সেই সময় ছাদকৃষির পরিচর্যা করেই সময় কাটে দিলরুবার। তার এই কাজে রয়েছে স্বামীর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা। তার অনুপেরনায় যেখানেই বদলী হয়ে যান সেখানেই গড়ে তোলেন ছাদ কৃষি।  
 
খাইরুল আলম জানান, লকডাউনের সময় ছাদ বাগান থেকেই নিজেদের চাহিদার বেশীরভাগ শাক-সবজির যোগান দিয়েছেন। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্যদেরও তাদের বাগানের শাক সবজি দিয়েছেন।
 
দিলরুবা আলম জানান, শৈশব থেকেই বাবার বাড়িতে সখের বসে গাছ লাগাতেন তিনি। গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করে তিনি আনন্দ পান। স্বামী তার এই কাজে উৎসাহ দেন এবং তার সাথে গাছের পরিচর্যা করে তাকে সহযোগীতা করায় তারা যৌথভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল, ঔষধী ও সবজির বাগান গড়ে তুলতে পেরেছেন। 
 
দিলরুবার মতে ছাদে ড্রাগন চাষ করা খুব সহজ। তিনি ছাদে ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন। প্রায়ই ফল ঘরে তুলছেন। সোনার মাটি কাজে লাগিয়ে প্রত্যেকের যেখানে সম্ভব সেখানেই কৃষি গড়ে তোলা উচিত বলে পরামর্শ দেন ছাদ কৃষিতে সফল দিলরুবা। 
 
খাইরুল-দিলরুবা দম্পত্তি ভাড়া থাকেন নগরীর আলেকান্দা পলিটেকনিক সড়কের বাসিন্দা সাবেক পৌর কমিশনার আলমগীর হোসেন আলোর ৪ তলা ভবনের চতুর্থ তলায়। মালিকের অনুমতি নিয়েই তিনি চতুর্থ চলার ছাদে কৃষি গড়ে তুলেছেন। 
 
বাড়ির মালিক বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, তার স্ত্রী সন্তান কেউ দেশে থাকে না। তার বাড়ি এক প্রকার খালী ছিলো। সেখানে ডিসি খাইরুল দম্পতি নিজেদের মতো করে তার বাড়িতে থাকছেন। তিনি তাদের ভাড়াটিয়া মনে করেন না। তিনি নিজে যেখানে ছাদে কৃষি করতে পারেননি, সেখানে তারা কয়েক বছরের জন্য এসে তার ছাদে কৃষি করায় তিনি বরং গর্বিত।
 
বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর