বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভাঙতে হবে বিজিএমইএ ভবন, দিতে হবে খরচ

আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভাঙতে হবে বিজিএমইএ ভবন, দিতে হবে খরচ

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ বহাল রেখে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল ৩৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইট। রায়টি লিখেছেন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে নিজস্ব খরচে ১৬ তলা ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ তা না করলে পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) ভবন ভাঙার এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভবন ভাঙার খরচ বিজিএমইএর কাছ থেকেই নেবে রাজউক। এর আগে ২ জুন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। জমির স্বত্ব না থাকা এবং জলাধার আইন লঙ্ঘন করে রাজধানীর হাতির ঝিলের দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প এলাকায় নির্মিত বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে পাঁচ বছর আগে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই রায়ের পর বিজিএমইএ ভবন কর্তৃপক্ষ লিভ টু আপিল করে। আপিলের আবেদন খারিজ করে জুনে রায় দেয় আপিল বিভাগ। গতকাল ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলো। এখন এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ রিভিউ আবেদন করতে পারবে। অন্যথায় এ ভবনটি ভাঙতে আর কোনো আইনি বাধা নেই। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন ছাড়া হাতির ঝিলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) এ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মুনিরউদ্দিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট বিজিএমইএ ভবন অবৈধ ঘোষণা করে তা ভাঙার নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ আপিলে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায়ের ওপর ছয় সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন। পরে এ সময়সীমা বাড়ানো হয়। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ ভবনটি ভেঙে ফেলতে হাইকোর্টের দেওয়া ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর ওই বছরের ২১ মে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।

সর্বশেষ খবর