সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে নয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বিশেষ কোটা বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির জবাবে তারা এ কথা জানায়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ১২ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লেখা একটি পত্রে সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল সম্পর্কিত তথ্য স্পষ্টিকরণের জন্য আবেদন করা হয়। এ অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লেখা পত্রে জানানো হয়, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং ওই পদগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো মর্মে পরিপত্র জারি করায় কোটা পদ্ধতি বিদ্যমান নেই।
তবে ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডে অর্থাৎ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে অপূর্ণ পদগুলো জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী নিজ নিজ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে। এর আগে গত ২ মে পুলিশ সদর দফতর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জানতে চওয়া হয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, এতিম, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষার প্রচলিত কোটার প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ মেধাবীদের দিয়ে পূরণ করা হবে কি না।পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়, তারা পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে জনবল নিয়োগ করতে চায়। আগের বছরগুলোতে কোটার প্রার্থী পাওয়া যায়নি। ২০১৮ সালে টিআরসি নিয়োগের সময় থেকে কোটা সংক্রান্ত জটিলতায় সাত হাজার ৩৭৪টি পদ শূন্য রয়েছে। এবারও টিআরসি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে জনপ্রশাসনের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরকেও একই জবাব দেওয়া হয়।