শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

মাদক নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে

সাখাওয়াত কাওসার
প্রিন্ট ভার্সন
মাদক নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে

দেশজুড়ে মাদকের ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। দেশের ৩২ জেলার সীমান্তবর্তী ৫১ পয়েন্ট দিয়ে পাচার করে আনা হচ্ছে হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। এ ছাড়া স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথেও দেশে ডুকছে হরেক নামের মাদক। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সহজেই তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। অনেক এলাকায় খুচরা বিক্রেতারা দিচ্ছেন ‘হোম সার্ভিস’। ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত মাদক। আর মাদকের সেলসম্যানের ভূমিকায় রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী। এদিকে অবৈধ অস্ত্র, অর্থ আর রাজনৈতিক প্রভাবে দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে এই মাদক মাফিয়ারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এখন তাদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছে না। মাদকের ডেরায় অভিযান চালালেই মাদক মাফিয়ারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধ্বংসের মাদক ব্যবসার প্রসার হচ্ছে দ্রুত।

ঘরের দরজায় ইয়াবা : ফার্মগেটের তরুণ সাহাবুদ্দিন। ইয়াবায় আসক্ত। এক সময় এ তরুণকে ইয়াবা জোগাড় করতে বহুদূর যেতে হতো। কখনো পুরান ঢাকা, কখনো টঙ্গী। কয়েক মাস পর সাহাবুদ্দিন খবর পায়, পল্টনে পাওয়া যায় ইয়াবা। বছর খানেক পর সাহাবুদ্দিন ধানমন্ডিতে পেয়ে যায় ইয়াবা। সেখানেই পরিচয় আরেক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তার কাছ থেকে খবর পায়, এতদূরে নয়, ফার্মগেটে আছে ইয়াবা। ফার্মগেটের সাহাবুদ্দিন ফার্মগেটেই পাচ্ছেন ইয়াবা। আর কদিন পর সাহাবুদ্দিনকে আর বাসা থেকে   বের হতে হয় না। ঘরের দরজার কাছে চলে আসে ইয়াবা। আগে ইয়াবা যোগাড় করতে ঘুরতে হতো, এখন ইয়াবা নিজেই চলে আসছে হাতের মুঠোয়। ইয়াবার এমন  সহজলভ্যতার চিত্র এখন সারা দেশে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, সারা দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার। এর মধ্যে ২৭ হাজার ৩০০ জন নারী মাদক ব্যবসায়ী। যা মোট মাদক ব্যবসায়ীর ১৭.৬ শতাংশ। এসব নারীর বয়স ১৫ থেকে ৬০। এ ছাড়াও নারীরা মাদক বহনে ৪০ শতাংশ শিশুকে ব্যবহার করে। প্রতিদিন ৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে। আর ২০১৫ সালে দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল ৯৫ হাজার ৪০০ জন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায়  ১ লাখ ৩০ হাজার ১০ জনে। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা  বেড়ে ১ লাখ ৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা  গেছে, গত ১ বছরে দেশে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা  বেড়েছে ২৯ হাজার ৯৯০ জন। তবে কক্সবাজার জেলায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। সেখানে কমপক্ষে সাড়ে ৬ হাজার পুরুষ ও নারী মাদক ব্যবসায় জড়িত।

বরিশালে ফেসবুকে অর্ডার দিলে আসে মাদক : বরিশাল থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, মরণঘাতী মাদক ইয়াবায় ছেয়ে গেছে বরিশাল বিভাগের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রামপর্যায় পর্যন্ত। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় সর্বনাশা ইয়াবা। মুঠোফোনে কিংবা ফেসবুকে অর্ডার দিলে গোপনে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক। এ ছাড়া হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, প্যাথেড্রিন, মরফিন, টিডিজেসিড, অ্যালকোহল (মদ) এবং ড্যান্ডি পাওয়া যাচ্ছে হাতের নাগালেই। দিন দিন মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়ছে এবং এতে পরিণতি ভয়াবহ হচ্ছে উল্লেখ করে বরিশালের মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘সেইভ দ্য লাইফ’ এর চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, বর্তমানে প্রচলিত মাদকের মধ্যে ‘ইয়াবা’ মোস্ট পপুলার। আজকের ইয়াবাসেবী কালকের ইয়াবা ব্যবসায়ী। এভাবেই দিন দিন বাড়ছে ইয়াবাসেবী ও বিক্রেতার সংখ্যা। জানা যায়, কক্সবাজার কিংবা চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পরিবহনে এবং লোকমাধ্যমে বরিশালে ইয়াবা চালান আনা হয়। ফেনসিডিল আসে যশোর, সাতক্ষীরাসহ ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে বিভিন্ন পরিবহনে এবং লোক মারফত। গাঁজার চালান আসে কুমিল্লা এবং নোয়াখালী থেকে সড়ক ও নৌপথে। নেশাজাতীয় ইনজাকশন প্যাথেড্রিন, মরফিন ও টিডিজেসিড পাওয়া যায় চিহ্নিত কিছু ফার্মেসিতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসারও অভিযোগ রয়েছে। গত প্রায় ১ বছরে বরিশালে ইয়াবাসহ পুলিশের দুজন সদস্য আটক হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। মাদকের মামলায় বরিশালে কারান্তরীণ রয়েছেন শিল্প পুলিশের এসআই চিন্ময় মিত্র। এ ছাড়া মাদকসেবীদের ধরে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পুলিশের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

সিলেটজুড়ে বিস্তার : সিলেট থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ভারত ও দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থান থেকে স্রোতের মতো আসা মাদকের জাল এখন সিলেটের সর্বত্র। শহর থেকে গ্রাম সবখানেই মাদকের ভয়ঙ্কর ছোঁবল। আর সিলেটে বর্তমানে অভিনব পন্থায় মাদক বিক্রি করা হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা সেজে একেবারে ঘর পর্যন্ত মাদক পৌঁছে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। একসময় বখে যাওয়া যুব সমাজই ছিল মাদকের প্রধান সেবনকারী। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, অভিজাতপাড়ার সন্তান, স্ত্রীরাও মাদকের ছোবলে আক্রান্ত। জানা যায়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট সীমান্ত দিয়ে মদ, বিয়ার, হুইস্কিসহ বিভিন্ন ধরনের মদ ভারত থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসে মাদকচক্র। জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ফেনসিডিল। এ ছাড়া ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা থেকে বাস ও ট্রেনে বিভিন্ন বাহকের মাধ্যমে সিলেটে আসে হেরোইন, চট্টগ্রাম থেকে আসে ইয়াবা।

ট্রানজিট পয়েন্ট বৃহত্তর চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান,  ভৌগোলিক ও মাদকের আন্তর্জাতিক রুটের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে বৃহত্তর চট্টগ্রাম মাদক পাচারের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কিলোমিটার এলাকার কমপক্ষে ৭০ পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, আফিম, গাঁজাসহ হরেক রকমের মাদক দ্রব্য। এসব মাদক পাচারের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা, ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী। এমন কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যও রয়েছে এসব মাদক সিন্ডিকেটে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদক পাচারের ল্যান্ডিং পয়েন্ট চট্টগ্রামের নৌবন্দর এবং স্থলপথে ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে আসছে মাদকদ্রব্য। চট্টগ্রামে হয়ে পাচার হওয়া মাদকের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, আফিম, মরফিন, কোডিন, মারিজুয়ানা, চোলাই মদ। বৃহত্তর চট্টগ্রামে ইয়াবা, গাঁজা এবং ফেনসিডিল এ তিন মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বড় ও মাঝারি মানের কমপক্ষে ১০০ সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটে জড়িত রয়েছে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা সারা দেশে পাচারের একমাত্র রুট হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে চট্টগ্রাম। সড়ক ও নদীপথে টেকনাফ, কক্সবাজার থেকে ইয়াবা চট্টগ্রামে আসছে। পাশাপাশি মিয়ানমার হয়ে নদীপথে আসছে কোকেন, মারিজুয়ানা, মরফিন এবং বিদেশি মদ। মিরসরাই, খাগড়াছড়ি, ফেনী, আখাউড়া, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আসছে আফিম, হেরোইন ও ফেনসিডিল। এসব মাদক সড়ক এবং রেলপথে পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। চট্টগ্রামে যত গাঁজা আসে তার ৮০ ভাগই আসে রেলপথে। দেশি মদ হিসেবে পরিচিত চোলাই মদ আসে তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা থেকে।

চট্টগ্রাম মেট্রো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান মাদক গোল্ডেন ট্রায়াংগেল ও গোল্ডেন ক্রিসেন্টের কাছাকাছি এলাকায়। এ সুযোগ কাজে লাগাতে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান সিঙ্গাপুরসহ মাদক উৎপাদনকারী কিছু দেশ চট্টগ্রামকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই মাদক পাচারের ট্রানজিট পয়েন্টে পরিণত হয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম। ফলে চট্টগ্রামে বিশ্বের প্রচলিত মাদকদ্রব্যগুলো সহজলভ্য হয়েছে।

রাজশাহীর তিন উপজেলায় জমজমাট কারবার : রাজশাহী থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, রাজশাহীর সীমান্তবর্তী তিন উপজেলা চারঘাট, বাঘা ও গোদাগাড়ীতে এখন রমরমা মাদকের বাণিজ্য। সম্প্রতি মাদকের চালান বহনে রাজশাহী অঞ্চলে যুক্ত হয়েছে নারীরাও। প্রতিদিন দুই একজন মাদক ব্যবসায়ী ও বহনকারীদের ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হলেও এর আওতায় পড়ছেন কেবল ক্ষুুদ্র মাদক ব্যবসায়ী ও বহনকারীরা। আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে অবাধে মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে রাঘববোয়ালরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিনই চারঘাট, বাঘা ও গোদাগাড়ী এলাকার সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসছে ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা। গোদাগাড়ী সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার হেরোইন আসছে। আর চারঘাট ও বাঘা সীমান্ত দিয়ে আসে ফেনসিডিল, গাঁজা ও ইয়াবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোদাগাড়ীতে পুলিশের তালিকায় থাকা অর্ধশত গডফাদার নির্বিঘ্নে হেরোইনের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত ৫ হাজারের বেশি বহনকারী। মাদক ব্যবসায়ী গডফাদারদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কিছু সদস্যের গভীর সখ্য থাকায় মাদকের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে তথ্য দিতে সাহস পায় না এলাকাবাসী।

খুলনায় ভয়াবহ আগ্রাসন : খুলনা থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, খুলনা বিভাগের ৬ সীমান্ত জেলার শতাধিক রুট দিয়ে মাদক পাচার হয়। খুলনা-সাতক্ষীরা ও খুলনা-যশোর রুটে মাদকদ্রব্য চোরাচালান বেশি হয়। এ ছাড়া খুলনায় কোকেন ও হেরোইন চোরাচালানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক সিন্ডিকেট জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। মাদক সেবীদের উৎপাত ও ইভটিজিং বেড়েছে চরম হারে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় প্রত্যন্ত এলাকাগুলো ইতিমধ্যে মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তবে চলতি মাসে সর্বশেষ আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা বৈঠকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকাভিত্তিক মাদক বিক্রেতাদের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আচমকা অর্থবিত্তের মালিক হওয়া খুলনার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি মূলত মাদকের কারবারি। এদের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়া। বিকিকিনিতে যুক্ত আছে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তরুণ-যুবক ও ছাত্ররা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য, প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারাও এদের সহযোগিতা করে।

উত্তরাঞ্চলে মাদকের হোম সার্ভিস : রংপুর মহানগরসহ উত্তরাঞ্চলের গ্রাম-গঞ্জের তরুণ-তরুণীরা এখন আসক্ত হচ্ছে মরণনেশা ইয়াবায়। এগুলো ‘বাবা’, ‘ছোট’ ও ‘গুটি’ নামে পরিচিত। রংপুর অঞ্চলে পাইকারি বিক্রেতার হাত হয়ে তা যাচ্ছে খুচরা বিক্রেতার কাছে। খুচরা বিক্রেতারা দিচ্ছেন ‘হোম সার্ভিস’।  ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এই মাদক। আর মাদশের সেলসম্যানের ভূমিকায় রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী। শুধু বাবা নয়, হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরণনেশা ফেনসিডিল,  হেরোইন, গাঁজা, বাংলামদ, ড্যান্ডি, বিভিন্ন জাতের মিশ্রণে তৈরি ঝাক্কি-১. ঝাক্কি-২, মিকচার-১সহ নানা ধরনের মাদক। তবে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা এখন  বেশি জড়িয়ে পড়ছে ইয়াবায়। মাদকে আসক্ত হচ্ছেন একশ্রেণির পুলিশ সদস্য, মাঝবয়সী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী এবং স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। জানা গেছে, রংপুরের প্রধান চার-পাঁচ জন মাদক ব্যবসায়ী রাজশাহীর চরাঞ্চল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হিলি, পলাশবাড়ী,  গোবিন্দগঞ্জ, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, হারাগাছ, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তপথে মাদক নিয়ে আসেন।

সীমান্ত পেরিয়ে যেভাবে আসে ইয়াবা : গোয়েন্দা ও স্থানীয় সূত্র বলছে, শুধু বাংলাদেশে পাচারের জন্যই মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় গড়ে  তোলা হয়েছে ৩৮টি ইয়াবা কারখানা। এ সব কারখানা  থেকে প্রতিদিন ৩০ লাখেরও বেশি ইয়াবা ঢুকছে  টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম সীমান্তের ৪৩টি পয়েন্ট দিয়ে। মিয়ানমারের মংডু হতে বিভিন্ন প্রকার ফিশিং  বোটের মাধ্যমে টেকনাফের স্থলবন্দর, শাহপরীর দ্বীপ, মাঝিরপাড়া, জালিয়াপাড়া, ট্রানজিট ঘাট, নাইট্যংপাড়া, সাবরাংয়ের লেজিপাড়া ও বার্মাপাড়া পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিনই ঢুকছে লাখ লাখ পিচ ইয়াবা। এসব এলাকা থেকে বিলাসবহুল গাড়িতে ‘প্রেস’, আইনজীবী, ‘সাংবাদিক’ বিভিন্ন এনজিও এমনকি জাতিসংঘ’র শরণার্থীবিষয়ক দফতরের স্টিকার লাগিয়েও অহরহ ইয়াবা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

মিয়ানমারে ৩৭ কারখানা : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে বিজিবির পাঠানো মিয়ানমারে ইয়াবা তৈরির কারখানাসংক্রান্ত গোপন তালিকায় দেখা যায়, মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় রয়েছে ৩৭টি ইয়াবা কারখানা। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এসব কারখানা বাংলাদেশি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অর্থে স্থাপন করা হয়েছে। ট্রলারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফে ঢুকছে এসব মাদক। কখনো পুলিশ প্রটেকশনে, আবার কখনো অবৈধ অস্ত্রধারীদের নিয়ন্ত্রণে। সূত্র জানায়, মিয়ানমারের  কোচিন প্রদেশে রয়েছে ১০টি ইয়াবা কারখানা। এসব কারখানা নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন  কোচিন ডিফেন্স আর্মি। এ কারখানায় ১৩ ধরনের ইয়াবা উৎপাদিত হয় বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের  গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গম নামখাম এলাকায় দুটি কারখানা রয়েছে। এ দুটি নিয়ন্ত্রণ করে পানহেসি কেও মেও ইয়াং মৌলিয়ান গ্রুপ। মিয়ানমারের কুনলং এলাকায় হাউ স্পেশাল পুলিশ ট্র্যাক্ট গ্রুপের অধীনে আছে বড় আকারের একটি ইয়াবা কারখানা।

৬০ ভাগ মামলার আসামি খালাস : আশ্চর্য হলেও সত্য যে, মাদক মামলার ৬০ ভাগ আসামিরই সাজা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে পুলিশের করা মাদক মামলা বিচারের রায়ে সাজা ও খালাস পাওয়া আসামিদের পরিসংখ্যান  থেকে এমন তথ্য মিলেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) মামলাগুলোর বিচারেও খালাস পাচ্ছে অর্ধেকের বেশি আসামি। পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে  দেশের আদালতগুলোতে সাত হাজার ১৩৪টি মাদক মামলার বিচারের রায় দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৮২টি মামলায় সাজা হয়েছে তিন হাজার ৬৯০ আসামির। ওই সময়ের মধ্যে চার হাজার ৫২টি মামলায় খালাস পেয়েছে পাঁচ হাজার ৪৬৩ জন আসামি। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক পরিসংখ্যানে দেখা   গেছে, ২০১৫ সালে ওই সংস্থার করা মামলাগুলোর রায়ে ৫৫ ভাগ এবং ২০১৬ সালে ৫৬ ভাগ মাদক মামলার আসামিই খালাস পেয়ে গেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এরপরও আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিনই মাদক উদ্ধার হচ্ছে। নিজের অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, তবে কয়েকদিন আগে আমরা জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাটকে গ্রেফতার করেছিলাম। কয়েকদিনের মধ্যেই সে জামিনে বের হয়ে এসেছে। এমন প্রায়ই ঘটছে।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ্ উদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মাদক আইনে ইয়াবাকে এখনো ভয়ঙ্কর মাদক হিসেবে কি দেখা হয়েছে? যেখানে হেরোইনের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে সেখানে ইয়াবার অবস্থান কোথায়?

 

প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন—শাহ্ দিদার আলম নবেল, সামছুজ্জামান শাহীন, কাজী শাহেদ, মুহাম্মদ সেলিম ও রাহাত খান।

এই বিভাগের আরও খবর
শক্তিশালী ও টেকসই ব্যাংকিং খাত গড়ার চেষ্টা করছি
শক্তিশালী ও টেকসই ব্যাংকিং খাত গড়ার চেষ্টা করছি
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
ডেঙ্গুতে এক দিনে তিনজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে এক দিনে তিনজনের মৃত্যু
হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে আদেশ ১০ জুলাই
হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে আদেশ ১০ জুলাই
পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে ধীরগতি
পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে ধীরগতি
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়
পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আজ
পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আজ
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
সর্বশেষ খবর
ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার
ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

১৪ বছর পর নতুন করে ফিরছে আজম খানের 'উচ্চারণ'
১৪ বছর পর নতুন করে ফিরছে আজম খানের 'উচ্চারণ'

১৭ মিনিট আগে | শোবিজ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৩৪ মিনিট আগে | শোবিজ

চলতি বছর হজে গিয়ে মারা গেছেন ৪৪ বাংলাদেশি
চলতি বছর হজে গিয়ে মারা গেছেন ৪৪ বাংলাদেশি

৪০ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, পুলিশের গুলিতে নিহত ১১
কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, পুলিশের গুলিতে নিহত ১১

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন ৭৬ হাজারের বেশি হাজি
সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন ৭৬ হাজারের বেশি হাজি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সিরাজগঞ্জে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে প্রাণ গেল বাবা-ছেলের
সিরাজগঞ্জে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে প্রাণ গেল বাবা-ছেলের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৮ জুলাই)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত জেলার ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে ঝড়বৃষ্টির শঙ্কা
সাত জেলার ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে ঝড়বৃষ্টির শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সকালে লেবুপানি পানের উপকারিতা
সকালে লেবুপানি পানের উপকারিতা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দলের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েছে ইসি
আওয়ামী লীগ ছাড়া সব দলের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েছে ইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত
সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মীরসরাইয়ে লরির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
মীরসরাইয়ে লরির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খাগড়াছড়ি পার্বত্য পরিষদের চেয়ারম্যানকে সকল কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য পরিষদের চেয়ারম্যানকে সকল কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছেলের জিপিএ–৫ জালিয়াতি: সাবেক সচিব নারায়ণ সাময়িক বরখাস্ত
ছেলের জিপিএ–৫ জালিয়াতি: সাবেক সচিব নারায়ণ সাময়িক বরখাস্ত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তহীনতায় স্থবির ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তহীনতায় স্থবির ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শাবিতে নতুন সাত সহকারী প্রক্টর নিয়োগ
শাবিতে নতুন সাত সহকারী প্রক্টর নিয়োগ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশকে পিছিয়ে দিতে বিলম্ব নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে
দেশকে পিছিয়ে দিতে বিলম্ব নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চার মামলায় কারাগারে বরিশালের সাবেক কাউন্সিলর বাহার
চার মামলায় কারাগারে বরিশালের সাবেক কাউন্সিলর বাহার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম-গডানস্ক শিপিং রুট স্থাপনে আলোচনায় অগ্রগতি
চট্টগ্রাম-গডানস্ক শিপিং রুট স্থাপনে আলোচনায় অগ্রগতি

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা
চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হবিগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভেঙে সংঘর্ষ, নিহত ১
হবিগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভেঙে সংঘর্ষ, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারি টানে অভিনব কর্মসূচি
সোনারগাঁয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারি টানে অভিনব কর্মসূচি

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারী বর্ষণে সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ভারী বর্ষণে সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুর যুবদলের নতুন সভাপতি হুমায়ুন, সম্পাদক লিংকন
লক্ষ্মীপুর যুবদলের নতুন সভাপতি হুমায়ুন, সম্পাদক লিংকন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
টানা ৯ ঘণ্টা ঘুম, পুরস্কার ৯ লাখ! জিতলেন যে নারী
টানা ৯ ঘণ্টা ঘুম, পুরস্কার ৯ লাখ! জিতলেন যে নারী

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক
দুদকের মামলায় খালাস পেলেন হানিফ পরিবহনের মালিক

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইয়েমেনে দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলা
ইয়েমেনে দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক
১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১০ জুলাই এসএসসি ফল প্রকাশের সম্ভাবনা
১০ জুলাই এসএসসি ফল প্রকাশের সম্ভাবনা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত
ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে : মির্জা ফখরুল
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে : মির্জা ফখরুল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুঃসংবাদ দিল ইউটিউব, আসছে নতুন নীতিমালা
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুঃসংবাদ দিল ইউটিউব, আসছে নতুন নীতিমালা

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বারবার ত্রুটি, এবার জয়পুরে জরুরি অবতরণ
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বারবার ত্রুটি, এবার জয়পুরে জরুরি অবতরণ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মঙ্গলে ছিল পানি, ছিল পরিবেশও—তবুও প্রাণ টেকেনি!
মঙ্গলে ছিল পানি, ছিল পরিবেশও—তবুও প্রাণ টেকেনি!

২৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

হোয়াইট হাউসের সামনে নেতানিয়াহুর সফরবিরোধী বিক্ষোভ
হোয়াইট হাউসের সামনে নেতানিয়াহুর সফরবিরোধী বিক্ষোভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা
প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি
খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

নগর জীবন

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

সাংবাদিক শামীম আহমদ আর নেই
সাংবাদিক শামীম আহমদ আর নেই

নগর জীবন

কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
কেন্দ্রীয় নেতার ওপর হামলা, চার ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা চারজনের মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন ৪
পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা চারজনের মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন ৪

দেশগ্রাম