বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেছেন, ভোগ নয়, ত্যাগের মানসিকতা নিয়েই রাজনীতি করা উচিত। আমরা যখন তরুণ বয়সে রাজনীতি শুরু করি, তখন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বলেছিলেন—‘আমি কী পেলাম সেটা নয়, দেশকে কি দিতে পারলাম সেই ব্রত নিয়েই রাজনীতি করতে হবে।’ মনে রাখতে হবে—জাতির জনকের আদর্শই দেশের মানুষের কল্যাণ করা। সে আদর্শ যার ধ্যান জ্ঞান সেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। সে কারণে ঐক্যের বিকল্প নেই। গত বুধবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে একথা বলেন তিনি। অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে কখনই ভুল করে না। জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল বলেই দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র সুসংগঠিত রাখতে হলে সরকারে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই, এটা আজ দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার। বিএনপির সংলাপ এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকার গঠনের দাবি প্রসঙ্গে এ প্রবীণ জননেতা বলেন, বিএনপি নিজেই সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। বিগত সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করে বিএনপি নেত্রীকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া সে দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে উল্টো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এরপর বিএনপি নেত্রীর ছোট ছেলে মারা গেলে সেদিন এক মা আরেক সন্তানহারা মাকে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন গুলশানে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সেদিন। প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কার্যত সেদিনই সংলাপের দরজা তারা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর নির্বাচনের সময় কেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করতে হবে? সংবিধানে যা আছে, সেই প্রক্রিয়াতেই নির্বাচন হবে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও তাই হয়। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিএনপি এতদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছিল। এখন তা থেকে সরে এসেছে। আশা করি জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে কেমন প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া উচিত জানতে চাওয়া হয় দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সাবেক এই নেতার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, সবার এসিআরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা আছে। নির্বাচনে জিতে আসার জন্য যেখানে যাকে প্রয়োজন সেখানে তাকেই মনোনয়ন দেবেন তিনি। একটা কথা মনে রাখতে হবে, আমাদের বিজয়ের বিকল্প নেই। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে হলে উইনেবল প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে। এতে নবীন-প্রবীণ, দল ও নেত্রীর প্রতি কমিটেড এবং পরীক্ষিত তাদেরই মূল্যায়ন করতে হবে।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ
ভোগ নয়, ত্যাগের মানসিকতা নিয়েই রাজনীতি করা উচিত
রফিকুল ইসলাম রনি
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর