শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

বিশেষ সাক্ষাৎকারে শ ম রেজাউল করিম

অনিয়মে জড়িত ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রিন্ট ভার্সন
অনিয়মে জড়িত ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

শ ম রেজাউল করিম। একাধারে আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। ছিলেন আইনজীবীদের নেতা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা তার হাতে তুলে দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মন্ত্রণালয়ের নানা কর্মকা-, সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, ঠিকাদারদের অনিয়ম, রাজউকসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর-অধিদফতরে কর্মরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শ ম রেজাউল করিম। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে নিজের দফতরে বসে দেওয়া তার এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার নিজামুল হক বিপুল

 

প্রশ্ন : সরকারের সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে জি কে শামীম নামে এক ঠিকাদারকে গ্রেফতারের পর গণপূর্ত অধিদফতরের অনেকের নাম এসেছে, যারা মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে ওই ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এসব দুর্নীতিবাজ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য দফতর-অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কিংবা আপনি কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন দুর্নীতি বন্ধে?

শ ম রেজাউল করিম : দেখুন, দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছি। কোনোভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা, সে আলোকে আমরা কাজ করেছি। বনানীর আগুনের ঘটনায় যে ৬২ জনের নাম এসেছে, আমরা কিন্তু একজনকেও বাদ দিইনি। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ঘটনায় তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে আমরা তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম নজির আর দ্বিতীয়টি আছে, যেখানে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তদন্তে সত্যতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ঢাকার বাইরে কিছু ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে, পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আমরা তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঠিকাদারদের কাজে অনিয়ম পেলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করছি। রূপপুরের ঘটনায় ৩৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত দুর্নীতিবাজরা নিয়েছে। এটা আমাদের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। সেই ৩৬ কোটি টাকা কর্তন করে রেখেছি, যাতে সরকারের স্বার্থ কোনোভাবে ক্ষুণœ না হয়। আমার সেই অবস্থানে আমি এখনো আছি।

এখন গণপূর্ত, রাজউকসহ সিডিএ, কেডিএ, আরডিএ বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেহেতু নিজেদের কাজ করে, অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরও কাজ করে ডিপোজিট ওয়ার্কস হিসেবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কিন্তু র‌্যাবের ভবন। আমরা সেখানে ডিপোজিট ওয়ার্কস হিসেবে কাজ করে দিচ্ছি। টাকা দিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভবন র‌্যাবের। আমরা শুধু মধ্যবর্তী অবস্থানে থেকে কাজ করছি। এখানে সবগুলো কাজ কিন্তু ই-টেন্ডার পদ্ধতিতে হয়েছে। আধুনিক ওয়েতে। সেখানে যারা অংশ নিয়েছেন, সেখান থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা যিনি তার আবেদনটাকে মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন করে যখন তাকে টেকনিক্যালি ও ফিনানশিয়ালি রেসপনসেবল মনে করেছে, তখন কিন্তু তাকে কাজ দেওয়া হয়, নোটিফিকেশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার পর চুক্তি হয় এবং তখন চুক্তি অনুযায়ী দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন কিন্তু আগের মতো নেই যে টেন্ডার বাক্স কেউ ছিনতাই করে নিয়ে গেল, বা টেন্ডার আছে ৫০টা, ৫০টাই তারা নিয়ে গেল। এখন কিন্তু আপনি আমেরিকা, ইউরোপে বসে এই ই-টেন্ডারে অংশ নিতে পারবেন। কারা অংশ নেবেন বা নেবেন না, এটা কিন্তু আমরা মন্ত্রণালয় বা দফতর নির্ধারণ করে দিতে পারি না। আবেদনের ক্ষেত্রেও কারও জন্য কোনো বাধা নেই। যে-কেউ সিলেট থেকে করতে পারেন, রাজশাহী থেকে করতে পারেন। এখন সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প আমাদের দফতরের ছিল না। এক্ষেত্রে যদি তারা কোনো প্রকৌশলীকে টাকা দিয়ে থাকেন, অথবা নিজেরা সমঝোতা করেন, বা রাজনৈতিক নেতাদের টাকা দিয়ে থাকেন- এ বিষয়গুলো পর্দার আড়ালে হতে পারে। প্রক্রিয়ার মধ্যে কিন্তু এগুলো না। ক্যাসিনো ঘটনা সামনে চলে এলে এটি র‌্যাব, সিআইডি, দুদক, পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো অবস্থা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা তারা নেবে। আমি তো চাই তদন্তের মাধ্যমে সব অপরাধীকে খুঁজে বের করা হোক।

প্রশ্ন : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কার্যক্রমে স্থবিরতার অভিযোগ আছে। এটা কীভাবে দূর করা যায়?

শ ম রেজাউল করিম : দেখুন, আমি দায়িত্বে আসার পর রাজউকের কাজকে একটা পরিবর্তিত অবস্থায় নিয়ে এসেছি। একটা নকশা অনুমোদনের জন্য ১৬টা দফতরে যেতে হতো। আমি ১২টা দফতর বাদ দিয়ে চারটা দফতর রেখেছি। এখন এই চারটা স্তরেও সরাসরি যাওয়া লাগে না। ল্যাপটপে বসে, কম্পিউটারে বসেও আপনি নকশা অনুমোদনের আবেদন করতে পারবেন। অতীতে নির্ধারিত সময় ছিল না। আমি কিন্তু সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি। একটা ভূমির ছাড়পত্র, নামপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। রাজউকে দীর্ঘসূত্রতা, হয়রানির যে অভিযোগ ছিল, নকশা অনুমোদন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করা- সেগুলো কিন্তু একেবারে সহজ করে দিয়েছি। এই সহজ করতে গিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিন্তু অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজের গতি অনেক ক্ষেত্রে শ্লথ করেছেন। সে ক্ষেত্রে আমি দেখভাল করছি। যদি দেখা যায় কারও টেবিলে ফাইল অনাকাক্সিক্ষত সময় রাখা ছিল, আমি তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছি। রাজউককে হতে হবে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান। এটা কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয়। সেবা নিতে যারা আসছেন, তারাই দেশের মালিক। যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা সেবা দিতে বাধ্য। এক্ষেত্রে যে স্থবিরতা দৃশ্যমান, আপাতত দুইটা দিক আছে- অনেক ফাইলকে কিন্তু এখন গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া অ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়ে রাজউকের প্লট অনেকে নিয়েছেন। এখন আমি নির্দেশ দিয়েছি যে প্রতিটি ফাইল গভীরভাবে পর্যালোচনা করে এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ফাইল পড়ে থাকবে না।

এটা হলো রাজউকের দাফতরিক জায়গা। আর পূর্বাচল, ঝিলমিল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পে কাজের গতি বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়েছিল। কোনো কোনো ঠিকাদার কাজ করতে অপারগতা জানিয়েছিলেন। তাদের বদলে অন্য ঠিকাদার দিতে হয়েছে। কোনো কোনো ঠিকাদারের কাজ আমি সরেজমিন দেখে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি যে, এই কোয়ালিটির মাল দিয়ে এ কাজ করা যাবে না বা এখান থেকে কাজ করতে হবে। এর ফলে কিন্তু কাজের ধরনও পাল্টে গেছে। দায়সারা গোছের কাজ করে ঠিকাদার টাকা নিয়ে যাবেন এবং ওখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা চোখ-কান বন্ধ করে বলবেন সব কাজ চলছে- এটাকে আমি কোনোভাবে মেনে নিতে চাইছি না। সে কারণে কিন্তু কাজের গতি সাময়িকভাবে একটু স্তিমিত দৃশ্যমান হলেও মান উন্নত হয়- সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। আমি নিজেও কিন্তু প্রকল্পে যাই। আমি নিজে কাজের তদারক করেছি। কোন কাজটা হচ্ছে না, ঠিকাদার কেন লোক দিচ্ছেন না, না দিলে তাকে ক্যানসেল করতে হবে, ক্যানসেল করে অন্য লোক দিতে হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে, দেখভাল করার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর একটা ত্রুটি ছিল। একজন ঠিকাদার পাঁচজন লেবার দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এভাবে তো ৫০ বছরেও কাজ শেষ করা যাবে না। তার কোনো লোকও সেখানে নেই। তার কোনো আধুনিক প্রযুক্তিও নেই। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করে হাত দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এ অবস্থাটা পূর্বাচল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প ও ঝিলমিলের অনেক জায়গায় চলছিল। সেই জায়গায় আমরা একটা চেঞ্জ এনেছি। এই চেঞ্জ আনার ফলে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এতে একটু সময়ও লাগছে।

প্রশ্ন : আপনি ভুয়া, জাল দলিল, অ্যাওয়ার্ড নিয়ে বলছিলেন। এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে কি না।

শ ম রেজাউল করিম : না, সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না। তবে পূর্বাচল প্রকল্পে রাজউকের অনেক অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সুবিধালোভী একটি মহল, দালাল, তারা ভুয়া অ্যাওয়ার্ড দিয়ে, অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্তদের জাল সার্টিফিকেট, অথবা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত লোক এগিয়ে আসতে পারেননি তার নামে অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে অনাকাক্সিক্ষত কাজ করিয়ে নিয়েছেন। আমাদের রাজউকে কিন্তু চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এসব ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একটা কক্ষে মঙ্গলবার বিপুল পরিমাণ নথি পাওয়া গেছে। এই নথি রাজউকের কোনো ব্যক্তির কক্ষে থাকার কথা না। সেখানে বাড্ডা এলাকার দুজন কাউন্সিলরের সিল ও প্যাড পাওয়া গেছে। ব্যাক ডেটে সাইন করা, কারও নাম লেখা নেই, এটা নিয়ে কিন্তু আমরা ফৌজদারি আইনের আশ্রয় নিচ্ছি এবং তদন্তের জন্য কমিটি করেছি যে কীভাবে রাজউকের ফাইল গায়েব হয়ে যায়! একটা কক্ষে দুই শ’র কাছাকাছি ফাইল পাওয়া গেছে। সেই কক্ষটা একটা প্রাইভেট ব্যক্তির কক্ষ। রাজউকের ভাড়াটিয়া। রাজউক ভবনে কিছু কক্ষ অন্যদের ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এই যে আমরা ফাইল খুঁজে পাই না, এই ফাইল অন্যদের কাছে থাকে এবং সেখানে বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, একটা সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন রকম কাগজ তৈরি করে, অ্যাওয়ার্ড তৈরি করে প্লট নেওয়া, বিভিন্ন ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, অথবা প্রকৃত ব্যক্তির ফাইল নকল করা, এই জাতীয় একটা সংঘবদ্ধ চক্রের কথা যে আমরা শুনে আসছি, এর প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া যাচ্ছে।

প্রশ্ন : আপনি তো দায়িত্ব নিয়েছেন প্রায় ১০ মাস। এই সময়ে অনেক পরিবর্তন এনেছেন। এখন উন্নয়নের গতি কীভাবে আরও বাড়ানো যায় বলে মনে করছেন?

শ ম রেজাউল করিম : আমি আসার পর পূর্বাচল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প, ঝিলমিল দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে যে রাজউকের পক্ষ থেকে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায় থেকে এসব ক্ষেত্রে যে পরিমাণ দেখভাল করা দরকার ছিল, তদারকির দরকার ছিল, মনিটরিংয়ের দরকার ছিল, সেই মনিটরিংটা এখানে করা হয়নি। নইলে ২০ বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পরও পূর্বাচল কেন বসবাসের উপযোগী অবস্থায় এখন থেকে আরও দু-এক বছর আগে হলো না। আমি সেটার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি এবং আশা করছি চলতি বছর ডিসেম্বরে পূর্বাচলের অনেক জায়গায়ই বসবাসের উপযোগী অবস্থা হবে। ইতিমধ্যে অনেকেই কিন্তু ইমারত নির্মাণ শুরু করেছেন। আমরা দুই শ’র বেশি নকশা অনুমোদন দিয়েছি। আমি ভীষণভাবে আগ্রহী এই প্রকল্পে কাজের গতি বাড়াতে। কাজের গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিকূলতা ছিল, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ওভারকাম করেছি। তবে দীর্ঘদিনের একটা রেওয়াজ, কর্মকর্তাদের আলস্যবোধ, দায়িত্বহীনতা আর অতিলোভী ঠিকাদারদের অসাধু কর্মকান্ডের কারণে কিন্তু পূর্বাচলের গতি স্তিমিত ছিল। এখন গতি বেড়েছে। আমি এর গতি আরও বাড়াব, যাতে সরকারের দৃষ্টিনন্দন, আধুনিক, স্যাটেলাইট এই শহরটি অনাকাক্সিক্ষত অবস্থায় ঝুলিয়ে না রেখে, মানুষকে হতাশার ভিতরে না ফেলে যাতে বসবাসের উপযোগী করা যায়।

প্রশ্ন : মাদানি এভিনিউ থেকে যে ১০০ ফুট সড়ক রয়েছে, সেটি রাজউক এখন পর্যন্ত দখলমুক্ত করতে পারেনি। এই দখলদারদের উচ্ছেদে কি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে?

শ ম রেজাউল করিম : দেখুন, সরকার এবং রাজউক বলতে শুধু আমরা নয়, দেশের মানুষেরও দায়িত্ব আছে। আমরা একটা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এলাম। রাজউকের জনবল এতই কম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ এবং মূল ঢাকা মিলেই কিন্তু রাজউকের পরিসর। আমার জনসংখ্যা ১৫০০, এর মধ্যে ২০০ পদ শূন্য আছে। এই লোক দিয়ে কিন্তু প্রতিদিন সমস্ত অলিগলি, রাস্তাঘাট, দেখভাল করা বা নজরদারিতে রাখা সম্ভব হয় না। জনগণের কিন্তু দায়িত্ব আছে। এর পরও আমরা চেষ্টা করছি, যেখানেই অবৈধ দখল সেখানেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাব।

প্রশ্ন : পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশে কিছুদিন পরপরই একেকটি প্রকল্প নেওয়া হয়। সর্বশেষ এই সড়কের দুই পাশে ১০০ ফুট খাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চললেও এই কাজ শেষ হচ্ছে না। এর কারণ কী? এই খাল প্রকল্পের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে? এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে আপনি কি কোনো পদক্ষেপ নেবেন?

শ ম রেজাউল করিম : খাল খননের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ আমাদের যে কৃত্রিম লেক করা হচ্ছে, সেই লেকের কারণে যাদের জমি অধিগ্রহণ হয়েছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে আবেদন করে থাকলে আমি তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা করে দেব।

প্রশ্ন : পূর্বাচল নতুন শহর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রথম আমলে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদকালে। কিন্তু প্রায় ২৫ বছরেও এই প্রকল্পে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। এখনো গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ নাগরিক সুবিধা পৌঁছায়নি। এর কারণ কী? কবে নাগাদ আসলে পূর্বাচল নতুন শহরে সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব হবে?

শ ম রেজাউল করিম : সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর কোনো আবাসিক এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে না। যারাই পূর্বাচলে ইমারত নির্মাণ করবেন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় গ্যাস ব্যবহার করতে হবে। আর পূর্বাচলের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে, খুঁটি বসানো হয়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াও হয়েছে। পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ছিল না। আমরা ইতিমধ্যে একটা কোম্পানিকে পূর্বাচলে পানি সরবরাহের জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। আমি আশা করছি, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাচলের অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ, পানি পৌঁছে যাবে। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ড্রেনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। শুধু গ্যাসের ব্যাপারটা নিজেদের করে নিতে হবে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের মধ্যে পূর্বাচলের অধিকাংশ জায়গা বসবাসের উপযোগী হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ‘সবার জন্য আবাসন-কেউ থাকবে না গৃহহীন’। তার সেই নির্বাচনী অঙ্গীকারকে আমরা বাস্তবায়নের জন্য এবং একজন নাগরিকও যেন আবাসহীন অবস্থায় না থাকে এবং তাদের আবাসন যাতে পরিবেশসম্মত হয়, সেটা যাতে স্যাটেলাইট স্টাইলের, স্ট্যান্ডার্ডের হয়, সে ব্যাপারে আমরা কিন্তু কাজ করছি।

পূর্বাচলে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বে জায়গা ফাঁকা থাকবে। এর মধ্যে কৃত্রিম লেক থাকছে, গ্রিন সিটি হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা আছে, আমরা পেট্রলপাম্পের ব্যবস্থা রাখছি। এ ছাড়া অন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা একটা স্যাটেলাইট সিটিতে থাকা দরকার, এর সবই রেখেছি। এই সিটিটা সম্পন্ন হলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সবকিছু ডিজিটালাইজ ওয়েতে কন্ট্রোল করা যাবে। এটা হবে ঢাকার সবচেয়ে আধুনিক, পরিবেশসম্মত, উন্নত স্যাটেলাইট সিটি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শ ম রেজাউল করিম : আপনাকেও ধন্যবাদ।

এই বিভাগের আরও খবর
আমাদের আন্দোলনের পথ ধরেই তাদের পতন
আমাদের আন্দোলনের পথ ধরেই তাদের পতন
আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
১৫ লাখ সরকারি চাকুরের উচ্চতর গ্রেড পেতে বাধা নেই
১৫ লাখ সরকারি চাকুরের উচ্চতর গ্রেড পেতে বাধা নেই
ঝোপে পুঁতে রাখা ব্যবসায়ীর দ্বিখণ্ডিত লাশ
ঝোপে পুঁতে রাখা ব্যবসায়ীর দ্বিখণ্ডিত লাশ
তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে শুনানি কাল
তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে শুনানি কাল
গাজীর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক
গাজীর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক
বদলির চিঠি ছিঁড়ে ১৪ এনবিআর কর্মকর্তা বরখাস্ত
বদলির চিঠি ছিঁড়ে ১৪ এনবিআর কর্মকর্তা বরখাস্ত
এজাহারের ১১ আসামি অধরা
এজাহারের ১১ আসামি অধরা
কলাপাড়ায় নববধূর ওপর রোমহর্ষক বর্বরতা
কলাপাড়ায় নববধূর ওপর রোমহর্ষক বর্বরতা
মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
শুল্ক ইস্যুতে জোর আলোচনার তাগিদ আমীর খসরুর
শুল্ক ইস্যুতে জোর আলোচনার তাগিদ আমীর খসরুর
সর্বশেষ খবর
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি চর্চা করা উচিত: ধর্ম উপদেষ্টা
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি চর্চা করা উচিত: ধর্ম উপদেষ্টা

৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দক্ষতা দিবসে ১১ তরুণ পেলেন জাতীয় পুরস্কার
দক্ষতা দিবসে ১১ তরুণ পেলেন জাতীয় পুরস্কার

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ
৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ জুলাই)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৮ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুনির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
সুনির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব
ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব

শোবিজ

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন

রাজ্জাকের মুখে চাচি ডাক শুনে আমি হতাশ : আনোয়ারা
রাজ্জাকের মুখে চাচি ডাক শুনে আমি হতাশ : আনোয়ারা

শোবিজ

বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়
বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি
কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি

নগর জীবন

আলম আরা মিনুর ‘জানা ছিল না’
আলম আরা মিনুর ‘জানা ছিল না’

শোবিজ

ষড়যন্ত্রের জালে বন্দি গণতন্ত্র?
ষড়যন্ত্রের জালে বন্দি গণতন্ত্র?

প্রথম পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

কারিনার রূপরহস্য
কারিনার রূপরহস্য

শোবিজ

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা