৩ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৫৯

নাটোরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কোকাটিয়েল পাখি পালন

নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কোকাটিয়েল পাখি পালন

নাটোরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কোকাটিয়েল পাখি পালন

নাটোরে কোকাটিয়েল পাখি পালন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনেকেই এ পাখি পালন করে লাভবান হয়েছে। তবে নাটোরের সৌখিন পাখি প্রেমিকরা বলছে, কোকাটিয়েলের দাম অনেক বেশি, তাই অনেক সৌখিন পাখি পালকের সখ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে থাকছে না।

কোকাটিয়েল একটি রাজকীয় পাখি। কোকাটিয়েল বিশ্বব্যাপী খাচায় পালন করা পাখির মধ্যে জনপ্রিয় পাখি। এটি কাকাতুয়া পরিবারের একটি পাখি। কোকাটিয়েল ক্যারিওন এবং উইরো নামেও ডাকা হয়। তবে নাটোরে এটি "ককাটেল পাখি" নামেই পরিচিত। কোকাটিয়েল মূলত অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলের এন্ডেমিক প্রাণি। সহজে বাচ্চা উৎপাদন, সৌন্দর্য ও আরও কিছু কারণে এটি বাজিরিগার এর পরে, খাঁচায় পোষা দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রজাতি। পূর্বে এটিকে ঝুঁটিওয়ালা তোতা বা ছোট কাকাতুয়া হিসেবে বিবেচনা করা হত। 

এরা যাযাবর শ্রেণির পাখি। যেখানে খাবার আর পানির প্রাচুর্য, সেখানে এরা উড়ে যেতে সময় নেয় না।  প্রকৃতিতে ককাটিয়েলকে সাধারণত জোড়া বা ছোট ঝাঁক হিসেবে পাওয়া যায়। অনেক সময় অনেকগুলো ককাটিয়েলকে একসাথে ঝাঁক বেঁধে পানি খেতে দেখা যায়। অনেক কৃষকের কাছে এরা মূর্তিমান আতঙ্ক। এরা প্রায়ই ক্ষেতে হামলা করে, চাষ করা ফসল খেয়ে আসে।

অস্ট্রেলিয়ার অতি উর্বর দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, সুবিশাল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান মরুভূমিতে এবং কেপ ইয়র্ক পেনিনসুলা উপদ্বীপে এরা অনুপস্থিত। ককাটিয়েল একমাত্র কাকাতুয়া প্রজাতি যারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে জন্মের প্রথম বছরের শেষের দিকেই বাচ্চা দেয়া শুরু করে দেয় ।

শহরের আলাইপুর মহল্লার সৌখিন পাখি পালক মো. আমিনুল ইসলাম (সুমন) জানান, তিনি সখেই খাচায় পাখি পালন করতেন। তবে তিনি বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বাণিজ্যকভাবে পালন করেন। পাখি কেনা বেচা করেন তা থেকে তার বেশ আয় হয়। তিনি আরও বলেন, কোকাটিয়েল বর্তমানে নাটোরে অনেকেই পালন করেছে। সৌখিন পাখি পালকরা ককাটিয়েল পালনে আগ্রহী হয়েছে এবং তারা লাভবান হয়েছে। কোকাটিয়েল পাখি রং ও জাতে ভিন্নতা আছে, সেক্ষেত্রে দামে কম বেশি আছে। 

যেমন গ্রেটার সর্বনিন্ম একজোড়া বাচ্চার দাম ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত, লুটোনো ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা ,স্বর্ণ ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা, এলভিনিয় ৪০০০ থেকে ৪৫০০ টাকায় বর্তমানে নাটোরে কেনা বেচা হচ্ছে। এছাড়া ইউমেনো, লোটনো, নট, পাইল, হোয়াইট, পাল, হোয়াইট ফেজ, সিলভার এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরি আছে প্রকার ভেদে দাম। তবে ফিঞ্চ, বাজরিগার পাখির তুলনায় কোকাটিয়েলের দাম বেশি। তাই অনেক সৌখিন পাখি পালকের সখ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে থাকে না। তবে নাটোরে উৎপাদন যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে দাম কমতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. গোলাম মোস্তফা জানান, কোকাটিয়েলের সাধারণত তেমন কোন রোগ হয় না। সঠিক সময়ে খাদ্য পরিচর্চা করা হলে সারা বছর সুস্থ থাকে, তবে বছরে সর্বোচ্চ তিন বার ব্রিফিং করতে দেওয়া দরকার, যদি বেশি ব্রিফ করে সেক্ষেত্রে কোকাটিয়েল হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। তিনি আরও বলেন, নাটোরে অনেকে সৌখিনতায় পালন করছে কোকাটিয়েল পাখি। সৌখিন পাখি পালকরা যাদি বাণিজ্যিকভাবে এই পাখি পালন করে তবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাদি কেউ কোকাটিয়েল পাখির খামার গড়ে, তবে খামারিকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে বলেও তিনি জানান।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর