শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পররাষ্ট্র সচিব হচ্ছেন মাসুদ বিন মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্র সচিব হচ্ছেন মাসুদ বিন মোমেন

বাংলাদেশের পরবর্তী পররাষ্ট্র সচিব হচ্ছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবেন। রাবাবের নিয়োগ আদেশ এরই মধ্যে অনুমোদন হয়েছে। চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন শেষ হওয়ার পর মাসুদ বিন মোমেনের নিয়োগ চূড়ান্ত হলে নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে রাবাব ফাতিমা যোগদান করবেন।

রাষ্ট্রদূত  মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের স্থলাভিষিক্ত হবেন। বর্তমান পররাষ্ট্র সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত রয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে মাসুদ বিন মোমেনকে পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এ মাসেই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর শেষ হওয়ার পর মাসুদ বিন মোমেনের পররাষ্ট্র সচিব পদে নিয়োগের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।

মাসুদ বিন মোমেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত থাকাকালে দুই দেশের সম্পর্ক খুবই জোরদার হয়। ওই সময়ে পশ্চিমারা শেখ হাসিনার সরকারের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও জাপান সমর্থন করে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও রোহিঙ্গা ইস্যু সামাল দিতে বেশ দক্ষতার পরিচয় দেন তিনি।

সাইবার জগতে আন্তর্জাতিক আইনের বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ : গত ৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে তথ্য ও টেলি যোগাযোগ উন্নয়ন’ সংক্রান্ত সেশনে দেওয়া বক্তব্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সাইবার জগতে সক্ষমতা বিনির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতির সুদৃঢ় বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ’। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মাসুদ ২০১৮ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি সাইড ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘জাতিসংঘ ও এর বাইরে সাইবার নিরাপত্তা সংস্কৃতি এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সব সময়ই সমর্থন দিয়ে আসছে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রবেশযোগ্য সাইবার জগৎ সৃষ্টিতে আমাদেরকে অবশ্যই শক্তিশালী রাজনৈতিক সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে হবে।’

সর্বশেষ খবর