রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিষাক্ত স্পিরিট পানে ছয়জনের মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে হোমিওপ্যাথ ওষুধে ব্যবহৃত রেকটিফায়েড স্পিরিট সেবন করে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত আরও ছয়জন অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ এ পর্যন্ত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ছাড়া স্পিরিট বিক্রির অভিযোগে হোমিও ডিসপেনসারির মালিক ও তার ছেলেসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। তারা হচ্ছেন- উপজেলার মোহাম্মদনগর গ্রামের মহিন উদ্দিন (৪০), বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নূর নবী মানিক (৫০), একই ওয়ার্ডের রবি লাল রায় (৫৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার এলাকার আবদুল খালেক (৭২), সিরাজপুর ইউনিয়নের সবুজ (৬০)। জানা যায়, বসুরহাট বাজারের পানবাজার-সংলগ্ন রফিক হোমিও হল ওষুধের পাশাপাশি রেকটিফায়েড স্পিরিট বিক্রি করে আসছে। মদ্যপরা রফিক হোমিও হল থেকে এ স্পিরিট ক্রয় করেন। চারদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় শুক্রবার সকাল থেকে ওই হোমিও হলের চিকিৎসক জায়েদ দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। পরে অভিযান চালিয়ে জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়মকে আটক করে পুলিশ। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান পাঁচজনের মৃত্যু ও দুজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাতে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় প্রত্যেকের বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে বসুরহাট পৌর এলাকায় দাহের প্রস্তুতি অবস্থায় রবি লাল রায় ও দাফনের প্রস্তুতির সময় নূর নবী মানিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর তিনজনের মরদেহ স্বজনরা তড়িঘড়ি করে দাফন করেছেন বলে জানান তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, হোমিও হলের মালিক জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়ম বেশ কয়েক বছর অনেকটা খোলামেলাভাবে স্পিরিটসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছেন। নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় হোমিও হলের মালিক ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর