শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

বিশেষ সাক্ষাৎকারে শ ম রেজাউল করিম

অনিয়মে জড়িত ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রিন্ট ভার্সন
অনিয়মে জড়িত ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

শ ম রেজাউল করিম। একাধারে আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। ছিলেন আইনজীবীদের নেতা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা তার হাতে তুলে দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মন্ত্রণালয়ের নানা কর্মকা-, সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, ঠিকাদারদের অনিয়ম, রাজউকসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর-অধিদফতরে কর্মরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শ ম রেজাউল করিম। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে নিজের দফতরে বসে দেওয়া তার এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার নিজামুল হক বিপুল

 

প্রশ্ন : সরকারের সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে জি কে শামীম নামে এক ঠিকাদারকে গ্রেফতারের পর গণপূর্ত অধিদফতরের অনেকের নাম এসেছে, যারা মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে ওই ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এসব দুর্নীতিবাজ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য দফতর-অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কিংবা আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন দুর্নীতি বন্ধে?

শ ম রেজাউল করিম : দেখুন, দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছি। কোনোভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা, সে আলোকে আমরা কাজ করেছি। বনানীর আগুনের ঘটনায় যে ৬২ জনের নাম এসেছে, আমরা কিন্তু একজনকেও বাদ দিইনি। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ঘটনায় তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে আমরা তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম নজির আর দ্বিতীয়টি আছে, যেখানে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তদন্তে সত্যতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ঢাকার বাইরে কিছু ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আমরা তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঠিকাদারদের কাজে অনিয়ম পেলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করছি। রূপপুরের ঘটনায় ৩৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত দুর্নীতিবাজরা নিয়েছে। এটা আমাদের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। সেই ৩৬ কোটি টাকা কর্তন করে রেখেছি, যাতে সরকারের স্বার্থ কোনোভাবে ক্ষুণœ না হয়। আমার সেই অবস্থানে আমি এখনো আছি।

এখন গণপূর্ত, রাজউকসহ সিডিএ, কেডিএ, আরডিএ বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেহেতু নিজেদের কাজ করে, অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরও কাজ করে ডিপোজিট ওয়ার্কস হিসেবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কিন্তু র‌্যাবের ভবন। আমরা সেখানে ডিপোজিট ওয়ার্কস হিসেবে কাজ করে দিচ্ছি। টাকা দিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভবন র‌্যাবের। আমরা শুধু মধ্যবর্তী অবস্থানে থেকে কাজ করছি। এখানে সবগুলো কাজ কিন্তু ই-টেন্ডার পদ্ধতিতে হয়েছে। আধুনিক ওয়েতে। সেখানে যারা অংশ নিয়েছেন, সেখান থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা যিনি তার আবেদনটাকে মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন করে যখন তাকে টেকনিক্যালি ও ফিনানশিয়ালি রেসপনসেবল মনে করেছে, তখন কিন্তু তাকে কাজ দেওয়া হয়, নোটিফিকেশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার পর চুক্তি হয় এবং তখন চুক্তি অনুযায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন কিন্তু আগের মতো নেই যে টেন্ডার বাক্স কেউ ছিনতাই করে নিয়ে গেল, বা টেন্ডার আছে ৫০টা, ৫০টাই তারা নিয়ে গেল। এখন কিন্তু আপনি আমেরিকা, ইউরোপে বসে এই ই-টেন্ডারে অংশ নিতে পারবেন। কারা অংশ নেবেন বা নেবেন না, এটা কিন্তু আমরা মন্ত্রণালয় বা দফতর নির্ধারণ করে দিতে পারি না। আবেদনের ক্ষেত্রেও কারও জন্য কোনো বাধা নেই। যে-কেউ সিলেট থেকে করতে পারেন, রাজশাহী থেকে করতে পারেন। এখন সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প আমাদের দফতরের ছিল না। এক্ষেত্রে যদি তারা কোনো প্রকৌশলীকে টাকা দিয়ে থাকেন, অথবা নিজেরা সমঝোতা করেন, বা রাজনৈতিক নেতাদের টাকা দিয়ে থাকেন- এ বিষয়গুলো পর্দার আড়ালে হতে পারে। প্রক্রিয়ার মধ্যে কিন্তু এগুলো না। ক্যাসিনো ঘটনা সামনে চলে এলে এটি র‌্যাব, সিআইডি, দুদক, পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো অবস্থা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা তারা নেবে। আমি তো চাই তদন্তের মাধ্যমে সব অপরাধীকে খুঁজে বের করা হোক।

প্রশ্ন : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কার্যক্রমে স্থবিরতার অভিযোগ আছে। এটা কীভাবে দূর করা যায়?

শ ম রেজাউল করিম : দেখুন, আমি দায়িত্বে আসার পর রাজউকের কাজকে একটা পরিবর্তিত অবস্থায় নিয়ে এসেছি। একটা নকশা অনুমোদনের জন্য ১৬টা দফতরে যেতে হতো। আমি ১২টা দফতর বাদ দিয়ে চারটা দফতর রেখেছি। এখন এই চারটা স্তরেও সরাসরি যাওয়া লাগে না। ল্যাপটপে বসে, কম্পিউটারে বসেও আপনি নকশা অনুমোদনের আবেদন করতে পারবেন। অতীতে নির্ধারিত সময় ছিল না। আমি কিন্তু সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি। একটা ভূমির ছাড়পত্র, নামপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। রাজউকে দীর্ঘসূত্রতা, হয়রানির যে অভিযোগ ছিল, নকশা অনুমোদন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করা- সেগুলো কিন্তু একেবারে সহজ করে দিয়েছি। এই সহজ করতে গিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিন্তু অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজের গতি অনেক ক্ষেত্রে শ্লথ করেছেন। সে ক্ষেত্রে আমি দেখভাল করছি। যদি দেখা যায় কারও টেবিলে ফাইল অনাকাক্সিক্ষত সময় রাখা ছিল, আমি তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছি। রাজউককে হতে হবে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান। এটা কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয়। সেবা নিতে যারা আসছেন, তারাই দেশের মালিক। যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা সেবা দিতে বাধ্য। এক্ষেত্রে যে স্থবিরতা দৃশ্যমান, আপাতত দুইটা দিক আছে- অনেক ফাইলকে কিন্তু এখন গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া অ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়ে রাজউকের প্লট অনেকে নিয়েছেন। এখন আমি নির্দেশ দিয়েছি যে প্রতিটি ফাইল গভীরভাবে পর্যালোচনা করে এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ফাইল পড়ে থাকবে না।

এটা হলো রাজউকের দাফতরিক জায়গা। আর পূর্বাচল, ঝিলমিল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পে কাজের গতি বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়েছিল। কোনো কোনো ঠিকাদার কাজ করতে অপারগতা জানিয়েছিলেন। তাদের বদলে অন্য ঠিকাদার দিতে হয়েছে। কোনো কোনো ঠিকাদারের কাজ আমি সরেজমিন দেখে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি যে, এই কোয়ালিটির মাল দিয়ে এ কাজ করা যাবে না বা এখান থেকে কাজ করতে হবে। এর ফলে কিন্তু কাজের ধরনও পাল্টে গেছে। দায়সারা গোছের কাজ করে ঠিকাদার টাকা নিয়ে যাবেন এবং ওখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা চোখ-কান বন্ধ করে বলবেন সব কাজ চলছে- এটাকে আমি কোনোভাবে মেনে নিতে চাইছি না। সে কারণে কিন্তু কাজের গতি সাময়িকভাবে একটু স্তিমিত দৃশ্যমান হলেও মান উন্নত হয়- সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। আমি নিজেও কিন্তু প্রকল্পে যাই। আমি নিজে কাজের তদারক করেছি। কোন কাজটা হচ্ছে না, ঠিকাদার কেন লোক দিচ্ছেন না, না দিলে তাকে ক্যানসেল করতে হবে, ক্যানসেল করে অন্য লোক দিতে হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে, দেখভাল করার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর একটা ত্রুটি ছিল। একজন ঠিকাদার পাঁচজন লেবার দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এভাবে তো ৫০ বছরেও কাজ শেষ করা যাবে না। তার কোনো লোকও সেখানে নেই। তার কোনো আধুনিক প্রযুক্তিও নেই। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করে হাত দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এ অবস্থাটা পূর্বাচল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প ও ঝিলমিলের অনেক জায়গায় চলছিল। সেই জায়গায় আমরা একটা চেঞ্জ এনেছি। এই চেঞ্জ আনার ফলে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এতে একটু সময়ও লাগছে।

প্রশ্ন : আপনি ভুয়া, জাল দলিল, অ্যাওয়ার্ড নিয়ে বলছিলেন। এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে কি না।

শ ম রেজাউল করিম : না, সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না। তবে পূর্বাচল প্রকল্পে রাজউকের অনেক অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সুবিধালোভী একটি মহল, দালাল, তারা ভুয়া অ্যাওয়ার্ড দিয়ে, অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্তদের জাল সার্টিফিকেট, অথবা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত লোক এগিয়ে আসতে পারেননি তার নামে অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে অনাকাক্সিক্ষত কাজ করিয়ে নিয়েছেন। আমাদের রাজউকে কিন্তু চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এসব ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একটা কক্ষে মঙ্গলবার বিপুল পরিমাণ নথি পাওয়া গেছে। এই নথি রাজউকের কোনো ব্যক্তির কক্ষে থাকার কথা না। সেখানে বাড্ডা এলাকার দুজন কাউন্সিলরের সিল ও প্যাড পাওয়া গেছে। ব্যাক ডেটে সাইন করা, কারও নাম লেখা নেই, এটা নিয়ে কিন্তু আমরা ফৌজদারি আইনের আশ্রয় নিচ্ছি এবং তদন্তের জন্য কমিটি করেছি যে কীভাবে রাজউকের ফাইল গায়েব হয়ে যায়! একটা কক্ষে দুই শ’র কাছাকাছি ফাইল পাওয়া গেছে। সেই কক্ষটা একটা প্রাইভেট ব্যক্তির কক্ষ। রাজউকের ভাড়াটিয়া। রাজউক ভবনে কিছু কক্ষ অন্যদের ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এই যে আমরা ফাইল খুঁজে পাই না, এই ফাইল অন্যদের কাছে থাকে এবং সেখানে বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, একটা সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন রকম কাগজ তৈরি করে, অ্যাওয়ার্ড তৈরি করে প্লট নেওয়া, বিভিন্ন ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, অথবা প্রকৃত ব্যক্তির ফাইল নকল করা, এই জাতীয় একটা সংঘবদ্ধ চক্রের কথা যে আমরা শুনে আসছি, এর প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া যাচ্ছে।

প্রশ্ন : আপনি তো দায়িত্ব নিয়েছেন প্রায় ১০ মাস। এই সময়ে অনেক পরিবর্তন এনেছেন। এখন উন্নয়নের গতি কীভাবে আরও বাড়ানো যায় বলে মনে করছেন?

শ ম রেজাউল করিম : আমি আসার পর পূর্বাচল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প, ঝিলমিল দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে যে রাজউকের পক্ষ থেকে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায় থেকে এসব ক্ষেত্রে যে পরিমাণ দেখভাল করা দরকার ছিল, তদারকির দরকার ছিল, মনিটরিংয়ের দরকার ছিল, সেই মনিটরিংটা এখানে করা হয়নি। নইলে ২০ বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পরও পূর্বাচল কেন বসবাসের উপযোগী অবস্থায় এখন থেকে আরও দু-এক বছর আগে হলো না। আমি সেটার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি এবং আশা করছি চলতি বছর ডিসেম্বরে পূর্বাচলের অনেক জায়গায়ই বসবাসের উপযোগী অবস্থা হবে। ইতিমধ্যে অনেকেই কিন্তু ইমারত নির্মাণ শুরু করেছেন। আমরা দুই শ’র বেশি নকশা অনুমোদন দিয়েছি। আমি ভীষণভাবে আগ্রহী এই প্রকল্পে কাজের গতি বাড়াতে। কাজের গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিকূলতা ছিল, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ওভারকাম করেছি। তবে দীর্ঘদিনের একটা রেওয়াজ, কর্মকর্তাদের আলস্যবোধ, দায়িত্বহীনতা আর অতিলোভী ঠিকাদারদের অসাধু কর্মকান্ডের কারণে কিন্তু পূর্বাচলের গতি স্তিমিত ছিল। এখন গতি বেড়েছে। আমি এর গতি আরও বাড়াব, যাতে সরকারের দৃষ্টিনন্দন, আধুনিক, স্যাটেলাইট এই শহরটি অনাকাক্সিক্ষত অবস্থায় ঝুলিয়ে না রেখে, মানুষকে হতাশার ভিতরে না ফেলে যাতে বসবাসের উপযোগী করা যায়।

প্রশ্ন : মাদানি এভিনিউ থেকে যে ১০০ ফুট সড়ক রয়েছে, সেটি রাজউক এখন পর্যন্ত দখলমুক্ত করতে পারেনি। এই দখলদারদের উচ্ছেদে কি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে?

শ ম রেজাউল করিম : দেখুন, সরকার এবং রাজউক বলতে শুধু আমরা নয়, দেশের মানুষেরও দায়িত্ব আছে। আমরা একটা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এলাম। রাজউকের জনবল এতই কম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ এবং মূল ঢাকা মিলেই কিন্তু রাজউকের পরিসর। আমার জনসংখ্যা ১৫০০, এর মধ্যে ২০০ পদ শূন্য আছে। এই লোক দিয়ে কিন্তু প্রতিদিন সমস্ত অলিগলি, রাস্তাঘাট, দেখভাল করা বা নজরদারিতে রাখা সম্ভব হয় না। জনগণের কিন্তু দায়িত্ব আছে। এর পরও আমরা চেষ্টা করছি, যেখানেই অবৈধ দখল সেখানেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাব।

প্রশ্ন : পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশে কিছুদিন পরপরই একেকটি প্রকল্প নেওয়া হয়। সর্বশেষ এই সড়কের দুই পাশে ১০০ ফুট খাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চললেও এই কাজ শেষ হচ্ছে না। এর কারণ কী? এই খাল প্রকল্পের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে? এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে আপনি কি কোনো পদক্ষেপ নেবেন?

শ ম রেজাউল করিম : খাল খননের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ আমাদের যে কৃত্রিম লেক করা হচ্ছে, সেই লেকের কারণে যাদের জমি অধিগ্রহণ হয়েছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আবেদন করে থাকলে আমি তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা করে দেব।

প্রশ্ন : পূর্বাচল নতুন শহর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রথম আমলে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদকালে। কিন্তু প্রায় ২৫ বছরেও এই প্রকল্পে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। এখনো গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ নাগরিক সুবিধা পৌঁছায়নি। এর কারণ কী? কবে নাগাদ আসলে পূর্বাচল নতুন শহরে সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব হবে?

শ ম রেজাউল করিম : সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর কোনো আবাসিক এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে না। যারাই পূর্বাচলে ইমারত নির্মাণ করবেন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় গ্যাস ব্যবহার করতে হবে। আর পূর্বাচলের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে, খুঁটি বসানো হয়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াও হয়েছে। পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল না। আমরা ইতিমধ্যে একটা কোম্পানিকে পূর্বাচলে পানি সরবরাহের জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। আমি আশা করছি, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাচলের অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ, পানি পৌঁছে যাবে। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ড্রেনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। শুধু গ্যাসের ব্যাপারটা নিজেদের করে নিতে হবে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের মধ্যে পূর্বাচলের অধিকাংশ জায়গা বসবাসের উপযোগী হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ‘সবার জন্য আবাসন-কেউ থাকবে না গৃহহীন’। তার সেই নির্বাচনী অঙ্গীকারকে আমরা বাস্তবায়নের জন্য এবং একজন নাগরিকও যেন আবাসহীন অবস্থায় না থাকে এবং তাদের আবাসন যাতে পরিবেশসম্মত হয়, সেটা যাতে স্যাটেলাইট স্টাইলের, স্ট্যান্ডার্ডের হয়, সে ব্যাপারে আমরা কিন্তু কাজ করছি।

পূর্বাচলে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বে জায়গা ফাঁকা থাকবে। এর মধ্যে কৃত্রিম লেক থাকছে, গ্রিন সিটি হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা আছে, আমরা পেট্রলপাম্পের ব্যবস্থা রাখছি। এ ছাড়া অন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা একটা স্যাটেলাইট সিটিতে থাকা দরকার, এর সবই রেখেছি। এই সিটিটা সম্পন্ন হলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সবকিছু ডিজিটালাইজ ওয়েতে কন্ট্রোল করা যাবে। এটা হবে ঢাকার সবচেয়ে আধুনিক, পরিবেশসম্মত, উন্নত স্যাটেলাইট সিটি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শ ম রেজাউল করিম : আপনাকেও ধন্যবাদ।

এই বিভাগের আরও খবর
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে
তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
সর্বশেষ খবর
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

এই মাত্র | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

৩১ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি
শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব
খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান
নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন
২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম
স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

শূন্যতা-পূর্ণতা
শূন্যতা-পূর্ণতা

সাহিত্য

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে

দেশগ্রাম

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা

সাহিত্য

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির
সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির

দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে
তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শিলাকে বলছি
শিলাকে বলছি

সাহিত্য

যদি তুমি
যদি তুমি

সাহিত্য

ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু
ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু

প্রথম পৃষ্ঠা

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল

দেশগ্রাম

আমাদের চাওয়ায় ভুল ছিল
আমাদের চাওয়ায় ভুল ছিল

সাহিত্য

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

লেনদেন
লেনদেন

সাহিত্য

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

হেমন্তবন্দনা
হেমন্তবন্দনা

সাহিত্য

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা