বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানির জন্য আগামী ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ তারিখ ঠিক করেন। মামলাগুলোর মধ্যে রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার আট মামলা, যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলাসহ দুই মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে দেশদ্রোহী অ্যাখ্যা দিয়ে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়ের করেন। এ ছাড়া ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে নুর আলম নামে এক যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি মামলা করা হয়। একই বছর বিভিন্ন সময় দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে দারুস সালাম থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে পাঁচ বছর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা নাশকতার চার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এ চার মামলার অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ বাতিল প্রশ্নে হাই কোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আর খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন ও বদরুদ্দোজা বাদল। আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন পরে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালের সহিংসতার ঘটনায় ২০১৫ সালে দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় যখন এই মামলাগুলো হয়, তখন এফআইআরে বেগম খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। কারণ ঘটনার সময় তিনি গুলশানের কার্যালয়ে অন্তরিন ছিলেন। কিন্তু অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় বেগম খালেদা জিয়ার নাম যুক্ত করা হয়। ফলে আইন অনুযায়ী এ মামলাগুলো চলে না। ২০১৭ সালে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। হাই কোর্ট তখন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করে। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে যে আবেদন করেছিল, গতকাল তা নিষ্পত্তি করে দিয়ে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
