স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অবৈধ মাদকের সঙ্গে অবৈধ টাকা ও অবৈধ অস্ত্রের সংযোগ রয়েছে। ফলে মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে ফায়ারিং তো হবেই। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে বিআইআইএসএস মিলনায়তনে ‘মাদকবিরোধী অভিযান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত একরামুল হকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এ অভিযানে ভুল করে থাকে, তবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত চলছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সারা দেশের কারাগারে ৮৬ হাজার বন্দী রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ শতাংশই মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। এতেই বোঝা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা শুধু বন্দুকযুদ্ধ করছি না, সাজা দিয়ে আসামিদের কারাগারেও পাঠানো হচ্ছে। পুলিশের অভিযান জোরদার করার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের আলাদা ইউনিট তৈরি করেছি।’ চলমান অভিযানের পর অনেকেই তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও জানান। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, মাদক যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ কারণে আমরা মাদক আইনের সংশোধন করছি। ওই আইনে সিসাকেও মাদক হিসেবে রাখা হবে। আমরা আইন সংস্কার করে সিসা বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে ইয়াবা ট্যাবলেটের বিষয়ে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক চুক্তিও হয়েছে। সবগুলোয় মিয়ানমার স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু তারা ইয়াবা বন্ধের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গেও কথা বলেছি, কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাইনি।