শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

বিশেষ সাক্ষাৎকারে শ ম রেজাউল করিম

অনিয়মে জড়িত ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রিন্ট ভার্সন
অনিয়মে জড়িত ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

শ ম রেজাউল করিম। একাধারে আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। ছিলেন আইনজীবীদের নেতা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা তার হাতে তুলে দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মন্ত্রণালয়ের নানা কর্মকা-, সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, ঠিকাদারদের অনিয়ম, রাজউকসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর-অধিদফতরে কর্মরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শ ম রেজাউল করিম। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে নিজের দফতরে বসে দেওয়া তার এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার নিজামুল হক বিপুল

 

প্রশ্ন : সরকারের সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে জি কে শামীম নামে এক ঠিকাদারকে গ্রেফতারের পর গণপূর্ত অধিদফতরের অনেকের নাম এসেছে, যারা মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে ওই ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এসব দুর্নীতিবাজ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য দফতর-অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কিংবা আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন দুর্নীতি বন্ধে?

শ ম রেজাউল করিম : দেখুন, দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছি। কোনোভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা, সে আলোকে আমরা কাজ করেছি। বনানীর আগুনের ঘটনায় যে ৬২ জনের নাম এসেছে, আমরা কিন্তু একজনকেও বাদ দিইনি। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ঘটনায় তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে আমরা তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম নজির আর দ্বিতীয়টি আছে, যেখানে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তদন্তে সত্যতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ঢাকার বাইরে কিছু ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আমরা তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঠিকাদারদের কাজে অনিয়ম পেলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করছি। রূপপুরের ঘটনায় ৩৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত দুর্নীতিবাজরা নিয়েছে। এটা আমাদের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। সেই ৩৬ কোটি টাকা কর্তন করে রেখেছি, যাতে সরকারের স্বার্থ কোনোভাবে ক্ষুণœ না হয়। আমার সেই অবস্থানে আমি এখনো আছি।

এখন গণপূর্ত, রাজউকসহ সিডিএ, কেডিএ, আরডিএ বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেহেতু নিজেদের কাজ করে, অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরও কাজ করে ডিপোজিট ওয়ার্কস হিসেবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কিন্তু র‌্যাবের ভবন। আমরা সেখানে ডিপোজিট ওয়ার্কস হিসেবে কাজ করে দিচ্ছি। টাকা দিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভবন র‌্যাবের। আমরা শুধু মধ্যবর্তী অবস্থানে থেকে কাজ করছি। এখানে সবগুলো কাজ কিন্তু ই-টেন্ডার পদ্ধতিতে হয়েছে। আধুনিক ওয়েতে। সেখানে যারা অংশ নিয়েছেন, সেখান থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা যিনি তার আবেদনটাকে মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন করে যখন তাকে টেকনিক্যালি ও ফিনানশিয়ালি রেসপনসেবল মনে করেছে, তখন কিন্তু তাকে কাজ দেওয়া হয়, নোটিফিকেশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার পর চুক্তি হয় এবং তখন চুক্তি অনুযায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন কিন্তু আগের মতো নেই যে টেন্ডার বাক্স কেউ ছিনতাই করে নিয়ে গেল, বা টেন্ডার আছে ৫০টা, ৫০টাই তারা নিয়ে গেল। এখন কিন্তু আপনি আমেরিকা, ইউরোপে বসে এই ই-টেন্ডারে অংশ নিতে পারবেন। কারা অংশ নেবেন বা নেবেন না, এটা কিন্তু আমরা মন্ত্রণালয় বা দফতর নির্ধারণ করে দিতে পারি না। আবেদনের ক্ষেত্রেও কারও জন্য কোনো বাধা নেই। যে-কেউ সিলেট থেকে করতে পারেন, রাজশাহী থেকে করতে পারেন। এখন সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প আমাদের দফতরের ছিল না। এক্ষেত্রে যদি তারা কোনো প্রকৌশলীকে টাকা দিয়ে থাকেন, অথবা নিজেরা সমঝোতা করেন, বা রাজনৈতিক নেতাদের টাকা দিয়ে থাকেন- এ বিষয়গুলো পর্দার আড়ালে হতে পারে। প্রক্রিয়ার মধ্যে কিন্তু এগুলো না। ক্যাসিনো ঘটনা সামনে চলে এলে এটি র‌্যাব, সিআইডি, দুদক, পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো অবস্থা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা তারা নেবে। আমি তো চাই তদন্তের মাধ্যমে সব অপরাধীকে খুঁজে বের করা হোক।

প্রশ্ন : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কার্যক্রমে স্থবিরতার অভিযোগ আছে। এটা কীভাবে দূর করা যায়?

শ ম রেজাউল করিম : দেখুন, আমি দায়িত্বে আসার পর রাজউকের কাজকে একটা পরিবর্তিত অবস্থায় নিয়ে এসেছি। একটা নকশা অনুমোদনের জন্য ১৬টা দফতরে যেতে হতো। আমি ১২টা দফতর বাদ দিয়ে চারটা দফতর রেখেছি। এখন এই চারটা স্তরেও সরাসরি যাওয়া লাগে না। ল্যাপটপে বসে, কম্পিউটারে বসেও আপনি নকশা অনুমোদনের আবেদন করতে পারবেন। অতীতে নির্ধারিত সময় ছিল না। আমি কিন্তু সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি। একটা ভূমির ছাড়পত্র, নামপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। রাজউকে দীর্ঘসূত্রতা, হয়রানির যে অভিযোগ ছিল, নকশা অনুমোদন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করা- সেগুলো কিন্তু একেবারে সহজ করে দিয়েছি। এই সহজ করতে গিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিন্তু অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজের গতি অনেক ক্ষেত্রে শ্লথ করেছেন। সে ক্ষেত্রে আমি দেখভাল করছি। যদি দেখা যায় কারও টেবিলে ফাইল অনাকাক্সিক্ষত সময় রাখা ছিল, আমি তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছি। রাজউককে হতে হবে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান। এটা কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয়। সেবা নিতে যারা আসছেন, তারাই দেশের মালিক। যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা সেবা দিতে বাধ্য। এক্ষেত্রে যে স্থবিরতা দৃশ্যমান, আপাতত দুইটা দিক আছে- অনেক ফাইলকে কিন্তু এখন গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া অ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়ে রাজউকের প্লট অনেকে নিয়েছেন। এখন আমি নির্দেশ দিয়েছি যে প্রতিটি ফাইল গভীরভাবে পর্যালোচনা করে এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ফাইল পড়ে থাকবে না।

এটা হলো রাজউকের দাফতরিক জায়গা। আর পূর্বাচল, ঝিলমিল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পে কাজের গতি বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়েছিল। কোনো কোনো ঠিকাদার কাজ করতে অপারগতা জানিয়েছিলেন। তাদের বদলে অন্য ঠিকাদার দিতে হয়েছে। কোনো কোনো ঠিকাদারের কাজ আমি সরেজমিন দেখে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি যে, এই কোয়ালিটির মাল দিয়ে এ কাজ করা যাবে না বা এখান থেকে কাজ করতে হবে। এর ফলে কিন্তু কাজের ধরনও পাল্টে গেছে। দায়সারা গোছের কাজ করে ঠিকাদার টাকা নিয়ে যাবেন এবং ওখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা চোখ-কান বন্ধ করে বলবেন সব কাজ চলছে- এটাকে আমি কোনোভাবে মেনে নিতে চাইছি না। সে কারণে কিন্তু কাজের গতি সাময়িকভাবে একটু স্তিমিত দৃশ্যমান হলেও মান উন্নত হয়- সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। আমি নিজেও কিন্তু প্রকল্পে যাই। আমি নিজে কাজের তদারক করেছি। কোন কাজটা হচ্ছে না, ঠিকাদার কেন লোক দিচ্ছেন না, না দিলে তাকে ক্যানসেল করতে হবে, ক্যানসেল করে অন্য লোক দিতে হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে, দেখভাল করার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর একটা ত্রুটি ছিল। একজন ঠিকাদার পাঁচজন লেবার দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এভাবে তো ৫০ বছরেও কাজ শেষ করা যাবে না। তার কোনো লোকও সেখানে নেই। তার কোনো আধুনিক প্রযুক্তিও নেই। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করে হাত দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এ অবস্থাটা পূর্বাচল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প ও ঝিলমিলের অনেক জায়গায় চলছিল। সেই জায়গায় আমরা একটা চেঞ্জ এনেছি। এই চেঞ্জ আনার ফলে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এতে একটু সময়ও লাগছে।

প্রশ্ন : আপনি ভুয়া, জাল দলিল, অ্যাওয়ার্ড নিয়ে বলছিলেন। এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে কি না।

শ ম রেজাউল করিম : না, সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না। তবে পূর্বাচল প্রকল্পে রাজউকের অনেক অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সুবিধালোভী একটি মহল, দালাল, তারা ভুয়া অ্যাওয়ার্ড দিয়ে, অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্তদের জাল সার্টিফিকেট, অথবা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত লোক এগিয়ে আসতে পারেননি তার নামে অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে অনাকাক্সিক্ষত কাজ করিয়ে নিয়েছেন। আমাদের রাজউকে কিন্তু চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এসব ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একটা কক্ষে মঙ্গলবার বিপুল পরিমাণ নথি পাওয়া গেছে। এই নথি রাজউকের কোনো ব্যক্তির কক্ষে থাকার কথা না। সেখানে বাড্ডা এলাকার দুজন কাউন্সিলরের সিল ও প্যাড পাওয়া গেছে। ব্যাক ডেটে সাইন করা, কারও নাম লেখা নেই, এটা নিয়ে কিন্তু আমরা ফৌজদারি আইনের আশ্রয় নিচ্ছি এবং তদন্তের জন্য কমিটি করেছি যে কীভাবে রাজউকের ফাইল গায়েব হয়ে যায়! একটা কক্ষে দুই শ’র কাছাকাছি ফাইল পাওয়া গেছে। সেই কক্ষটা একটা প্রাইভেট ব্যক্তির কক্ষ। রাজউকের ভাড়াটিয়া। রাজউক ভবনে কিছু কক্ষ অন্যদের ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এই যে আমরা ফাইল খুঁজে পাই না, এই ফাইল অন্যদের কাছে থাকে এবং সেখানে বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, একটা সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন রকম কাগজ তৈরি করে, অ্যাওয়ার্ড তৈরি করে প্লট নেওয়া, বিভিন্ন ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, অথবা প্রকৃত ব্যক্তির ফাইল নকল করা, এই জাতীয় একটা সংঘবদ্ধ চক্রের কথা যে আমরা শুনে আসছি, এর প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া যাচ্ছে।

প্রশ্ন : আপনি তো দায়িত্ব নিয়েছেন প্রায় ১০ মাস। এই সময়ে অনেক পরিবর্তন এনেছেন। এখন উন্নয়নের গতি কীভাবে আরও বাড়ানো যায় বলে মনে করছেন?

শ ম রেজাউল করিম : আমি আসার পর পূর্বাচল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প, ঝিলমিল দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে যে রাজউকের পক্ষ থেকে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায় থেকে এসব ক্ষেত্রে যে পরিমাণ দেখভাল করা দরকার ছিল, তদারকির দরকার ছিল, মনিটরিংয়ের দরকার ছিল, সেই মনিটরিংটা এখানে করা হয়নি। নইলে ২০ বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পরও পূর্বাচল কেন বসবাসের উপযোগী অবস্থায় এখন থেকে আরও দু-এক বছর আগে হলো না। আমি সেটার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি এবং আশা করছি চলতি বছর ডিসেম্বরে পূর্বাচলের অনেক জায়গায়ই বসবাসের উপযোগী অবস্থা হবে। ইতিমধ্যে অনেকেই কিন্তু ইমারত নির্মাণ শুরু করেছেন। আমরা দুই শ’র বেশি নকশা অনুমোদন দিয়েছি। আমি ভীষণভাবে আগ্রহী এই প্রকল্পে কাজের গতি বাড়াতে। কাজের গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিকূলতা ছিল, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ওভারকাম করেছি। তবে দীর্ঘদিনের একটা রেওয়াজ, কর্মকর্তাদের আলস্যবোধ, দায়িত্বহীনতা আর অতিলোভী ঠিকাদারদের অসাধু কর্মকান্ডের কারণে কিন্তু পূর্বাচলের গতি স্তিমিত ছিল। এখন গতি বেড়েছে। আমি এর গতি আরও বাড়াব, যাতে সরকারের দৃষ্টিনন্দন, আধুনিক, স্যাটেলাইট এই শহরটি অনাকাক্সিক্ষত অবস্থায় ঝুলিয়ে না রেখে, মানুষকে হতাশার ভিতরে না ফেলে যাতে বসবাসের উপযোগী করা যায়।

প্রশ্ন : মাদানি এভিনিউ থেকে যে ১০০ ফুট সড়ক রয়েছে, সেটি রাজউক এখন পর্যন্ত দখলমুক্ত করতে পারেনি। এই দখলদারদের উচ্ছেদে কি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে?

শ ম রেজাউল করিম : দেখুন, সরকার এবং রাজউক বলতে শুধু আমরা নয়, দেশের মানুষেরও দায়িত্ব আছে। আমরা একটা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এলাম। রাজউকের জনবল এতই কম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ এবং মূল ঢাকা মিলেই কিন্তু রাজউকের পরিসর। আমার জনসংখ্যা ১৫০০, এর মধ্যে ২০০ পদ শূন্য আছে। এই লোক দিয়ে কিন্তু প্রতিদিন সমস্ত অলিগলি, রাস্তাঘাট, দেখভাল করা বা নজরদারিতে রাখা সম্ভব হয় না। জনগণের কিন্তু দায়িত্ব আছে। এর পরও আমরা চেষ্টা করছি, যেখানেই অবৈধ দখল সেখানেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাব।

প্রশ্ন : পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশে কিছুদিন পরপরই একেকটি প্রকল্প নেওয়া হয়। সর্বশেষ এই সড়কের দুই পাশে ১০০ ফুট খাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চললেও এই কাজ শেষ হচ্ছে না। এর কারণ কী? এই খাল প্রকল্পের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে? এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে আপনি কি কোনো পদক্ষেপ নেবেন?

শ ম রেজাউল করিম : খাল খননের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ আমাদের যে কৃত্রিম লেক করা হচ্ছে, সেই লেকের কারণে যাদের জমি অধিগ্রহণ হয়েছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আবেদন করে থাকলে আমি তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা করে দেব।

প্রশ্ন : পূর্বাচল নতুন শহর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রথম আমলে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদকালে। কিন্তু প্রায় ২৫ বছরেও এই প্রকল্পে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। এখনো গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ নাগরিক সুবিধা পৌঁছায়নি। এর কারণ কী? কবে নাগাদ আসলে পূর্বাচল নতুন শহরে সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব হবে?

শ ম রেজাউল করিম : সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর কোনো আবাসিক এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে না। যারাই পূর্বাচলে ইমারত নির্মাণ করবেন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় গ্যাস ব্যবহার করতে হবে। আর পূর্বাচলের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে, খুঁটি বসানো হয়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াও হয়েছে। পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল না। আমরা ইতিমধ্যে একটা কোম্পানিকে পূর্বাচলে পানি সরবরাহের জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। আমি আশা করছি, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাচলের অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ, পানি পৌঁছে যাবে। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ড্রেনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। শুধু গ্যাসের ব্যাপারটা নিজেদের করে নিতে হবে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের মধ্যে পূর্বাচলের অধিকাংশ জায়গা বসবাসের উপযোগী হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ‘সবার জন্য আবাসন-কেউ থাকবে না গৃহহীন’। তার সেই নির্বাচনী অঙ্গীকারকে আমরা বাস্তবায়নের জন্য এবং একজন নাগরিকও যেন আবাসহীন অবস্থায় না থাকে এবং তাদের আবাসন যাতে পরিবেশসম্মত হয়, সেটা যাতে স্যাটেলাইট স্টাইলের, স্ট্যান্ডার্ডের হয়, সে ব্যাপারে আমরা কিন্তু কাজ করছি।

পূর্বাচলে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বে জায়গা ফাঁকা থাকবে। এর মধ্যে কৃত্রিম লেক থাকছে, গ্রিন সিটি হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা আছে, আমরা পেট্রলপাম্পের ব্যবস্থা রাখছি। এ ছাড়া অন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা একটা স্যাটেলাইট সিটিতে থাকা দরকার, এর সবই রেখেছি। এই সিটিটা সম্পন্ন হলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সবকিছু ডিজিটালাইজ ওয়েতে কন্ট্রোল করা যাবে। এটা হবে ঢাকার সবচেয়ে আধুনিক, পরিবেশসম্মত, উন্নত স্যাটেলাইট সিটি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শ ম রেজাউল করিম : আপনাকেও ধন্যবাদ।

এই বিভাগের আরও খবর
নৃত্যশিল্পীকে মারধর করে মুখে কালি মাখাল দুর্বৃত্তরা
নৃত্যশিল্পীকে মারধর করে মুখে কালি মাখাল দুর্বৃত্তরা
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
তৃতীয় দিনেই টেস্ট জয়
তৃতীয় দিনেই টেস্ট জয়
নির্বাচন হতে হবে ফেব্রুয়ারিতেই
নির্বাচন হতে হবে ফেব্রুয়ারিতেই
জুলাই সনদ নিয়ে সংশয় কেটে গেছে
জুলাই সনদ নিয়ে সংশয় কেটে গেছে
সনদ বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন অবৈধ
সনদ বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন অবৈধ
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বশেষ খবর
রূপগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রূপগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় প্রোডাকটিভিটি ও কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঢাকায় প্রোডাকটিভিটি ও কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি আরোহী নিহত
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি আরোহী নিহত

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সোহানের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল হংকং
সোহানের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল হংকং

১৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে আকাশ হত্যায় তিনজন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে আকাশ হত্যায় তিনজন গ্রেপ্তার

১৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৫০০ মিটার সেতুর অভাবে তিন জেলার মানুষের ভোগান্তি
৫০০ মিটার সেতুর অভাবে তিন জেলার মানুষের ভোগান্তি

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার : প্রাথমিক উপদেষ্টা
শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার : প্রাথমিক উপদেষ্টা

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

সহিংসতা মামলায় ভাঙ্গায় গ্রেফতার ২২
সহিংসতা মামলায় ভাঙ্গায় গ্রেফতার ২২

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা: বিএনপি নেতা মনজুর
অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা: বিএনপি নেতা মনজুর

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পিরোজপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ
পিরোজপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কৃষকের আঙ্গিনায় নবান্নের ঘ্রাণ
কৃষকের আঙ্গিনায় নবান্নের ঘ্রাণ

২৯ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে: মেজর হাফিজ
জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে: মেজর হাফিজ

৩৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরির ধাক্কায় উল্টে গেল কাভার্ড ভ্যান, আহত ২
ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরির ধাক্কায় উল্টে গেল কাভার্ড ভ্যান, আহত ২

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রংপুরে সেই আশরাফুলের দাফন সম্পন্ন
রংপুরে সেই আশরাফুলের দাফন সম্পন্ন

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু
শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু

৫৬ মিনিট আগে | পর্যটন

নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-র‍্যালি
নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-র‍্যালি

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কার কথা বলছেন, তাদের পেছনে জনগণ নেই: মুশফিকুর রহমান
নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কার কথা বলছেন, তাদের পেছনে জনগণ নেই: মুশফিকুর রহমান

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের
হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচিত সরকার ভোলার গ্যাস সমস্যার সমাধান করবে : শিল্প উপদেষ্টা
নির্বাচিত সরকার ভোলার গ্যাস সমস্যার সমাধান করবে : শিল্প উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলনে তরুণদের নিয়ে বেসিসের উদ্যোগ
জ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলনে তরুণদের নিয়ে বেসিসের উদ্যোগ

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

খাগড়াছড়িতে দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার, ডিভাইস জব্দ
খাগড়াছড়িতে দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার, ডিভাইস জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৭৭ বছরে পা দিলেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস
৭৭ বছরে পা দিলেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শৈলকুপায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শৈলকুপায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

থানচির নাফাখুমে পর্যটক নিখোঁজ
থানচির নাফাখুমে পর্যটক নিখোঁজ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পর্বতারোহণে বিকাশের ব্যতিক্রমী রেকর্ড
পর্বতারোহণে বিকাশের ব্যতিক্রমী রেকর্ড

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিলল যুবকের মরদেহ
সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিলল যুবকের মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

১৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা