বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
উচ্চ আদালত নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ

চার মাস পর নিম্ন আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব ও আদালত প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের নিম্ন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে গতকাল। আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা। তবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে বলেও জানিয়েছেন তারা। এদিকে উচ্চ আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ শুরু হচ্ছে কি-না, সে সিদ্ধান্ত জানা যাবে আজ। গতকাল সরেজমিন ঢাকা জজ কোর্ট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্য সময়ের তুলনায় বিচারপ্রার্থী মানুষের সংখ্যা কম। তবে আইনজীবীদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। আইনজীবীদের মুখে ছিল মাস্ক। সব আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে সমিতির পক্ষে আইনজীবীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জুতা জিবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে এজলাসে প্রবেশে ছিল না কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা। সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও গতকাল ঢাকার আদালতে কোনো এজলাসের সামনে এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যেক আদালত ভবনের প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও এমন কোনো দৃশ্যও গতকাল ঢাকার আদালতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আইনজীবীদের সুরক্ষার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে সমিতি ভবনের সামনে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই সরকারি ব্যবস্থাপনায় জনসাধারণের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করছি। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে স্বাভাবিক বিচারকাজ শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৃহস্পতিবার ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে আজ বিকাল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ সভা করবেন। সভার আলোচ্যসূচিতে প্রথমেই রাখা হয়েছে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ পরিচালনার বিষয়টি। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে বার্ষিক অবকাশকালীন ছুটির বিষয়েও আলোচনা হবে ওই সভায়। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। একই সময় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় আদালতেও। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর